স্থানীয় তাড়াশ, শেরপুর, রায়গঞ্জ, পাবনা এলাকার হরেক রকমের দই মেলায় স্থান পায়। পাশাপাশি মেলায় খই, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, কদমা, রসগোল্লা, চমচমসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন দ্রব্যও বেচাকেনা স্থানীয় একাধিক ঘোষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও বেড়েছে। তবে মেলা দিনব্যাপী হলেও চাহিদা থাকায় কোনো ঘোষের দই অবিক্রিত থাকে না। যার কারণে মেলার আগেই ঘোষেরা দই তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ বলেন, তাড়াশের জমিদারী আমলে তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম দই মেলার প্রচলন করেছিলেন। কথিত আছে সবচেয়ে ভাল সুস্বাদু দই তৈরি কারী ঘোষকে জমিদারের পক্ষ থেকে উপঢৌকন প্রদান করা রেওয়াজ ছিল। তবে জমিদার আমল থেকে শুরু হওয়া দইয়ের মেলা এখনও মাঘ মাসের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে উৎসব আমেজে বসার বাৎসরিক রেওয়াজ এখনও আছে। তবে তা ৩ দিনের স্থলে ১ দিনব্যাপী হয়ে থাকে। আর সেই থেকে প্রতি বছর মাঘ মাসে স্বরসতী পূঁজার দিন শ্রী পঞ্চমী তিথিতে দই মেলার শুরু হয়। দইয়ের মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে।