সলঙ্গ (সিরাজগঞ্জ) থেকে ফারুক আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ফালগুণী হাওয়ায় থোকায় থোকায় দুলছে আমের মুকুল শীতের শেষে আম -গাছের কচি ডগা ভেদ করে সবুজ পাতার ফাঁকে হলদেটে মুকুল গাছ যেনো হাসছে গাছের সুনসান নীরবতা ঘিরে একটানা গান শোনাচ্ছে মৌমাছি। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছির গুন গুনে শব্দে মুখারিত সেই সাথে বিমোহিত করে তুলছে আমগাছি মালিকদেরকেও। কয়েক দিনের মধ্যে আমের মুকুল পরিণিত হবে এক পরিপূর্ণ দানায়। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত পুরো এলাকা।প্রত্যেক বাড়ির আঙ্গীনায় পতিত জমিগুলিতে আমের ভালো ফলনের মালিকদের আগামী স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। সেই সোনালি স্বপ্ন বুকে ধারণ করেই আমগাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকেরা । এদিকে, আমের ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,রাজশাহী চাপাই এলাকার মত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা গ্রাম-গঞ্জে আমের বাগান না থাকলেও থানার ৬টি ইউনিয়নে প্রতি বাড়িতে আমের গাছ লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি বাড়ির আম গাছে যেন থোকায় থোকায় আমের মুকুল ফুটে আছে। শষ্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আম লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আমের চাষাবাদ। আমশড়া গ্রামের আমগাছ পরিচর্যা কারী ওমর ফারুক বলেন,আমার তিনটি আমগাছ আছে তাতে সবগুলিতে মুকুল এসেছে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভাল হবে বলে আসা করছি। এবং নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে হাট – বাজারে বিক্রি করতে পারবো । সে কারণে এই সময়ে গাছে পোকার আক্রমণ না করতে পারে, মুকুল যেন ভালো থাকে সেজন্য কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এতে করে মুকুলে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারবে না মুকুলগুলোও ভালো থাকবে ও ভালো ফলন আসবে। এছাড়া গাছের গোড়ায় গর্ত করে সেখানে সার দেওয়া হচ্ছে যাতে গাছে পরিপূর্ণ মুকুল আসে ও ভালো ফল ধরে।
কয়েক জন আম চাষি রফিকুল ইসলাম, রেজাউল করিম ও আব্দুল আজিজ আকন্দ বলেন, ‘গতবছরে আমের বেশ ভালো দাম পেয়েছি। যার কারণে আমরা লাভবান হয়েছিলাম। এবারে গতবারের তুলনায় সবার আম বাগানের গাছগুলোতে আমের মুকুল অনেক ভালো এসেছে। গাছে মুকুল যেন ঠিকমতো আসতে পারে ও ঝড়ে না পরে সেজন্য সার, কীটনাশক ও সেচ দেওয়া হচ্ছে। তাতে করে আমরা আশা করছি এবারে আমের ভালো ফলন হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার আমের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এখানে বেশ ভালো আম চাষ হয়। চলতি বছর এই উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিসহ প্রত্যেক বাড়ির আঙ্গীনায় পতিত জমিগুলিতে আমের চাষাবাদ হচ্ছে। যা থেকে ৮ হাজার ৬৪ মে. টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতোমধ্যেই আমের মুকুল আসছে, এই সময়ে সাধারণত হুপার পোকার আক্রমণ করে। যার কারণে আমের মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বিচিং পদ্ধতিতে সেচ না দেওয়ার কারণে মুকুল শুকিয়ে ঝড়ে পড়ে। এগুলো থেকে রক্ষা পেতে ও ফলন ভালো পেতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমচাষিদের সবধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আমচাষিরাও সে মোতাবেক গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এতে এবারে আমের ভালো ফলনের আশা করছি।
সলঙ্গায় গাছে গাছে আমের মুকুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
One attachment • Scanned by Gmail