শাহজাহান তাড়াশ সিরাজগঞ্জ : তাড়াশে চলমান ট্রাক থেকে মাটি পড়তে পড়তে সর্বনাশ হয়েছে পাকা সড়কের। বৃষ্টিতেই সড়ক হয়ে ওঠে কাদায় পিচ্ছিল। ফলে অহরহ ঘটে দুর্ঘটনা। হতাহত হন এলাকার লোকজন। গতকাল সিরাজগঞ্জের কাদা পিচ্ছিল রাস্তায় যাতায়াতের সময় মোটর সাইকেল পিচলে ১৫/২০ জন আহত হয়েছেন। বিশেষ করে তাড়াশ হইতে বারুহাস রাস্তা,পরিদর্শন করে কাদা পিচ্ছিল রাস্তাল এ বেহাল অবস্থা জানা যায়। তাড়াশ-মান্নাননগর (ওয়াবদা) সড়ক মহিষলুটি হইতে নওগা বাজার,হামকুড়িয়া গ্রামীন জনপদের অবহেলিত রাস্তা,আমবাড়িয়া হইতে দক্ষিণ শ্যামপুর রাস্তা, নওগাঁ-খালকুলা মহাসড়ক সংলগ্ন রাস্তা সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটারে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, সড়কগুলি কাদা-পানিতে একাকার। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। একের পর এক দুর্ঘটনায় পড়ছে মোটরসাইকেল। বুধবার রাতে বৃষ্টি হাওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। বৃষ্টির পরে সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার তাড়াশের এই সকল রাস্তায় সড়ক ৬০ থেকে ৭০টি মোটরসাইকেল কাদায় পিছলে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাড়াশের চলনবিলে মাটি ইজারাদারেরা দেশের বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে থাকে। এ মাটি ট্রাকে নেয়ার সময় ছিটকে পড়ে সড়কের অবস্থা যাছেতাই করে ফেলে। তাড়াশ ওয়াবদাবাধের ঘরগ্রামের দুই পাশে কৃষকেরা ফসলি কেটে পুকুর খনন ও জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি করে দিচেছন। বারুহাস ইউনিয়নের কোহিত রাস্তায় একই অবস্তা বিরাজ করছে। এই মাটি আশপাশের গ্রামের বসতভিটা ভরাট করার জন্য নেয়া হচেছ। এ ছাড়াও এ মাটি যাচেছ জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন ইটভাটায়। মাটি নেয়ার জন্য সড়ক দিয়ে দিনরাত চলাচল করে ট্রাক ও ট্রলি। পরিবহনের সময় মাটি ছিটকে পড়ে সড়কে। রাতে বেশি কুয়াশা পড়লে সকালে সড়ক পিচিছল হয়ে থাকে। গত দুই দিন কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে কাদাপানির সৃষ্টি হয়েছে।
তাড়াশের এ সকল সড়ক হয়ে প্রতিদিন মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন হাজার মানুষ।এলাকার লোকেরা বলেন, মাটির ট্রাকের জন্য বিপদে আছি। এত দিন ধুলার মধ্যে ছিলাম। এখন কাদার মধ্যে আছাড় খেতে হচেছ। কখন যে হাত-পা ভেঙে পড়ে থাকি। প্রশাসনকে জানালেও বিষয়টি তারা দেখছে না। তাড়াশ উপজেলার ঘরগ্রামের সাইদুর রহমান হামকুড়িয়া গ্রামের মাওলানা আঃ মান্নান বলেন, এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মাটি বহনকারী ট্রাক যাওয়া-আসা করে। ট্রাকের চাকার ঘর্ষণে কাদামাটি দোকানের ভেতরে এসে পড়ে। আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় ট্রাক দিয়ে মাটি নেয়া হচেছ। ট্রাক যাওয়ার সময় মাটি সড়কে ছিটকে পড়ছে। তাড়াশ ইউএনওকে আমি একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েছি। এখন কার কাছে গেলে যে এর সমাধান পাব, জানি না।# শাহজাহান তাড়াশ,