গোলাম মোস্তফা :
সিরাজগেঞ্জর তাড়াশে মুরগির বিষ্ঠা প্রক্রিয়াজাত না করে মাছের খাবারে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে মুরগির বিষ্ঠার তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নান, রিয়াজুল ইসলাম, খয়বার আলী ও রোখসানা খাতুনসহ অনেকে বলেন, মাছ চাষীরা সড়কের আশপাশে ও জনবসতি এলাকাতে মুরগির বিষ্ঠা স্তুপ করে রেখে দিচ্ছেন। সেসব স্থানে দুর্গন্ধযুক্ত মুরগির বিষ্ঠা দিনের পর দিন পড়ে রয়েছে। এরপর সুবিধা মতো পুকুরে ফেলছেন মাছ চাষীরা। মুরগির বিষ্ঠার উদভট গন্ধে নাকে মুখে কাপর চেপে থাকতে হচ্ছে। ঘরের দরজা জানালা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হচ্ছে।গত শুক্রবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, দিঘীসগুনা গ্রাম এলাকাতে তাড়াশ-গুরুদাসপুর মৈত্রী সড়কের পাশের একটি পুকুরে দেওয়ার জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছে মুরগির বিষ্ঠা ভর্তি বস্তা।
মাছচাষী আবুল কালাম, হামিদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ আলী ও জহির উদ্দীন বলেন, মুরগির বিষ্ঠা খাওয়ায়ে মাছ বড় করতে খুব কম খরচ হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, মুরগির বিষ্ঠা চার মাস মাটিতে পুঁতে রেখে জৈব সার তৈরি করা যায়। ১০০ কেজি গু থেকে ৫০ কেজির মতো টিএসপির গুণাগুণ সমৃদ্ধ জৈব সার পাওয়া সম্ভব। তারপর মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাবারে দেওয়া যায়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, প্রক্রিয়াজাত না করে মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাবারের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়। এ জন্য জনসচেনতাই মুখ্য।