ইরি বোরো এলে চালে দাম বা স্বস্তি ফিরবে আশা সাধারন মানুষের

Spread the love

মোঃ মুন্না হুসাইন :
দেশের বাজারে চালের চড়া দাম সাধারণ মানুষকে ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। দাম কমাতে সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলোর কার্যত কোনো সুফল মেলেনি। তাই শেষমেশ ইরি-বোরোকে ভরসা করে রয়েছে সবাই। তবে সময় যত এগিয়ে আসছে, প্রত্যাশা ততই কমছে। বোরো ধান ওঠার পর চালের দামে কতটুকু স্বস্তি ফিরবে—এখন সেটা নিয়েই শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত এক যুগের বেশি সময়ের তুলনায় সরকারের হাতে চালের মজুত কম। আর এ সময় সরকার আমদানি করতে কার্যত ব্যর্থ হয়ে দেশের বাজার থেকে বেশি পরিমাণ চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। তার একটি নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়তে পারে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সহায়তা বেড়ে যাওয়ায় আরেকটি প্রভাব বাজারে রয়ে গেছে।
তারা আরও বলছেন, দেশের কিছু অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ ও হিটশকের কারণে এ বছরের বোরোর ফলন কমেছে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক পানি স্বল্পতা ও করোনার কারণে শ্রমিক সংকটে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। সবমিলিয়ে এ বছর বোরো ধান ভোক্তাদের চালের দাম কমাতে কতটা সহায়ক হবে—সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
তাড়াশের কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘চালের দাম কমানোর ভালো সমাধান ছিল, আগে-ভাগে সরকারি পর্যায়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি। কিন্তু সরকার সেটা করতে পারেনি। এখন মজুত বাড়াতে দেশের অভ্যন্তরে বেশি বেশি চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহে দামও বেশি নির্ধারণ করেছে। এর প্রভাব বাজারে পড়বে।
এদিকে চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট  ১৮ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। মিলারদের কাছ থেকে নিতে প্রতি কেজি চালের দর ৪০ টাকা এবং কৃষকদের কাছ থেকে নিতে প্রতি কেজি ধানের দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর মিলারদের কাছ থেকে চার টাকা বেশি দরে চাল কেনা হচ্ছে। যদিও কৃষকদের বেড়েছে মাত্র এক টাকা।
গত বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল কেনা হয়েছিল। তবে বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় গত বোরো ও আমন মৌসুমে ধান-চাল কিনতে পারেনি সরকার। ফলে মজুতে বড় ধরনের ঘাটতি পড়ে, যা পূরণে বেশি চাল কেনা হবে এবার। তবে এ পরিমাণ চাল বাজার থেকে কিনে সরকার মজুত করলে তার প্রভাব বাজারে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এ বছর সেচ মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকের খরচ বেড়েছে। তাপদাহ, তীব্র খরা ও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দেড় থেকে দুই গুণ পর্যন্ত বেশি খরচ করে সেচ দিতে হয়েছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD