গুরুদাসপুরে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Spread the love

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.  নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই পদে দুই ব্যাক্তির চাকরি করার খবর পাওয়া গেছে। একজন চাকরি করেন ২০০৫ সাল থেকে, অপরজন ২০১৯ সাল থেকে। পদটির নাম সহকারি গ্রন্থাগারিক। ওই পদে প্রথমে নিয়োগ পান আলেয়া খাতুন। তিনি এখন পর্যন্ত চাকরি করলেও বেতন হয়নি। তার ১৪ বছর পর ওই একই পদে নিয়োগ পাওয়া তাসলিমা খাতুনও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, কিন্তু তারও বেতন হয়নি। আবার হাজিরা বহিতেও স্বাক্ষর করছেন দু’জন। এতদিন পর এসে তাসলিমার অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন আলেয়া খাতুন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আলেয়া খাতুন বলেন- প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ায় এতদিন প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাননি। তিনি সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ একই পদে বিধি বহির্ভূতভাবে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ সুত্রে জানা যায়, নিয়োগদাতারাই আলেয়াকে জটিলতায় ফেলে পুনরায় ২০১৯ সালে তাসলিমা খাতুনকে ওই একই পদে স্কুল শাখায় নিয়োগ দেন। কলেজ শাখা এমপিও না হওয়ায় অদ্যাবধি বেতন হয়নি আলেয়ার। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী আলেয়াই এমপিওভুক্ত স্কুল শাখার সহকারি গ্রন্থাগারিক হিসেবে গণ্য হতে পারতেন। কিন্তু প্রচ্ছন্ন প্রতারণার শিকার হন তিনি। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওই একই পদে তাসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, সরকারি নিয়োগ বিধি মোতাবেক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারি গ্রন্থাগারিকের পদ রয়েছে ১টি। ওই পদে দুইজনকে নিয়োগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ২০০৫ সালে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন আলেয়া খাতুন। একই পদে ২০১৯ সালে নিয়োগ পাওয়া তাসলিমা খাতুনও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। বিষয়টির সুরাহ না হওয়ায় আমরা বিব্রত।
এ ব্যাপারে তৎকালীন অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন জানান, সহকারি গ্রন্থাগারিকের পদ ফাঁকা থাকায় তাসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই পদে আগে দেওয়া নিয়োগের কথা তিনি জানতেন না।
পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, সহকারি গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান পদ ফাঁকা থাকায় সেখানে তাসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কখনো অভিযোগ করেননি আলেয়া।
প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, একই পদে দুই ব্যক্তির চাকরি করার সুযোগ নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD