তাড়াশে নেশায় আসক্ত হচ্ছে শিশুরা

Spread the love

চলনবিল প্রতিনিধিঃবয়স খুব একটা বেশি না ১০-১২ বছর। এই বয়সে যাদের বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা। তার পরিবর্তে মরণ নেশা গাঁজা এবং আঠা আসক্ত হয়ে পড়ছে শত শত শিশু। সাময়িক সুখের প্রত্যাশায় অন্ধকারের চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুরা। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে তাদের জীবন। জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। অনেক সময় মাদক বহনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে এসব শিশুরা। এমনি কিছু শিশু দেখা মিলছে সিরাজগঞ্জে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
সরেজমিন দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলার ৩নং সগুনা ইউনিয়ন সবুজ পাড়া, ঈশ্বরপুর,ধামাইচ বাজার,
চরকুশাবাড়ি, বিন্নাবাড়ি, কাঁটাবাড়ি, কুন্দইল, পতিরামপুর,
ধাপ তেঁতুলিয়া, সান্দুড়িয়া, লালুয়ামাঝিড়া আর বেশ কিছু এলাকায় কিছু শিশু বসে পলিথিন সেবন করে আঠা আর গাঁজা তো থাকেই।
সন্ধ্যা হলেই দেখা যায় অনেক শিশুদের পথে বসে সেবন করছে গাঁজা নামক এই নেশাদ্রব্য। কলকিতে কাপড়ের ভাঁজে ভরে কিছুক্ষণ পরপর মুখের সামনে নিয়ে শ্বাস টেনে নেশা করে তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গাঁজার পুরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে শিশুরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কলকিতে কাপর মোরানো দিয়ে গাঁজা ভিতরে পরে আগুন গুরা দিয়ে তারপর কলকিতে থেকে মুখ দিয়ে বাতাস টেনে নেয় এই গাঁজা। এই নেশায় আসক্ত বেশির ভাগ শিশুরা/ কিশোররা ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুরা সাধারণত গাঁজা, সিগারেট ও আঠা সেবন করে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা ফেনসিডিল ও হেরোইন সেবন করে। মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের কিশোর- তরুণদের নেশার অন্যতম উপকরণ ইয়াবা অথবা এলএসডি । তবে অধিকাংশ পথশিশু গাঁজা ও ড্যান্ডি নেশায় আসক্ত।
তবে তাড়াশে ১০- ২৫ বয়সীদের মধ্যে গাঁজা ও ড্যান্ডি সেবনের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
সগুনা ইউনিয়নে সবুজ পাড়া মাঠের সামনে কথা হয় ১২ বছরের এক শিশুর সাথে সে জানায়, ‘আমার সঙ্গে আমার অনেক বন্ধুরা থাকে। তারা সবাই গাঁজা খায়, তাই ওদের দেখা-দেখি আমিও গাঁজা খাই।
স্থানীয় সুশীল ব্যক্তিরা বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর বা পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, চেষ্টা করলে হয়তো এসব শিশুদের উদ্ধার করে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে পারে। সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলো এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারে। মাদকাসক্ত এসব শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা না হলে এরা বিপথগামী হয়ে পড়বে। অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়লে সমাজ অন্ধকারের পথে চলে যাবে। কাজেই এদের রক্ষার্থে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD