গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রচন্ড গরমে আবারো বেড়ে গেছে লোডশেডিং। দিনরাত মিলিয়ে প্রায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘনঘন লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, অত্যধিক গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় ঘাটতি হচ্ছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুর রশীদ বলেছেন, উপজেলায় বিকেল পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে ১৩ মেগাওয়াট এবং সকালের দিকে সাড়ে ১৫ মেগাওয়াটের কাছে সাড়ে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাপ্লাই পাচ্ছি। যার ফলে দিনে রাতে গড়ে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলেছেন, গড়ে ৮ ঘন্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় লোডশেডিংয়ে ভয়াবহতা আরো বেশি।
চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ ও নূরহোসাইন বলেন, গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত আধা ঘন্টা পর পর লোডশেডিং দেওয়ায় মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অফপিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকলেও এত ঘন লোডশেডিং কেন জানতে চাইলে ডিজিএম আব্দুর রশীদ বলেন, বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত পিকিং প্লান্ট চলে। তার পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়। এছাড়া ওই সময় অটোভ্যান-রিক্সা চার্জ দেওয়ায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে মৌসুমী জলবায়ুর বৈরিতা কেটে বৃষ্টিপাত হলে লোডশেডিং অনেকাংশে কমে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।