গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
‘আমার বোন কবরে, আসামি কেন বাহিরে’ শ্লোগানে স্কুল শিক্ষিকা লতিফা হেলেন মুঞ্জু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। হত্যাকান্ডের দুই বছর অতিবাহিত হলেও মূল আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক এমদাদুল হক, মাসুদুর রহমান, নুসরাত জাহান রিতা, আবুল বাশার প্রমুখ। এসময় নিহত মুঞ্জর মা মনোয়ারা বেগমের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে পড়ে। মানববন্ধনে বক্তারা মঞ্জুর হত্যার সাথে জড়িত বাইজিদ ইসলাম সোহাগসহ হামজা, মমিনুল ও আহসানের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। সেইসাথে দাবি করা হয়, তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার কারনে আসামীরা যেন পার না পায়।
২০১৯ সালের ২৩জুলাই বৃষ্টিস্নাত রাতে উপজেলার বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মুঞ্জুকে তার শয়ন ঘরে ধর্ষনের পরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। মুঞ্জু গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত নজিমুদ্দিনের মেয়ে। আসামী হামজা গ্রেপ্তার হলে অন্য আসামীরা এখনো অধরা। স্থানীয়রা জানান, হত্যার ১৩ বছর আগে দুই বছরের মেয়েকে রেখে আগের স্বামী মমিনুলের সাথে বিচ্ছেদ হয় মুঞ্জুর। এরপর বিয়ে করেননি তিনি। কিন্ত চাকরি পাওয়ার পর আগের স্বামী মমিনুল ও তার তিন বন্ধু সোহাগ, হামজা ও আহসানের লোভাতুর দৃষ্টি পরে মুঞ্জুর ওপর। মুঞ্জুর মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ঘরে স্ত্রী সন্তান থাকা সত্বেও সোহাগ মুঞ্জুকে বিয়ে করার জন্য উন্মাদ ছিলো। নানা প্রলোভন-হুমকিতেও বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মমিনুল, সোহাগ ও তার বন্ধুরা মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করে। নাটোর পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন জানান, তদন্ত চলছে। অগ্রগতিও হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছেনা। শিগগিরই রহস্য উন্মোচিত হবে।