বিশেষ প্রতিনিধি:তাড়াশে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সবগুলো সড়কের মাইলফলকের বেহাল দশার ফলে দূরত্ব ও এলাকা চিহ্নিত করতে মুশকিল হয়। বিশেষ করে প্রথমবার এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করার সময় গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মানুষজনের কাছে জেনে নিতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে তাড়াশ-গুরুদাসপুর মৈত্রী সড়কের কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর একটি মাইলফলক চোখে পড়ে। সেটা সড়কের পাশে আগাছার মধ্যে পড়ে আছে। এদিন সরজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ থেকে বারুহাস পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের মাইলফলকগুলোর ওপর শ্যাওলা পড়ে দূরত্ব ও এলাকা বোঝা যাচ্ছেনা। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘের তাড়াশ-কাটাগাড়ি আঞ্চলিক সড়কের মাঝে ভোগলমান চার মাথা বাজার পর্যন্ত ৩টি মাইলফলক নির্মাণের পর তাতে কিছু লেখা হয়নি। তাড়াশ-নাদোসৈয়দপুর সড়কের মাইলফলকগুলো প্রায় অর্ধেক করে বিন্যার মধ্যে ঢাকা পড়ে আছে। চলনবিল নামক একটি বাসের ভুক্তভোগী চালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাড়াশ-বারুহাস সড়কে চলাচলের সময় সড়কের দুপাশের বিভিন্ন গ্রাম দেখে দূরত্ব আন্দাজ করতে হয়। কারণ মাইলফলকের লেখা দেখা যায়না। ভোগলমান চার মাথা এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, তাড়াশ-কাটাগাড়ি আঞ্চলিক সড়কে মাইলফলক নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর ৬ মাসেও কিছু লেখা হয়নি।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা রাজু আহমেদ বলেন, সিংড়ার মানুষেরা সাধারণত চলনবিল পাড় হয়ে তাড়াশ-বারুহাস আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে তাড়াশে যাতায়াত করেন। কিন্তু মাইলফলকের বেহাল দশার কারণে লোকমুখে শুনে-শুনে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, সড়কগুলোর সংস্কার কাজ শেষে মাইলফলক করা হবে।