চাটমোহর প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে সাজানো একটি ধর্ষন চেষ্টার মিথ্যে মামলার প্রতিবাদে এবং চক্রান্তকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সিদ্দিনগর মিনাবাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন হোসেনপুর গ্রামের আব্বাস আলী,আলেয়া বেগম ও বিউটি খাতুন গং পূর্ব বিরোধের জের ধরে পাশের সিদ্দিনগর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেনের বিরুদ্ধে বিউটি খাতুনকে ধর্ষন চেষ্টার মিথ্যে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ গত ১৯ আগস্ট শাহীনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। তারা বলেন, গত ২১ জুলাই’২৪ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আব্বাস-বিউটি গং সিদ্দিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শাহীন হোসেনকে আটকে ফাঁদে ফেলার অপচেষ্টা করে।
শাহীনের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে রক্ষা পান শাহীন। এনিয়ে ২২ জুলাই চাটমোহর থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন শাহীনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল বিউটি ও অন্যরা। এরপর কারো অভিযোগ না নিয়ে থানা থেকে ফেরত দেওয়া হয় বিউটি ও শাহীনকে। অথচ একই দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই রাত ৯টার দিকে শাহীন নাকি প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিউটির বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে মর্মে মামলা দায়ের করেন বিউটি খাতুন। যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও সাজানো নাটক বলে দাবি মানববন্ধনকারী এলাকাবাসীর। তারা বলেন, ২২ জুলাই বিউটি চাটমোহর থানায় গিয়ে সন্ধ্যার ঘটনার অভিযোগ দেন। কিন্তু রাত ৯টায় ধর্ষন চেষ্টার বিষয়ে কোন অভিযোগ দেননি। পরে বিষয়টি সাজানো হয়েছে। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, আব্বাস-বিউটি গং বিভিন্ন সময় এলাকার সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে হয়রানী করার পাশাপাশি অর্থকড়ি আদায় করে। তাদের কারণে এলাকার লোকজন আতঙ্কে থাকেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার, শাহীনের মুক্তিসহ আব্বাস-বিউটি গং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ আবুল হাসেম,মোঃ ইউনুস আলী, ইব্রাহিম হোসেন, রিতু খাতুন,নাসিমা খাতুন প্রমুখ।
এ বিষয়ে হান্ডিয়াল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সিরাজ জানান, দু’টি ঘটনাই মূলত ২১ জুলাই। সন্ধ্যার ঘটনাটির বিষয়ে আমি তদন্ত করে শাহীনের বিরুদ্ধে আনতি অভিযোগের সত্যতা পাইনি। পরে বিউটি খাতুন আদালতে মামলার আবেদন করলে চাটমোহর থানা মামলাটি রেকর্ড করে।