সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা ৮, সংখ্যা ১০ বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

Spread the love

ভারতে পালানো নেতা-মন্ত্রীদের ফিরিয়ে আনা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী। সম্প্রতি কয়েকজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকে ভারতে ঘুরতে দেখা গেছে।
নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, তাদের ফেরত আনার কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আদালত চাইলে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রীদের ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতমঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা ভারতে ঘুরছে সেটি আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন বা জেনেছেন আমিও ঠিক ততটুকুই দেখেছি বা জেনেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমি এ মুহূর্তে জানি না। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হচ্ছে বা হয়েছে। আদালত থেকে যদি নির্দেশনা দেওয়া হয় তাদের হাজির করতে হবে অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। সূত্রঃ ইত্তেফাক।

সংলাপে ডাকা হচ্ছে না জাপাকে

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপে ডাক পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি (জাপা)।গত মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।তিনি লেখেন, ‘আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদের সহযোগী জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হচ্ছে না।’ সূত্রঃ ইনকিলাব।

তাড়াশের রানীহাটে ভূয়া প্রধান শিক্ষক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রানীহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ ছাড়াই দীর্ঘ দুই যুগ ধরে প্রধান শিক্ষকের চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ফরিদুল ইসলাম। অবৈধ চাকরির ব্যপারে স্বরল স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন তিনি। ( ৫ অক্টোবর) শনিবার ফরিদুল ইসলাম চলনবিল বার্তাকে বলেন, চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার মাত্র আট বছর বাকি রয়েছে। এ নিয়ে লেখালেখি করলে সন্মানহানী হবে আমার।
এদিকে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের নিয়োগ ও নিয়োগ বৈধকরণের বিষয়ে রানীহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষক নুরুল হুদা, কোয়াপ সদস্য জহুরুল ইসলাম ও অভিভাবক সদস্য রফিকুল ইসলামের সমন্বয়ে এক তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ২০১৯ সালের মে মাসের ১৭ তারিখে। তদন্ত প্রতিবেদনের মন্তবে বলা হয়, “ প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের নিয়োগ ও নিয়োগ বৈধকরণ ভূয়া। এ অপরাধে তার চাকরি করার বৈধতা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, রানীহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকরির ফাইল দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রানীহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি সুইচিং মং মারমা বলেন, অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সদরের তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পত্রে বলা হয়, অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আনিছুর রহমান সরকারী পরিপত্র অমান্য করে ও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ৪জন সিনিয়র শিক্ষককে টপকিয়ে গত ২৪-০২-২০১৯ ইং সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মো: আনিছুর রহমান ৪ (চার) বছরের অধিককাল দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপকভাবে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন।
এসবের মধ্যে আছে: পুকুর লিজ প্রতিবছর ৮,০০,০০০ (আট লক্ষ) টাকা হিসেবে ৪ বছরে ৩২,০০,০০০ (বত্রিশ লক্ষ) টাকা। ব্যাংকে জমা দিয়েছেন ২৭,০০,০০০ (সাতাশ লক্ষ) টাকা সুতরাং আত্মসাত করেছেন ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা। জমি লিজ ৪ বছরে ২,৪০,০০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা। এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ৪ জন শিক্ষকের ১,৪০,০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা। করোনাকালীন ১৫ মাস (১ বছর ৩ মাস) ছুটিতে থাকা হেফজখানা ও এতিমখানার ভুয়া ভাউচার করে ২,৬০,০০০ (দুই লক্ষ যাট হাজার) টাকা। বেঞ্চ তৈরি না করেও ১,১১,০০০ (এক লক্ষ এগারো হাজার) টাকার মিথ্যা ভাউচার। আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন ১৪,০০,০০০ (চৌদ্দ লক্ষ) টাকা। বিভিন্ন অনুদান থেকে প্রায় ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকাসহ মোট ২৮,৫১,০০০০ (আটাশ লক্ষ একান্ন হাজার) টাকা আত্মসাত করেছেন। তাছাড়া ২০১১ সালে ভুয়া নিবন্ধন দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সাথে প্রতারণা করে আরবী প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উক্ত পদে অব্যাহতি না দিয়ে একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে কিভাবে পুনরায় ২০১৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হন বিষয়টি বোধগম্য নয়। জানা গেছে, এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার কাছে অতি সম্প্রতি একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।

মহানবী (সা:) এঁর অবমাননার প্রতিবাদে তাড়াশে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

সাব্বির আহম্মেদ ঃ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভারতের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিধায়ক নিতিশরান কর্তৃক মহানবী (সা:) এঁর অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠি হয়েছে। শনিবার সকালে তাড়াশ উপজেলার সর্বস্তরের মুসলিম জনতার উদ্যোগে ওই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি তাড়াশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ শেষে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে হাফেজ মাও. আব্দুল ওয়াহাবের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা ভারত সরকারের কাছে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি কারীদের দ্রত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান। তা নাহলে আরো কঠোর কর্মসূচী দিবেন বলে হুশিয়ারি দেন। এতে বক্তব্য দেন, মাও. সাইফুল ইসলাম সিরাজী, মাও. আব্দুস সালাম ওসমানী, মাও. লুৎফর রহমান, মাও. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাও আব্দুর রহিম ফকির প্রমুখ।

তাড়াশে চেয়ারমান জ্ঞানেন্দ্রনাথ সহ আটক ৬

স্টাফ রিপোটাঁর ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নাশকতার মামলায় দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাকসহ ৬ জনকে আটক করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ ও র‌্যাব-১২’র একটি অভিযানিক দল। নাশকতার মামলায় হত বুধবার তাদেরকে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক , একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম, তাড়াশ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস নাজির উদ্দিন, নওগাঁ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বাবু হোসেন।উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ১১ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদারের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে, তার গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যা চেষ্টা এ মামলায় তাদের আটক করা হয়।এ ব্যাপারে র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বিএন) এম আবুল হাসান সবুজ জানান, নাশকতার মামলায় তাদেরকে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আটক করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করলে বৃহস্পতিবার তদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তাড়াশ পৌর সদরের সড়ক-রাস্তাগুলোর করুণ দশা !

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ পৌরসভা সদরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়ক, লেন, গলি ও রাস্তার করুণ দশার হেতু পৌরবাসীর সব ঋতুতেই চলাচলে নাকাল অবস্থা। তবে বৃষ্টি হলে তাদের ভোগান্তি বাড়ে বেশি। সদরের রাস্তাগুলোর কয়েকটি যেমন: তাড়াশ দক্ষিণপাড়া সড়ক, তাড়াশ দত্তবাড়ী হতে পাহাড় পুকুর পর্যন্ত ঘোষপাড়া সড়ক, হাফেজ সাহেবের বাড়ী হতে পশ্চিম ওয়াবদা বাঁধ, হাটখোলা পুকুর মোড় হতে ফিরোজ খাঁর বাড়ী পর্যন্ত নিচু রাস্তা, গ্রামীণ টাওয়ার হতে বাঁধ পর্যন্ত খান পাড়ার রাস্তা, সোনালী ব্যাংক হতে টেলিফোন মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপথ, তাড়াশ শাহী মসজিদের পূর্বপাড়া সড়ক, উপজেলা পরিষদের পূর্বে কোনাইাপাড়া রাস্তা, তাড়াশ জিকেএস মোড় হতে গোরস্থান পর্যন্ত সড়ক, গ্রামীণটাওয়ার হতে প্রফেসর পাড়ার রাস্তা, চক্ষু হাসপাতাল মোড় হতে দক্ষিণপাড়া সড়কসহ আরো কতিপয় মহল্লার সরু গলি, লেন ও রাস্তার চিত্র অত্যন্ত নাজুক। এসব রাস্তার অনেকগুলো এখনো কাঁচা, কিছু ইট বিছানো ও ঢালাই নষ্ট হয়ে চলাচল অনুপযোগী ও অন্যগুলো নানাভাবে বিনষ্ট হয়ে পথচারীদের দুর্ভোগ ও যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সদরের রাস্তা সড়ক সমূহের কার্যকরী সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে।

তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে অটোভ্যান গ্যারেজ অপসারণের দাবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ তাড়াশ সদরের সবচেয়ে বড় অটো ভ্যান গ্যারেজে পরিণত হয়েছে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনের চত্বর। আগে বাজারের এই অংশে কিছু ভাঙাচুরা জায়গা ছিল। কিছুকাল পূর্বে তাড়াশ পৌরসভা কর্তৃক মেরামত করা হলে এখানে একটি প্রশস্ত প্রাঙ্গণ তৈরি হয়। আর এই সুযোগে তাড়াশের পূর্ব-উত্তরাঞ্চলের যত অটো ভ্যান সহ ক্ষুদ্র যানবাহন সবগুলো তাড়াশ বাজারে পৌঁছে এখানে পার্কিং করে থাকে। ফলে প্রেসক্লাবের সম্মুখে গোটা খোলা চত্বরেই এখন অটো ভ্যানের গ্যারেজ নিত্যদিনের দৃশ্য। অথচ প্রেসক্লাবের সন্মুখ বলে তাড়াশ সদরে ছোটখাটো সভা সমাবেশ ও জমায়েত বা খোলা মঞ্চের প্রোগ্রামের জন্য এই জায়গাটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ভ্যান-ভুটভুটির উপদ্রবে এখানে কিছু করা যায় না। এমনকি মানুষের দাঁড়ানোও সম্ভব হয় না। মূলত: উপজেলা প্রশাসন বা পৌর কর্তৃপক্ষের বাজারে কোন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার প্রতি কার্যকর নজর না থাকায় এই দুর্দশা বা জনদুর্ভোগের সৃষ্টি। অবিলম্বে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ভ্যান গ্যারেজ অপসারণের জন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

বৃষ্টি হলেই তাড়াশ পৌর শহরে চরম ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সামান্য একটু বৃষ্ট হলেই তাড়াশ পৌর শহরের সদরে জনভোগান্তি বেড়ে যায়। বেহাল সড়কে মানুষের দুর্দশার অন্ত থাকে না। প্রথমেই উল্লেখ্য, তাড়াশ পৌর শহরের একমাত্র প্রধান বাজার সহ পৌর শহরের কোথাও জল এবং ময়লা পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বা নর্দমা নেই। উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক ব্যতীত পৌর পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ সড়ক, লেন ইট বিছানো অথবা কাঁচা মাটির। কয়েকটি রাস্তা অনেক আগের ঢালাই নির্মিত হলেও সেগুলো ভেঙ্গেচুড়ে খানা খন্দকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর ওপর পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর সড়কের অন্যতম ব্যস্ত সড়কে ইটের গুঁড়ার রাবিশ ফেলার দরুন অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে জল, কাঁদা, ময়লা, আবর্জনা খালের-নালার মতো সড়ক-রাস্তার উপর দিয়ে গড়িয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে পথচারী ও পরিবহন যানবাহন সবকিছুর চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। এছাড়া তাড়াশ বাজারে নর্দমা ও গণ শৌচাগার না থাকায় সংকট আরো প্রকট রূপ ধারণ করেছে। পৌরবাসীর এই সমস্যা নিরসনে পৌর প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করবে বলে এলাকাবাসী আাশা করে।

তাড়াশ বাজারে নিত্য পণ্যের মূল্য ঢাকার চেয়ে বেশী

স্টাফ রিপোর্টার ঃ চলনবিলের গোটা উপজেলাগুলোর মধ্যে তাড়াশ উপজেলা সদর বাজারই একমাত্র গ্রামীণ ব্যবসা কেন্দ্র যেখানে কিছু জিনিসের মূল্য ঢাকার বাজার দরের চেয়ে বেশী। এখানে চাল, ডাল, শাকসবজি, গুড়, চিনি, লবণ, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম যেটাই হোক মূল্য অত্যন্ত চড়া তথা লাগামছাড়া। তাড়াশ সদরে যে দুধ ৭০-৮০ টাকা লিটার তাড়াশের বাইরে যেকোন গ্রামীণ বাজারে তা ১০ থেকে ২০ টাকা মূল্য কম। শাকসবজির দাম তাড়াশের অপেক্ষা নিমগাছি হাটে অর্ধেক। এজন্য প্রতি সোম-বৃহস্পতি তাড়াশ থেকে বহু মানুষ নিমগাছি হাটে সবজি কেনাকাটার জন্য গিয়ে থাকে। তাড়াশ চলনবিল অন্তর্গত হলেও এখানে ইদানিং মাছের আমদানীও কম এবং বাজারমূল্য চড়া। অথচ পার্শ্ববর্তী চাঁচকৈড় তুলনামূলক বিশাল ব্যবসা-মোকাম সত্ত্বেবও সেখানে মাছ-মাংসের দাম তাড়াশের চেয়ে কম। মুদি আইটেমের জিনিসপত্রের মূল্যও তাড়াশ বাজারে আকাশছোঁয়া। এখানেও সব পণ্য বাজারে সিন্ডিকেট বিদ্যমান তা সহজেই বোঝা যায়। অন্যদিকে তাড়াশ পৌর বাজারটি উপজেলা সদরে হলেও উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিংএ তেমন কোন দৃষ্টি দেয় না। কালেকস্মিনে ভ্রাম্যমান কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা যায় মূল্যস্ফীতি ও যথেষ্ট দাম বাড়ানো ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উদাসীন। এজন্যই বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করে দাম উর্ধ্বমুখী বাড়িয়েই চলেছে যার কোনই লাগাম টানার খবর নেই।

তাড়াশে বিএনপির আলোচনা সভা

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার বিকেলে পৌর বিএনপি’ র দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তাড়াশ পৌর বিএনপির সভাপতি তপন গোস্বামীর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তাড়াশ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. বারিক খন্দকার, যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার সাইফুল ইসলাম, পৌর যুবদল নেতা মো. দুলাল হোসেন প্রমূখ। সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।এ সময় আসন্ন দুর্গাপুজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনে মন্দিরে মদিরে নেতা কর্মিদের সর্তক উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়।

সম্পাদকীয়

শুভ ও শান্তিপূর্ণ হোক আসন্ন দুর্গোৎসব

‘জন্ম থেকে জ্বলছি’- ট্রাকের জ্বালানী ট্যাংকারে লেখা থাকা সেই কথার মতো প্রায় ‘বহুদিন হল দেখছি’ বিশেষত: সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার সময় এলে নিরাপত্তা দিতে তোড়জোড় ও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় বিশেষ করে সরকারি মহলে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ উপলক্ষে নড়েচড়ে বসে। সাড়া দেশে সজাগ-সচেতন থাকার আহবান জানানো হয় যেন সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং বিশৃংখলা না ঘটে। ।যদিও রাষ্ট্রীয় তরফে সরকারের সেটা দায়িত্ব, কর্তব্য ও জবাবদিহির মধ্যে পড়ে। সরকারের জন্য পূজার বৈতরণী পাড় হওযা যেন একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। এখন প্রশ্ন হল,একটি গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক, শান্তিকামী সভ্য আধুনিক সমাজে এমনটা হবে কেন ? আমরা ছোটবেলায় এই তাড়াশে অনেক পূজা-পার্বণ দেখেছি, উপভোগ করেছি। সে আনন্দ-উল্লাসের-উচ্ছাসের কোন সীমা ছিল না। তখন তাড়াশে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল অধিক।পূজার আয়োজন-আরম্বর জাঁকজমক ও জৌলুষপূর্ণ ছিল এখনকার দিনের চেয়ে বেশি। উৎসাহ, উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য ছিল বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো।
তবে কোন প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ভয়ভীতি আতঙ্ক-আশঙ্কা দেখিনি তখনকার দিনগুলিতে। বরং আজো যেমন অতীতেও তেমনি মুসলিম জনগোষ্ঠী না এলে মনে হয় হিন্দুদের পূজা-পার্বণ জমতোই না, আনন্দের ঢেউ খেলতো না পরিপূর্ণরুপে। উভয় সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম ও আন্তরিক প্রীতির সম্মিলনে ও বন্ধনে শারদীয় পূজা হতো আনন্দে উল্লাসে ষোলকলায় পূর্ণ। সেটা ওই পুরোনো দিনের জনপ্রিয় গানের মতো- “আগে কি মোরা দিন কাটাইতাম”! তাহলে আজ এমনটি হল কেন? আজকে পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসে সবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়তে থাকে কেন। কেনই বা নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার দু:শ্চিন্তা বাড়ে? আমাদের স্থানীয় সমাজের প্রেক্ষাপট ধরলে এখানে হিন্দু মুসলিম এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস মাত্র, অন্যরা সংখ্যায় নগণ্য, ধর্তব্য নয়। আর এই দুই জনগোষ্ঠীর একত্রে মিলেমিশে মধুর সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বসবাস হাজার বছরের ইতিহাস। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা ভারতবর্ষেই। এই ধর্মীয় সম্প্রীতিই আমাদের সমাজের মূল সৌন্দর্য, শান্তির প্রতীক, অহিংসা, ভালোবাসা ও মানবতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা যে ইসলামের কথা বলি, তার মূল মর্মই তো প্রেম মানবতা ও শান্তি। থাক্ তো শারীরিক আক্রমণ-আগ্রাসন বরং একজন মুসলমানের জিহবা দ্বারা অন্যের ক্ষতি ও অশান্তি তথা কষ্ট দান করা এ ধর্মে নিষিদ্ধ। ইসলামে তো জবরদস্তি, বাড়াবাড়ি সম্পূর্ণ গর্হিত, বর্জিত।
অন্য ধর্মাবলম্বীদের জানমাল সুরক্ষায় ও তাদের প্রতি সহমর্মিতা ও প্রেমের নিদর্শনমূলক অসংখ্য দৃষ্টান্তের চমৎকার কাহিনী রয়েছে ইসলামের ইতিহাসে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বরঞ্চ প্রেম ,ভালোবাসায় ও মানবতায় মুগ্ধ, আকর্ষণ করেই তো ইসলামের প্রসার ও বিস্তার জগত জুড়ে। তাই যদি হয় তবে প্রশ্ন হলো,আজকে এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কেন বিভিন্ন বাহিনী আর নানা প্রকার জনবল, শক্তিমত্তা এবং সরকারী বিশাল কর্মযজ্ঞ দিয়ে সনাতন ধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও শান্তি-সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিশ্চিত নিñিদ্র নিরাপত্তা, নিস্কন্টক জীবনযাপন, ও বাধাহীন ধর্মচর্চা সহ সকল শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থার জন্য আমরা মুসলিমরাই তো গ্যারান্টর, জিম্মাদার, সদা সহযোগী ও অকৃত্রিম সুহৃদ, সেটাই আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য, ধর্ম। এর চেয়ে বড় ধর্মনিরপেক্ষতা আর কোথায় আছে। তাই আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে কোন ভয়ভীতি, সংশয়-সন্দেহ আদৌ থাকা উচিত নয়।এসত্বেও রাজনৈতিক শত্রুতার শংকা হেতু সতর্কতা অবলম্বন করতে হলে তার গভীরে গিয়ে রহস্য উন্মোচন করা জরুরী যেন তা স্থায়ীভাবে সমাধান করা যায়। শুধু তাদের পাশে নয়, সবাইকে সাথে নিয়েই তো নির্ভয়, নির্ভার ও মুক্ত অবারিত এই আনন্দঘন মুহূর্ত উদযাপিত হবে। আমরা কেবল বাঙালি জাতি নয়, আমরা তো মানবজাতি, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব ও মাখলুক। বিশেষভাবে স্মরণে রাখতে হবে যে, কোন মুসলিমের দ্বারা কোন অজুহাতেই স্বধর্মীয় বা অন্য ধর্মের কারোই ক্ষতি ও অকল্যাণ করা গ্রহণযোগ্য নয়, কল্পনা করা যায় না।একজন মনীষীর প্রাসঙ্গিক উক্তি “ তোমার ভিন্ন মত ও পথের সাথে আমি একমত হতে নাও পারি- তবে তা রক্ষায় ও প্রতিপালনে আমি জীবনও দিতে পারি।” এই হোক আমাদের সংকল্প এবং অঙ্গীকার। নির্বিঘœ, শুভ ও শান্তিপূর্ণ হোক আসন্ন দুর্গোৎসব – এই প্রত্যাশা।সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।

আবদুর রাজ্জাক রাজু
তোমাদের শত্রুরা বসে নেই
হে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নায়কেরা ঃ
তোমাদের শত্রুরা এক মুহূর্তের জন্য বসে নেই
তারা সদা-সর্বদা অন্তর্র্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল
অকার্যকর করতে অন্তর্নিহিত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা নানা ফ্রন্টে বিচিত্র কৌশলে বিভিন্ন ছদ্মাবরণে
তোমাদের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে নিরবে-নি:শব্দে
যেমনঃ পাহাড়ে, মাজারে, মন্দিরে,আনসারে, গার্মেন্টসের
শ্রমিকে, সংখ্যালঘুতে, জনপ্রশাসনে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, আদালত প্রাঙ্গনে
অসংখ্য দাবী-দাওয়ার মব জাস্টিসের আড়ালে, ঢাকা-জাহাঙ্গীর
নগরের ছাত্র হত্যা ও তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, খুনখারাবি
নানা বিদ্রোহ, প্রতিবাদ, অন্তর্ঘাত, অপপ্রচার,অপতথ্য গুজব
দেশে-বিদেশে সব ক্ষেত্রেই নীরব যুদ্ধ জারি রেখেছে
আর্থ-সামাজিক বিশৃংখলা,বিস্ফোরণ, নাশকতা ছড়াচ্ছে দেদারছে
লক্ষ্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন যেন সার্থক না হয়ে ভন্ডুল হয়ে যায়
তাই তোমাদের শত্রুরা বসে নেই তারা নিরন্তর নিবেদিতভাবে
তাদের প্রেত্মাতারা ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্র ও নকশা-পরিকল্পনা মিশন
বাস্তবায়নে অন্তরালে মরণপ্রাণ তৎপর রয়েছে- সেদিকে খেয়াল রেখে
তোমাদের সদা সতর্ক অতন্দ্র প্রহরীর মতো পথ চলতে হবে।

এ বিশ্বে অনেক বিপ্লবের প্রতি বিপ্লব হয়েছে
অনেক অভ্যুত্থানেরও পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটেছে
অনেক আন্দোলন ভেস্তে গেছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক মাফিয়া
চক্রের গভীর ও দীর্ঘ প্রচেষ্টার নাশকতার অন্তর্ঘাতে
সেদিকে সজাগ থাকতে হবে- পতিত অনেক ফ্যাসিস্ট
স্বৈরাচারী আবার ফিরে এসেছে নানা মুখোশে ও মুখায়বয়বে।
তারা ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী
দেশের পক্ষে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রণ হুংকার দিয়ে চলেছে।

তাই হে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীর নায়কেরা ঃ
তোমাদের “ রাষ্ট্র মেরামত ও রাষ্ট্র সংস্কার” এর স্বপ্ন সুদীর্ঘ সাধনা সাপেক্ষ
তোমাদের চলার পথ কখনোই মসৃণ হবে না – হবে না কুসুমাস্তীর্ণ
বরং হবে পাহাড় সমান চ্যালেঞ্জিং যা মোকাবেলায় তোমাদের
প্রতি মুহুর্তে প্রস্তুত থাকতে হবে- কারণ এ জাতির প্রকৃত মুক্তির
সফলতার পথ সহজ আর সংক্ষিপ্ত হবে না- হবে দীর্ঘতম, কঠিনতম
এমনকি হতে পারে আরোও ভয়াবহতম রক্তাক্ত,সাংঘর্ষিক …।

০৮-১০-২০২৪

দশ টাকার প্লাস্টিকের কৌটা
সনজু কাদের

তাড়াশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রায়ই নামাজ পড়তে যাই। সেখানে ফরজ নামাজ শেষে সামনে এসে হাজির হয় প্লাস্টিকের একটি কৌটা। সেখানে লেখা আছে আলহাজ্ব অধ্যাপক বাহাদুর আলী মিঞা। কম্পিউটারে কাগজে নামটি লিখে কৌটাটিতে আটকিয়ে নিজেই মসজিদে পাঠিয়েছেন। এমন একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি সামান্য ১০ টাকার প্লাস্টিকের কোটায় তার নাম লিখে রাখার বিষয়টি আমার কাছে কেমন যেন মনে হতো। তার নাম বাহাদুর আলী মিঞা। বাহাদুরের মতোই ছিল তার ছাত্র ও কর্মজীবন। জানা যায়, তিনি প্রথম শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত একাধারে ক্লাসে ফার্স্ট হতেন। ১৯৫৬ সালে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ছোনকা হাইস্কুল ও নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা হাই স্কুলে প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে তিনি বাংলা সাহিত্যে ১৯৬১ সালে বিএ ও ১৯৬২ সালে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। অনেকেই বলেন, তাড়াশ উপজেলার প্রথম উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি তিনি। তার আগে তাড়াশ উপজেলায় এমন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ছিল না বলে জানা যায়। ১৯৬৩ সালে তিনি কুমিল্লার পশ্চিম গাঁও নওয়াব ফয়জুন নেছা সরকারী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং সাফল্যের সাথে চাকরি জীবন শেষ করে জন্মভূমি তাড়াশে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাড়াশে এসে তিনি বড় একা হয়ে যান। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বাহিরে আসতেন না। সর্বদা ইবাদতের মধ্যে দিয়ে সময়টা কাটাতে চাইতেন। তাড়াশ পূর্ব পাড়া শাহী মসজিদটি কাঁচা ছিল। সবাই বলতো মাটির মসজিদ। বিষয়টি তার নজরে আসে। সমাজের সবাইকে নিয়ে মসজিদটি পাকা করেন এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তিনি তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর ছিলেন একজন আজীবন সদস্য। মিটিং হলে তিনি নির্দিষ্ট সময়েই ভ্যানে করে এসে হাজির হতেন। তিনি আমাকে খুবই ভালোবাসতেন। আমিও তাকে খুব শ্রদ্ধা করতাম। তার সাথে বসার ছলে অনেকক্ষণ গল্প করতাম। চা-বিস্কুট, ফলমূল যখন যা থাকতো আদর করে খেতে দিতেন। কখনো না খেয়ে আসতে দিতেন না।
আজ তিনি নেই। আমরা সবাই তাকে ভুলে গিয়েছে। ভুলে গিয়েছি তার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবনের সকল বন্ধু-বান্ধবী সহ চাকরি জীবনের সহকর্মীরা সবাই। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মরে গিয়েছেন সে খবরও অনেকেই রাখেন নি।
ছেলেরা, ছেলের বউয়েরা, আত্মীয়-স্বজনও তাকে ভুলে যাচ্ছে। কিন্তু ভুলে নাই তার মসজিদে রাখা ১০ টাকার প্লাস্টিকের কৌটা। নামাজের সময় এলে সামনে এসে হাজির হয়। সবাইকে মনে করিয়ে দেয় আলহাজ্ব অধ্যাপক বাহাদুর আলী মিঞাকে। প্লাস্টিকের কৌটাটি- নামাজীদের নিকট থেকে দান সংগ্রহ করে আল্লাহর ঘর মসজিদের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থেকে মরহুম বাহাদুর আলী মিঞার কাছে সওয়াব পৌঁছে দিচ্ছেন। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা আবার আল্লাহর কাছে ফিরে যাবো। তাই আসুন, আমরা মরার আগেই মরে যাই, ভুলে যাই অস্থায়ী এ দুনিয়ার সকল লোভ-লালসা। মরহুম অধ্যাপক বাহাদুর আলী মিঞার চেয়েও পৃথিবীতে রেখে যাই বড় বড় সওয়াব তৈরির কারখানা। যা হতে আমি আপনি সবাই উপকৃত হতে পারি।

তাল গাছ হ্রাস পাচ্ছে চলনবিলে
এম.আতিকুল ইসলাম বুলবুল
ভাদ্রের তাল নিয়ে চলনবিল অঞ্চলে মানুষের মুখে মুখে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি প্রবাদ বাক্য প্রচলিত আছে । যেমন- ‘ভাদ্র মাসের তাল না খেলে কালে ছাড়ে না’ ‘জামাই এমনি আসলিই খুশি, তার উপর আইছে দুডো তাল হাতে করি’, ‘ঘটি ডোবে না, নামে তাল পুকুর’,‘তাল পাকা গরম’, ‘তিল কুড়িয়ে তাল হয়’’। এ রকম আরো কিছু। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশেও আবহাওয়া জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে বজ্র্রপাতের হার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক জীবনহানির ঘটনা ঘটছে। এটা সহ নানা প্রেক্ষিতে দেশের সকল জনপদে জরুরি ভিত্তিতে নতুন করে বেশি বেশি তাল গাছ লাগিয়ে গাছের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম উঠছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা । আবার চলনবিল এলাকার ১০টি উপজেলায় এমন কোন গ্রাম নেই, যে গ্রামে এখনও পাঁচ- দশটি তাল গাছের দেখা মিলবে না। তবে ৮০ ও ৯০ দশকের তুলনায় তাল গাছ এবং তালের জন্য প্রসিদ্ধ চলনবিল অঞ্চলে নানা কারণে তাল গাছের সংখা ও তাল উৎপাদন অনেক কমে গেছে। তারপর এখনও তাল গাছ কমে যাওয়ার পরও চলনবিল এলাকায় ১০টি উপজেলার মধ্যে তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় সব চেয়ে বেশি তাল গাছ অবশিষ্ট আছে এবং মৌসুমে বেশি পরিমাণ তাল উৎপাদন হয়।
এ ছাড়া তাড়াশের তাড়াশ-ভুঞাগাঁতি আঞ্চলিক সড়কের ঐতিহ্যবাহি সারিবদ্ধ তাল গাছ দেখতে অনেক এলাকার লোকজন তাড়াশে এলে এখনও তাড়াশের তাল সড়ক পরিদর্শন করেন। অবশ্য, মধ্য ভাদ্র মাস থেকে শুরু হয়ে এরই মধ্যে এ অঞ্চলে আনুপাতিক হারে ভ্যাপসা ধরনের গরম বেড়ে গেছে। যে কারণে চলনবিল অঞ্চলের দশটি উপজেলা এলাকায় থাকা তাল গাছের তাল পাকতে শুরু করেছে। তাল পাকার কারণে গৃহস্থ কৃষক ও মৌসুমি তাল ব্যবসায়িদের পাকা তাল বেচা-কেনায় স্বল্প সময়ের জন্য হলেও মোটামুটি সরগরম হয়ে উঠেছে চলনবিল এলাকার ২৫ থেকে ৩০টি সাপ্তাহিক হাট ও বাজার। কারণ বর্তমান সময়েও এ অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে কৃষক বা গৃহস্থ বাড়িতে এখনও ভাদ্র মাসের শেষে চালের গুড়ার সাথে তাল রস মিশিয়ে পিঠার আয়োজন করার রেওয়াজ কিছুটা হলেও অবশিষ্ট আছে। এখনও গ্রামের অনেক বাড়িতে রীতিমত আয়োজন করে বৌ-ঝি নাইওরে এনে তালের রস, নারিকেল, দুধ, চিনি, গুড়, কিচমিচসহ নানা মসলায় তৈরি ক্ষীর, জামাই পিঠা, তাল রুটি, তাল বড়া, তাল ফুলঝুরি, তাল জিলাপি, তাল কেকসহ ১০ থেকে ১৫ পদের পিঠা তৈরী করে আপ্যায়ন চলে। তাই তাড়াশসহ চলনবিল এলাকার পাকা তাল পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, বাঘাবাড়ি, এনায়েতপুর, বেলকুচি, বেতিলসহ নাটোর, পাবনা, ঢাকা, বগুড়া এলাকায়ও বিক্রি হয় বেশ চড়া দামে। তাই মৌসুমি ফল তাল কিনতে মৌসুমি ব্যবসায়িরা এ এলাকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাছে থাকা পাকা বা পাকার উপযোগি তাল কিনছেন। পাশাপাশি এ সকল তালের বেশি দাম পেতে শহরের দিকে বাজার ধরছেন। আর এক একটি তাল গাছে ঝুলে থাকা বাঁধাসহ সমস্ত তাল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বেচা বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য নাম ও স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও মৌষা এবং লাল তালের দাম সব এলাকার হাট- বাজারেই বেশি। আর গাবরানো নামের তালের দাম কম।
তবে এ অঞ্চলে কৃষকের গাছ থেকে বাঁধাসহ কেনা প্রতি পিচ তাল পরিবহন, বাজারজাত খরচসহ ১০ খেকে ৩০ টাকা পড়ছে। যা চাহিদা থাকা এলাকায় নিয়ে গিয়ে সে তাল প্রতি পিচ প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। অন্যদিকে তালের জন্য প্রসিদ্ধ চলনবিল এলাকার গৃহস্থ কৃষকদের অভিযোগ, মৌসুমি তাল ব্যবসায়িরা বাঁধাসহ তাল কিনতে তাদের খুব করে ঠকান। কেননা শহরে মৌষা ও লাল তালের প্রতিটির দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা। অথচ মৌসুমি তাল ব্যবসায়িরা কৃষকদের দেন প্রতি পিচ গড়ে বড় জোর ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর বাড়িতে বা পুকুর পাড়ে বেশি তাল গাছ আছে এরকম অনেক কৃষক হাট-বাজারে গিয়ে ডালিতে করে তাল বিক্রি করতে এড়িয়ে যান। সে সুযোগটা লুফে নেন মৌসুমি তাল ব্যবসায়িরা। এত কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ব্যবসায়িরা হন লাভবান। তারপরও এটা ঠিক চলনবিলাঞ্চলে কমছে তাল গাছ ও তালের উৎপাদন। যা প্রকৃতি ও বসবাস করা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অশনি সংকেত। কারণ, ক্রমবর্ধমান বজ্রপাত হ্রাসে বেশী বেশী তাল গাছ রোপণ জরুরী হয়ে পড়েছে।

অবশেষে তাড়াশের চাঞ্চল্যকর হত্যার অভিযোগপত্র দাখিল

এম.আতিকুল ইসলাম বুলবুল ঃ ঘটনার দীর্ঘ আট মাস পর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার নিজের বাসায় আপন ভাগ্নের হাতে নির্মম ভাবে মা,বাবা ও মেয়ে সহ তিন জনকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার অবশেষে অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কাজে নিয়োজিত জেলা ডিবি পুলিশ।
আর হত্যার সাথে জড়িত একমাত্র আসামী ভাগ্নে রাজীব ভৌমিককে অভিযুক্ত করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিরাগঞ্জ আদালতে অভিযোগ পত্রটি দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ ডিবির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াদুদ আলী। মামলা সুত্রে প্রকাশ, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি নিজ বাসার তৃতীয় তলায় একটি ফ্লাটে হত্যাকান্ডের শিকার হন তাড়াশ পৌর এলাকার বারোয়ারি বটতলা মহল্লার মৃত কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), বিকাশের স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৩৮) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবি শিক্ষার্থী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)।
স্থানীয়দের ভাষ্য, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি রাতে বিকাশ সরকারকে বাজারে দেখা যায়। তারপর থেকে তাকে এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাচ্ছিলেন না। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের খোঁজ না পেয়ে বাসায় গিয়ে বিকাশের ফ্লাটে তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে বিকাশের স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন তাড়াশ থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ধ ফ্লাটের দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে মেঝে ও বিছানায় তিন জনের কুপিয়ে ও জবাই করা মরদেহ দেখতে পান। পাশাপশি ঘটনার পরপরই তৎকালিন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম মন্ডলের দিক নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ তদন্তে কাজের দায়িত্ব নেন।
তদন্তকালে কোনো চরমপন্থী দলের টার্গেটে না পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে-প্রাথমিক পর্যায়ে এ ধারণা নিয়ে ডিবির একটি টিম তদন্ত কাজ শুরু করেন। তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন একই বাসায় থাকা নিহত বিকাশ সরকারের বড় ভাই প্রকাশ সরকার, ভাতিজা অঙ্কন সরকার ও পরে তাড়াশ বাজার এলাকা থেকে ভাগ্নে রাজীব ভৌমিককে।
সেই সাথে তদন্তে প্রাথমিক পর্য্যায়ে হত্যার শিকার বিকাশ সরকারের একটি মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূত্রই পাল্টে দেয় মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি। পুলিশ নিশ্চিত হন, পাওনা টাকার জন্যই ঘটনার রাতে ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক (২৬) কৌশলে লোহার রড ও হাসুয়া দিয়ে একে একে তিন জনকে খুন করেন। এরপর ফ্লাটের দরজায় তালা ঝুঁলিয়ে চাবি ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত নিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে ৩১ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ রাজীব ভৌমিককে গ্রেফতার করলে সে হত্যাকান্ডের কথ স্বীকার করেন। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে রাজীব ভৌমিক আদালতেও ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
অবশেয়ে দীর্ঘ আট মাস তদন্ত শেষে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি ভাগ্নে রাজীব ভৌমিককে অভিযুক্ত করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। জানা যায়, তাড়াশ পৌর এলাকার শোলাপাড়া মহল্লার মৃত কালিচরণ সরকারের দুই ছেলে। বড় ছেলে প্রকাশ সরকার । তিনি এক সময়ে ঠিকাদারী করতেন। আর ছোট ছেলে বিকাশ সরকার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের তাড়াশ উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ও তাড়াশ গোপাল জিউ বিগ্রহেরও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তারা দুই ভাই প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারী বটতলার বাসার ৩য় তলার আলাদা দুটি ফ্লাটের বসবাস করতেন। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী অফিসার (বর্তমানে ঢাকার মিরপুর থানায় বদলী) উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো ওয়াদুদ আলী বলেন, নিবির তদন্ত শেষে মামলাটির চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে।আর মামলার বাদী বিকাশের স্ত্রীর বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। সেই সাথে দ্রুততম সময়ে খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও তারা দাবি করেন

