গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে স্মার্টফোন জমা দিয়ে ভালো ফলাফল করেছে খুবজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষার্থী। এসএসসি’র টেস্ট পরীক্ষায় খারাপ ফল করে তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান তাদের অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করে জানতে পারেন, সব শিক্ষার্থী স্মার্টফোনে আসক্ত। ভালো রেজাল্টের জন্য প্রধান শিক্ষক বোঝালে তারা পরীক্ষা পর্যন্ত স্মার্টফোন বিদ্যালয়ে জমা রেখে পরাশোনায় গভীর মনোনিবেশ করে। যার কারনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থীদের সবাই ভালো ফলাফল করেছে।
জানা যায়, খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১৫০ জনের মধ্যে ১৩৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। ২৭ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পাওয়ায় উপজেলায় তারা দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে আছে। স্মার্টফোন ছেড়ে পাড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ায় ৩ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। বাঁকী ৩৭ জনও ভালো ফল করে কৃতকার্য হয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় তারা জানতে পারেন, টেস্ট পরীক্ষায় খারাপ ফল করা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই স্মার্টফোনে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, পাবজি, ফ্রি-ফায়ারসহ বিভিন্ন গেমে আসক্ত থাকে। দিনের অধিকাংশ সময় তারা মোবাইল ফোনে ব্যস্ত সময় পার করতো। প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান ওই ৪০ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ডেকে স্মার্টফোনের কুফল সম্পর্কে বোঝান। তারপর তারা স্বেচ্ছায় বিদ্যালয়ে ফোন জমা দেয়। ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পাওয়া রাকিব হাসান, রুবেল রানা ও মো. রাকিব জানায়, প্রধান শিক্ষকের সুপরামর্শে আমরা পড়াশোনায় গভীর মনোনিবেশ করি এবং ভালো ফলাফল করি।
প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী আমার কাছে সন্তানতুল্য। তাদের ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। তারা আমার কথা মোতাবেক এবং অভিভাবকদের সাহসি ভূমিকার কারণে মোবাইল ফোন জমা রেখে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল পেতে সক্ষম হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা সেলিম আকতার বলেন, স্মার্টফোনে আসক্তি শিক্ষার্থীদের গাইড করা প্রত্যেক শিক্ষক-অভিভাবকের দায়িত্ব। প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।