চলনবিল প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারটির ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে নৌকার প্রার্থী ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে তালম ইউনিয়নে মো: আব্দুল খালেক ও মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নে মেহেদী হাসান ম্যাগনেট নৌকা প্রতীকে এবং সগুনা ইউনিয়নে জুলফিকার আলী ভুট্র ও দেশীগ্রাম ইউনিয়নে জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একযোগে ৩৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হয়। এবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তা শেষ হয়।তাড়াশ নির্বাচন অফিসার উজ্জ্বল কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য চারটি ইউনিয়ন পরিষদের এ নির্বাচনের মোট ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৯জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী এবং ১৪২ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এর মধ্যে কোন ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য, সাধারণ সদস্য কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি।
রাত ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাচনী কন্ট্রোলরুম থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, তালম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী মো: আব্দুল খালেক ৮ হাজার ১শত ৬০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদীন খান কে পরাজিত করে বিজয়ী হোন। অপরদিকে মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী মেহেদী হাসান ম্যাগনেট ১১ হাজার ৯শ ৪৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম কে পরাজিত করে বিজয়ী হোন।
অপরদিকে দেশীগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক চেয়ারম্যান পদে ৮ হাজার ১শ ২৪ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী মোঃ আব্দুল কুদ্দুস কে হারিয়ে বিজয়ী হোন। সগুনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মোঃ জুলফিকার আলী ভুট্র চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার ১শ ৮০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম চৌধুরী কে হারিয়ে বিজয়ী হোন ।
উল্লেখ্য, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি ও জুলফিকার আলী ভুট্র সগুনা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তারা বঞ্চিত হোন। পরবর্তীতে এ দুজন দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। তারা অভিযোগ তোলেন দল যথাযথ মূল্যায়ন না করায় তারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ কে রক্ষা করতে ভোটযুদ্ধে নামেন। এবং তারা জনতার প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যান।
তালম, সগুনা, মাগুড়াবিনোদ ও দেশীগ্রাম এই চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকল আইন শৃঙ্খংলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।ভোট অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়েছে মর্মে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবাউল করিম দাবি করেছেন।