শেষের পাতার ফিচার
চলনবিলে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির দেয়াল ঘর

সাব্বির আহম্মেদঃ চলনবিলে গরিবের এসি খ্যাত মাটির দেয়াল ঘর আজ বিলপ্তির পথে। তবে কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টি নন্দন কিছু মাটির ঘর। ঘরগুলোা মজবুত ও আরামদায়ক।
দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিলের তাড়াশ, চাটমোহর, গুরুদাসপুর, সিংড়া এলাকায় বেশির ভাগ বাড়ি ছিল মাটির। মাটির দেয়াল ঘর তৈরীতে খরচ কম হওয়ায় গরিব মানুষের আস্থা ছিল মাটির ঘরেই। নিরাপদ ও আরাম দায়ক বসবাসের জন্য মাটির ঘর এর বিকল্প ছিল ন।া তাই সবাই মাটির ঘর নির্মাণ করতো। মাটির ঘরে শীতকালে যেমন বেশী শীত অনুভুত হয় না তেমনি গরম কালেও বেশী গরম অনুভুত হয় না, যাকে বলে গরীবের এসি।এ ঘরের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো যুগের পর যুগ টিকে থাকে কোন রকম সংস্কার কাজ ছাড়াই। বাড়ীর মেয়েরা এসব ঘর এর দেয়াল লেপে আল্পনা এঁকে দৃষ্টিনন্দন করে রাখতেন। গুল্টা গ্রামের মাটির ঘরে বসবাসকারী ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ জানান, অল্প খরচে নির্মিত মাটির ঘর অতুলনীয়। মূলত গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে মাটির ঘর শীতল থাকে । আবার শীতকালে প্রচন্ড শীতেও ঘরের ভেতরে গরম অনুভূত হয়। ওয়াশীন গ্রামের আলামিন বলেন, শীত ও গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতে বসবাসের জন্য মাটির ঘর এর চেয়ে আরামদায়ক আর কিছু হতেই পারে না। তাই সামর্থ থাকার পরও মাটির ঘরের মায়া ছাড়ছি না।
জানা যায়, মাটি কাঁদা করে ১ থেকে ২ ফুট উচু করে প্রাচিরের মতো করে দেওয়াল দিতে হয়। এই দেয়াল সুকালে তার উপরে আবার দেওয়াল দিতে হয়, এভাবে কাংখিত উচ্চতায় পৌছালে তার উপর চাল দেয়া হয়। নতুন করে কেউ আর মাটির ঘর নির্মাণ করছে না। তবে বর্তমানে এই ঘর নির্মাণ করা কারিগরও খুঁজে পাওয়া কঠিন।ভাদাশ গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আক্কাস আলী বলেন,সময়ের প্রয়োজনে এবং মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির কারণে গ্রামের ঘরগুলো এখন টিন, ইট, বালু, পাথর দিয়ে তৈরি হওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে চলনবিলের এসি খ্যাত মাটির তৈরি দেয়াল ঘরগুলো।

তাড়াশের নওগা-হামকুড়িয়া রাস্তা পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগ

শফিউল হক বাবলু ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগা ইউনিয়নের নওগা হাট থেকে হামকুড়িয়া ওয়াবদাবাধ পর্যন্ত মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি পাকাকরন না হওয়ায় ৩টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, তাড়াশ উপজেলার নওগা ইউনিয়নের নওগা হাট থেকে হামকুড়িয়া ওয়াবদাবাধ পর্যন্ত মাত্র আড়াই কিলোমিটার আঞ্চলিক রাস্তাটি পাকা করন না হওয়ায় বি-রৌহালী,মহেশ-রৌহালী ও পং-রৌহালী ওই ৩টি গ্রামের প্রায় ১৫হাজার মানুষ যাতায়াতের জন্য চরম বিপাকে পড়েছে।বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীকে পায়ে হেটে চলাচল করতে হয়। ৩টি গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিখ্যাত নওগা হাটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না।যাতায়াতের জন্য ভ্যানে খাদ্যশস্য নিয়ে যেতে কয়েকগুন বেশী ভাড়া দিতে হয়। রাস্তার মাঝখানে বি-রৌহালী গ্রামে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পং-রৌহালী গ্রামে ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের আশা যাওয়ায় কষ্ঠের শেষ থাকেনা। তাড়াশ উপজেলা শহরে যেতে ওই সামান্য আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় সরাসরি যাতায়াত করা যায় না।তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফজলুর রহমান জানান, হামকুড়িয়া থেকে নওগা পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে, পাস হয়ে আসলেই কাজ শুরু করে দেয়া হবে।
তাড়াশে ১০ হাজার তালের বীজ রোপণ উদ্বোধন
আরিফুল ইসলাম,তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এন্টি ডিসক্রিমিনেশন সোস্যাল অর্গানাইজেশন নামক একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ১০ হাজার তাল বীজ রোপণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নে “নিজে বাঁচুন পরিবেশ বাঁচান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সকল সদস্যবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সভাপতি সবুজ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. জাকির হোসেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন সহ মোয়াজ্জেম হোসেন, লাবলু হোসেন, মাসুদ রানা প্রমূখ।

তাড়াশে মহাসড়কের পাশে মাছ বিক্রির ধুম
শফিউল হক বাবলু, তাড়াশ ঃ চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার বিল থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর ছোট মাছ ধরা পড়ছে। আর এ সব মাছ স্থানীয় আড়ৎ,হাট-বাজারে বিক্রি করার পরেও এলাকার গুরুত্ব পুর্ণ রাস্তার পাশে লাইন ধরে বসে থেকে মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বিশেষ করে হাটিকুমরুল- বনপাড়া মহা সড়কের পাশে সারিবদ্ধ ভাবে মাছ নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। হামকুড়িয়া গ্রামের উজ¦ল হোসেন জানান সকাল ১০টার মধ্যে আস-পাসের সকল আড়ৎ ও বাজার বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পর যারা মাছ ধরে তারা হাটিকুমরুল- বনপাড়া মহা সড়কের পাশে মাছ বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। অনেক প্রাইভেট কারের ও অন্যান্য যাত্রীরা গাড়ী দার করিয়ে বিলের তাজা টেংড়া,পুটি,গোচই.পাবদা,কই,শিং,বাইন সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ক্রয় করেন।
ওই গ্রামের কাশেম আলী জানান, স্যারদের যদি কোন মাছ পছন্দ হয় তবে অন্যান্য বাজারের চাইতে দাম বেশী পাওয়া যায়। তিনি আর ও জানান ছোট মাছ গুলো ধরে বেশীক্ষন তাজা রাখা যায় না তাই আমরা রাস্তার ধারে বসে বিক্রি করি। দাম ও ভাল পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মসগুল আজাদ জানান, এখন বিলের পানি নেমে যাবার সাথে সাথে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। বিশেষ করে ছোট মাছ গুলো বিক্রি করার জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী রাস্তার ধারে বসে মাছ বিক্রি করে বাড়তি আয়ের একটা সুযোগ পাচ্ছেন।
তাড়াশে পোনা মাছ বিক্রির হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ হলেও চলনবিলস্থ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এমনকি রাস্তার ধারেও কেনাবেচা হচ্ছে দেশীয় জাতের ছোট পোনা মাছ। তাড়াশ সহ চলনবিলের প্রায় সর্বত্র বর্ষাকাল এবং বছরের অন্যান্য সময়ও চলনবিলে পানি প্রবাহ থাকলে মৎস্যজীবী এবং সাধারণ মানুষ দেশীয় প্রজাতির পোনা শিকার করে খায় ও কেনাবেচা করে। চলতি বছরে গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চলনবিলের মাঠের পানি শুকিয়ে ধান ক্ষেতে প্রচন্ড গরমে মাছ আটকে গেলে লোকেরা প্রচুর ছোট পোনা মাছ ক্ষেতের মধ্যেই ধরে ফেলে। এছাড়া বর্ষাকালে সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় তাড়াশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত: চায়না দুয়ারী জালে ছোট পোনা মাছ নিধনের হিড়িক পড়েছে যদিও প্রচলিত আইনে এটা অবৈধ। এসব পোনা মাছ বড় হলে মানুষের বর্তমান মাছের সংকট থাকত না, বরং বহুলাংশে তাদের চাহিদা মিটে যেত। জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিস মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও লোকবলের অভাবে এ তৎপরতা বেশি অব্যাহত রাখতে পারে না। অধিকন্ত নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা না থাকায় উক্ত দপ্তর ইউএনও বা এসি ল্যান্ডের সহায়তা ছাড়া ঐ পদক্ষেপ নিতে পারে না।

