প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় পুলিশের হেফাজতে কথিত জিজ্ঞাসাবাদকালে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ করছে। পাশাপাশি এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠূ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।সংবাদসূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া গ্রামে স্ত্রী সাবিত্রী রানী (৩০) এর মৃত্যুর কারণে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ স্বামী হিমাংশু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিকেলে হিমাংশুর মৃত্যু হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে হিমাংশুকে থানার নারী-শিশু হেল্পডেস্ক কক্ষে নিয়ে কর্মকর্তারা তাঁকে খেতে দেন। এ সুযোগে সেখানে থাকা ওয়াই–ফাইয়ের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলে ঝুলে হিমাংশু আত্মহত্যা করেন। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হিরণ্ময় বর্মণ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হিমাংশুর মৃত্যু হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে, থানা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বলা হচ্ছে হিমাংশু ওয়াই–ফাইয়ের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন । এটা সর্বজনবিদিত যে হেল্পডেস্ক কক্ষে সবসময় লোকজন থাকে, সে সময়টিতে ওয়াই–ফাইয়ের তার সংগ্রহ ও গলায় পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলে ঝুলে আত্মহত্যা করা একেবারেই অসম্ভব। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে সেই কক্ষে সেই সময় কেউ উপস্থিত ছিল না, তারপরেও থানা কর্তৃপক্ষ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা কোনমতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। থানা হেফাজতে গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এম এস এফ থানা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রত্যাখ্যান করছে এবং পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু যে ভাবেই হোক না কেন মৃতের লাশের সুষ্ঠূ ময়নাতদন্ত করে তা প্রকাশ করার দাবি করছে। সেই সাথে দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।