শাহজাহান, তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ : চলনবিলের খালবিলে দূষণ, পুকুর-ডোবার বাণিজ্যিক মাছের চাষাবাদ, প্রজনন ঋতুতে অবাধে শিকার, সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে দেশিমাছ দারকুনি। মিঠাপানিতে বসবাসকারী হিসেবে পরিচিত, দৃষ্টিনন্দন ও সুস্বাদু এই মাছের সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, জনপ্রিয় ও পরিচিত দারকিনি মাছের অস্তিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হলে আগামী প্রজন্ম এ মাছ দেখার সুযোগ পাবে। সরজমিনে জানা যায়, চলনবিলে একসময় নদী নালা, খালবিল, পুকুর-ডোবায় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ত গোটা গায়ের মধ্যে কালো ডোরাকাটা দাগওয়ালা সোনারাঙা মাছটি। অঞ্চলভিত্তিক এই মাছটিকে দারকিনি, দারকিনা, দারখিলা, ডানকানা, ডানখিনা, চুক্কুনি, মলঙ্কা নামেও সম্বোধন করা হয়।চলনবিলসহ সারাদেশে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম বলে দামও বেশি। ১৯৯৮ সালের আইইউসিএন কর্তৃক সমীক্ষা করে জানা গেছে, নানাবিধ কারণে বাংলাদেশের ৫৪ প্রজাতির মাছ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে দারকিনিও একটি। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, এখন খালবিলে দারকিনি মাছ আগের মতো পাওয়া যায় না। মাছটি রক্ষার চেষ্টা চলছে। মাছটি কীভাবে চাষাবাদ করা যায় সে ব্যাপারে ডিএফআরআই গবেষণা করছে।