তাড়াশ দক্ষিণ পাড়া সড়কের বেহাল দশা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ উপজেলা সদরের দক্ষিণ প্রবেশ মুখ থেকে শুরু হয়ে তাড়াশ-মহিষলুটি সড়কের জিকেএস প্রাইমারি স্কুলের মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার তাড়াশ দক্ষিণপাড়া পাকা রাস্তাটির দীর্ঘদিন হল বেহাল দশায় যানবাহন ও পথচারী যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। রিং রোড ধরনের তাড়াশ দক্ষিণপাড়া এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন সদরের ও বাইরের অসংখ্য মানুষও যানবাহন চলাচল করে। প্রায় ১০ বছর পূর্বে এলজিইডি কর্তৃক এই সড়কটি নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙেচুরে খানখন্দ তৈরি হওয়ায় যাতায়াতে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি ক্ষতির মূলে এর পার্শ্ববর্তী কিছু বসতিও দায়ী যারা নানাভাবে এ পথে উপদ্রব তথা নষ্ট-বিনষ্ট করে চলেছে। এজন্য সড়কের বিভিন্ন অংশে গর্ত আর ইট কার্পেটিং উঠে গিয়ে জন চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ সড়কের পাশে দিয়ে কিছু এনজিও অফিস ও তাড়াশ দক্ষিণ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। কিন্তু সড়কের দুর্দশার ফলে স্থানীয় মানুষ, স্কুলের শিক্ষার্থী ও যাত্রী পরিবহনকারী যানবাহন ধীরগতিতে চলছে কখনো বা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমতাবস্থায় তাড়াশ দক্ষিণপাড়া সড়কটির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও মেরামতের জন্য জরুরী উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

তাড়াশে চারা বীজ বিক্রি করেলাভবান কৃষক

শায়লা পারভীন ঃ খাদ্য শস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাধাইনগর এলাকার কৃষক জয়নুল আবেদিন। তিনি এক বিঘা জমিতে রোপা আমনের বীজতলা তৈরি করে ছিলেন। সে বীজতলার চারা বীজ দিয়ে তার ১৮ বিঘা জমিতে চারা ধান লাগান। এরপর ও উদ্বৃত্ত চারাবীজ প্রায় ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে লাভবান হন। এভাবে চলনবিলের উত্তরের তাড়াশসহ আশে-পাশের এলাকার রোপা আমনের উব্ধৃত্ত চারাবীজ ভাল দামে হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে বিলপাড়ের দক্ষিণ এলাকায়। এতে এক দিকে চারাবীজ বিক্রি করে যেমন উত্তর এলাকার কৃষক কিছু বাড়তি আয় করছেন। তেমনি বীজ সংকটে থাকা চলনবিলের অপর অংশের কৃষক বীজ পেয়ে পতিত জমিতে রোপা আমনের আবাদ নেমে পড়েছেন। ফলে চলনবিল অঞ্চলে এ বছর রোপা আমনের আবাদি জমির পরিমাণও বাড়ছে। তাই এ বছর অতিরিক্ত খাদ্য শস্য ধান উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর কৃষি বিভাগ।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রাসানিক সার, কীটনাশক ও চারা বীজের সংকট থাকা ও পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় চলনবিল এলাকায় রোপা আমন ধানের আবাদ বাড়ছে। আর চলনবিলের অন্য এলাকায় চারাবীজের সংকটে থাকা অনেক কৃষক তাড়াশ এলাকা থেকে তা সংগ্রহ করছেন। এতে উভয় এলাকার কৃষক লাভবান হচ্ছেন।

তাড়াশে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আলোচনা ও র‌্যালী
স্টাফ রিপোর্টার ঃ “শিক্ষকের কন্ঠস্বর, শিক্ষার নতুন সামাজিক অঙ্গীকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে গত শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে স্কুল-কলেজের শিক্ষক,শিক্ষিকা,কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বিভিন্ন দাবী তুলে ধরে ইউএনও’র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।পরে উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সলঙ্গায় এখনও ক্ষেতের আইল ও নৌকাই যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন

জি,এম স্বপ্না : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি অবহেলিত গ্রামের নাম সলঙ্গার রশিদপুর নয়াপাড়া।সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নে এই গ্রামের অবস্থান।গ্রাম থেকে বের হবার তেমন রাস্তা নেই।সভ্য যুগেও অসভ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা,ধান ক্ষেতের আইল তাদের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান রাস্তা।স্থানীয় স্বহৃদয়বান জমির মালিকরা যাতায়াতের জন্য জমির আইল কোন রকম প্রশস্ত করে দিয়েছেন।অপরদিকে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্বরস্বতী নদী। নদীর উপর নেই কোন ব্রীজ বা সেতু। গ্রামের ভিতরের একমাত্র রাস্তাটি নেমেছে স্বরস্বতী নদীতে।এ দিক দিয়ে পার হতে বর্ষা মৌসুমে সেই নদীর ঘাটে রশিটানা ডিঙ্গি নৌকাই পারাপারের একমাত্র ভরসা।খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো। গ্রামবাসীর উদ্যোগে নৌকা আর সাকোঁর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।শিশুদের পড়া লেখার জন্য। গ্রামে নেই কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। দু’হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস এই গ্রামে। পার্শ¦বর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুরত্ব আড়াই কিলোমিটার। গ্রামে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়াদের সংখ্যাও কম নয়। এসব শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ধান ক্ষেতের আইল আর নদীপার হয়েই দূরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়া করতে যেতে হয়।তাই শিক্ষার্থীসহ সবাইকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।যাতায়াতের নিদারুন কষ্ট নিয়ে বসবাস করছেন এ গ্রামের মানুষ যুগ যুগ ধরে।
রশিদপুর নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফ আলী, বেল্লাল ভুইয়া, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাই জানান, উপজেলার মধ্যে খুবই অবহেলিত গ্রাম রশিদপুর নয়াপাড়া। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই গ্রামে প্রবেশের একটি রাস্তার জন্য তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অনেকবার আবেদন করেছেন। আবেদন করেছেন পাশের অপ্রশস্ত সরস্বতী নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য। কিন্তু তাদের এই আবেদন কখনই আমলে নেয়নি কেউ। অবহেলিত গ্রাম রশিদপুরের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি চায় গ্রামবাসী।গ্রামবাসীর তদবীরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় পাটধারী পুর্বপাড়া থেকে নয়াপাড়া ময়নাল খন্দকারের বাড়ির পূর্বপাশ পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা সহ গ্রামের লোকজন নয়াপাড়ার ওয়াজেদ আলীর বাড়ি সংলগ্ন নদীর ঘাটে ঝুঁকি নিয়ে রশি টেনে নৌকায় পারাপার হয়। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে তাদের গ্রাম থেকে বের হওয়ার রাস্তা ও পাকাকরণ এবং স্বরস্বতী নদীর ওয়াজেদ আলীর বাড়ি সংলগ্ন নদীর ঘাটে একটি ব্রিজ বা সেতু নির্মাণসহ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি জোর আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের সাথে কথা হলে তিনি উক্ত গ্রামের লোকজন চলাচলের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান,পাটধারী থেকে রশিদপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং নদীতে একটি ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করা হবে। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, নতুন প্রকল্পের নির্দেশনা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

চাটমোহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেফতার

চাটমোহর প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম প্রামানিক গ্রেফতার হয়েছেন। পাবনা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই রাসেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর তাকে চাটমোহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি’র ওসি হাসান বাসির গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কী কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাকে থানাতেই রাখা হয়েছিল।এদিকে গত এক সপ্তাহে চাটমোহর থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লাপাড়ায় ডিমের আড়তকে জরিমানা
উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি ও ক্যাশ মেমো না থাকায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৩টি ডিমের আড়তকে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত সোমবার (৭ অক্টোবর) দিনভর উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মাহমুদ হাসান রনির নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। তিনি জানান, ডিমের বাজার অস্থিরতা রোধে উল্লাপাড়ার মোহনপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় যৌক্তিক মূল্যের বাইরে বিক্রি ও ক্যাশ মেমো না দেওয়ায় মুন এগ্রোভিটকে (পোল্ট্রি খামার) ২০ হাজার, কোরবান ডিমের আড়ত ও সিরাজ ডিমের আড়তকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত
শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে প্রেস ক্লাব চত্বরে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি এমএ জাফর লিটন সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল’র আলামিন হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির নির্বাচিত অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি রাসেল সরকার, শামছুর রহমান শিশির, শফিউল হাসান লাইফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জাকারিয়া ইসলাম, সাংগঠনিক কোরবান আলী লাভলু, দপ্তর ও পাঠাগার-বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মীর্জা হুমায়ুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে পিএম পলাশ, ক্রীড়া ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আমিরুল ইসলাম। এছাড়া অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক, তথ্য ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৫ জনসহ ৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গুরুদাসপুরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে ৫১তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ইউএনও সালমা আক্তার। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম আকতার, একাডেমিক সুপারভাইজার বজলুর রহমান, অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান ও চলনবিল প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আক্কাছ উপস্থিত ছিলেন।জানা যায়, উপজেলার ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কাবাডি, দাবা ও সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সকাল দশটায় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার।

তাড়াশ ও সিংড়ায় পূজায় নারকেলের দামও আকাশচুম্বি

তাড়াশ ও সিংড়া প্রতিনিধিঃ বাঙালির দরজায় কড়া নারছে শারদীয়া দূর্গা উৎসব। আর তারই প্রস্তুতি চলছে পাড়ায় পাড়ায়। অন্য দিকে পুজার ঘনিয়ে আসা সময়ে প্রতিমা শিল্পীরা বায়না করা প্রতিমায় রঙ্গের শেষ আচঁড় আঁকছেন। জোরেসোরে চলছে প্রতিটি পূজা মন্ডবের ডেকোরেশনের কাজ, পাশাপাশি চলছে টুকটাক পুজার প্রয়োজন দ্রব্যাদি কেনা কাটা। পূজা মন্ডবের বাহিরে অন্দর মহলে বা সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়িতে শেষ মর্হুতের ধোয়া মোছা, সাধ্য মত পরিবারের সদস্যদের পূঁজার পোশাক কেনা কাটা, পুজাকালের দরকারি খাবার উপকরণ সংগ্রহ করা, দরকারি জিনিস পত্রসহ নানান কিছু কেনা কাটায় বাড়ছে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্ততাও।
সেই সাথে পুজার অন্যতম অনুসঙ্গ পুজা কালে সংকল্প ও নাড়– তৈরির প্রধান উপকরণ নারকেল কেনায়ও চলছে তোরজোড়। যে নারকেল পুজার আগেই উচ্চবিত্ত থেকে নিন্মবিত্ত সবাই কম বেশি কেনেন। কিন্তু গত সাত আট দিনের ব্যবধানে চলনবিল অঞ্চলে সব ধরনের নারকেলের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে প্রতি জোড়া ছোট, মাঝারি, বড় আকারের সকল নারকেল সপ্তাহের ব্যবধানে জোড়ায় বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ওদিকে সিংড়ায় নারকেলের দাম এমুহুর্তে বেশী হলেও দুর্গপূজাকে ঘিরে বেড়েছে বেচাবিক্রি।

গুরুদাসপুরে ভাইবোনকে বঞ্চিত করে জমি আত্মসাৎ
গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে আশি বছর বয়সী বিধবা মা জরিনা বেগমকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনাটি গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। পুত্র হান্নানের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ায় তার জীবন এখন বিপন্ন। তাকে হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবার। জরিনা বেগম উপজেলার সাহাপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মরহুম নজিরুদ্দিন প্রামাণিকের স্ত্রী।
এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে গুরুদাসপুর পৌরসভার সামনে জরিনা বেগম (৮০) ও তার সম্পত্তি বঞ্চিত ছেলে নজরুল ইসলাম (৬২) সহ পাঁচ মেয়ে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃদ্ধা জরিনা বলেন, ‘ছোটবেটা হান্নান আমাক ডাক্তার দেক্যানির নাম করে উপজেলাত লিয়া য্যায়া সব জমি লেকি লিচে। ভাত কাপুড় দেয়না। আবার মারধর কইরি তাড়ায় দিচে। আমার টেকা, গয়না, জমি ঘুরত দিক’ বলে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

নন্দীগ্রামে বিএনপির কর্মী সভা

আরাফাত হোসেন, নন্দীগ্রাম প্রতিনিধিঃ নন্দীগ্রাম উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের স্থান বিএনপিতে নেই। গত ৫ আগস্ট এদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। জনগণ হচ্ছে বিএনপির শক্তির উৎস। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীদের এদেশের জনগণের চিন্তা-চেতনার কথা মাথায় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর তার প্রেত আত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তাই সামনে শারদীয় দূর্গোৎসব, আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন কোন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে। আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত দলের সকল ইউনিটের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

মহানবীকে কটুক্তি – গুরুদাসপুরে বিশাল বিক্ষোভ
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (স.) কে কটুক্তি করায় নাটোরের গুরুদাসপুরে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হাজার হাজার মুসলিম জনতা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের চাঁচকৈড় বাজার মারকাজ মসজিদ থেকে বের হয়ে থানার মোড়ে গিয়ে বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।
গুরুদাসপুরের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত পরিষদের ব্যানারে সংগ্রামী তৌহিদী মুসলিম জনতা ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লাতেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গুরুদাসপুর শাপলা চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকার, মুফতি আব্দুল আহাদ, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা এনামুল হাসান, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা মাহাদী হাসান প্রমুখ। ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরী মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানেকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানায় বিক্ষুব্ধ জনতা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD