নয়া বাজারের চাষিদের কাছ থেকে প্রতি পিস তরমুজ ২০-২৫ টাকা কেজি দরে কিনে সেই তরমুজ বিক্রি করছেন ৪০-৫০ টাকা দরে। এতে খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।তাড়াশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা এক কেজি তরমুজের দাম ৪০-৫০ টাকা। ভালো মানের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। ৮ কেজির একটি তরমুজের জন্য ক্রেতাকে গুণতে হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৪৪০ টাকা।
তরমুজের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা চাষিদের কাছ থেকে শ’ হিসেবে তরমুজ কেনেন। তারা ১০ কেজি ওজনের তরমুজ শ’ হিসেবে কিনেন ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন ৩০ টাকা দরে। এতে প্রতি পিস তরমুজের দাম পড়ছে ৩০০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা সে তরমুজ ৬৫ থেকে ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি করায় দাম পড়ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
তাড়াশ মান্ননগরের বাজারে তরমুজের প্রায় ৪ থেকে ৫টি দোকান রয়েছে। মান্ননগরের অধিকাংশ তরমুজ বন পাড়া শ্রীরামপুর আড়ত থেকে সরবারহ হয়। তবে কোন আড়তদার পাইকারদের কাছে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করে না। তারা পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কেজি হিসেবে চড়া দরে এসব তরমুজ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।আবুল নামে এক আড়তদার বলেন, আমরা চাষিদের থেকে যে দরে ক্রয় করে আনছি তার থেকে সামান্য কিছু লাভ রেখে বিক্রি করছি। আমরা কেজি দরে বিক্রি করছি না। খুচরা ব্যবসায়ীরা যদি কেজি দরে বেশি দামে বিক্রি করে, এর দায়ভার আমাদের নয়।মান্নানগরের বাজার থেকে তরমুজ কিনে হাফিজুল শরিফ হাফিজ বলেন, ৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ অনেক দামাদামি করে ৬০ টাকা কেজি দরে ৩৫০ টাকায় কিনলাম। তরমুজের খুব দাম। এ বছর আর তরমুজ খামু না। তাড়াশের জেলা প্রশাসক মোঃ মেজবুল বলেন, আমরা খুব দ্রুত এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।
|