আবুল কালাম আজাদ :
নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রাইমারী স্কুলের এক সহকারি শিক্ষকের বাড়ির সামনে চলার পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি প্রভাবশালী মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে।উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া গ্রামে ভুক্তভোগি শিক্ষক আবুল বাশারের বাড়ি। তিনি উপজেলার মামুদপুর সরকারি প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক। বাবা মকবুল হোসেনও প্রাইমারীর সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ১০ দিন ধরে ওই পরিবারের ৭ সদস্য অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মকবুল হোসেন ও তার ছেলে শিক্ষক আবুল বাশার অভিযোগ করে বলেন, তারা ২৫ বছর ধরে উদবাড়িয়া মৌজার ৬৯১ দাগের অর্ধশতাংশ জমির ওপর বসবাস করছেন। বিনিময়ে তারা মজিবরকে বাড়ির দক্ষিণে ১ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে তারা দর্ধ শতাংশের জমিটি লিখে নেন। বাড়ি থেকে চলাচলের জন্য কাঁচা সড়ক ব্যবহার করা হতো। জমিটি তারা রেওয়াজ বদল সূত্রে ভোগ করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ১৭ এপ্রিল সকালে তাদের চলাচলের পথে বাঁশের বেড়া দেন মজিবর। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না ভুক্তভোগী শিক্ষক। এই অবরুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান তারা।
অভিযুক্ত মজিবর রহমানকে মোবাইল ফোনে এবং সরেজমিনে না পাওয়ায় তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাতিজা আব্দুল হাই ওরফে ফরিদ মাস্টার বলেন, মজিবরের দুলাভাই হন মকবুল হোসেন। ১ শতাংশ জমির দাগ ভুল নিয়ে তাদের মধ্যে দ্দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
শিক্ষক বাশার বলেন, মজিবরকে দেওয়া ১ শতাংশ জমির দাগ নং ৬৯০ এর স্থলে ভুলবশত ৪৯০ দাগ রেজিষ্ট্রি হয়েছিল। দলিলও ছিল তাদের কাছেই। তাছাড়া আমরা পুনরায় দলিলটি সংশোধন করে দিতে চেয়েছি। জমিটি ভোগদখলও তারাই করছেন। অথচ আমাদের অবরুদ্ধ করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। রমজানের ঈদের পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হবে।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|