মোঃ মুন্না হুসাইন : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম আগে থেকেই চড়া। এর মধ্যে নতুন করে বাড়ল চাউল আটা-ময়দা ও মাছ-মাংসের সাথে তৈলের দাম।ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে আটা ও ময়দার দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বাণিজ্যিক খামারে চাষ করা বিভিন্ন মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা। নদী ও খাল-বিলের মাছের দাম অন্য সময়ের চেয়ে কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।
এদিকে, বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বৃহস্পতিবার খোলা সয়াবিন তৈল সামান্য বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে বৃহস্পতিবার ঐতিহ্যবাহী নওগাঁর হাটের দোকানগুলোতে সয়াবিন তৈল বিক্রি করতে দেখা যায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি সয়াবিন তৈল ১৯০ টাকা ও শরীসার তৈল প্রতি লিটার ২১০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। সরকার নির্ধারিত দাম ১৩৩ টাকা।গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। গত মাসেও এই দর ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ছিল।গোলাম মোর্তজা গোশত বিতানের বিক্রেতা মোঃ সামছু বলেন, নিজেরা চার-পাঁচটা গরু জবাই করি। তাই কম দামে (৬০০ টাকা) বেঁচতে পারছি। ব্রয়লার মুরগির দামও কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৫৫ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাঙাশ মাছের কেজি (আকারভেদে) ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়।বিক্রেতারা বলছেন, কিছুদিন আগেও এই মাছের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মাঝারি আকারের রুই, কাতল, মৃগেল ও কালবাউশের দাম এখন ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা। দাম বেড়েছে আটা ও ময়দারও। সরেজমিনে মান্নান নগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা বাজারে চাল বিক্রেতা মোঃ ছাত্তার আলী ২৯ শের চাউল বিক্রয় করছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। ওদিকে তাড়াশ পৌর সদর বাজারেও পণ্যমূল্য লাগামছাড়া। এ বিষয় সাধারন জনগন মোঃ তোফায়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এভাবে নিত্যপন্েযর জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে সামনে রোমজান মাস আমরা হয়তো রোযা রাখতে পারবো না। সরকারের বাজার মনিটরিং থাকা উচিৎ।