মোঃ মুন্না হুসাইন :
পাঁচ কারণে দেশে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। করোনার প্রতিকূল পরিবেশে খামার এবং হ্যাচারি বন্ধ হয়ে যাওয়া, ফিড এবং বাচ্চার দাম বৃদ্ধি এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দর ছিল কেজি ১৬৫ টাকা। খুচরায় তা ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগির কেজি ছিল ৩৩০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি ২৫০ টাকায়। জানতে চাইলে দুই মাসের ব্যবধানে পোল্ট্রি ফিড ৫০ কেজি বস্তার দাম ২২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬৫০ টাকা হয়েছে। তবে যারা বাঁকিতে কিনে তাদেরকে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা আরও বেশি দিতে হয়।
এই সময়ে ফিডের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। করোনাকালে কোন কোন হ্যাচারি বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল। সেসময় ৩ টাকায়ও মুরগির বাচ্চা বিক্রি হয়েছিল। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। হোটেল-রেস্টুরেন্ট খুলেছে। আবার সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। সনাতন ধর্মীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে। মাহে রবিউল আউয়াল মাস শুরু হয়েছে।এসব কারণে বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু বাচ্চার উৎপাদন হঠাৎ করে বাড়ানো সম্ভব নয়। গতকাল একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৫৪ টাকা। এসব কারণে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। করোনাকালে সবাই প্রণোদনা পেলেও ছোট পোল্ট্রি খামারিরা পায়নি। করোনার কারণে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের আয় কমে গিয়েছিলে। লকডাউনে হোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। যেকারণে মুরগির দাম কম ছিল।
একারণে অনেক ক্ষুদ্র খামারি নিঃস্ব হয়েছে। তাছাড়া মুরগির বাচ্চা এবং ফিডের দামও বেড়ে গেছে। যেকারণে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। ফিডের দামে রাস টানতে সয়ামিল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তিনি জানান, মুরগি এমন একটি পণ্য যার মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক উৎপাদিত মুরগি দিয়ে ওই এলাকার চাহিদা মেটানো হয়। দূর-দূরান্ত থেকে খুব বেশি আনা-নেওয়া করতে হয় না। দূর-দূরান্ত থেকে আনা-নেওয়া করতে হলে দাম আরো বেড়ে যেত।চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণি সম্পাদক কর্মকর্তা ডা. রেয়াজুল হক বলেন, করোনার কারণে প্রতিকূল পরিবেশে টিকতে না পেরে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। যেকারণে বাজারে মুরগির কিছুটা সংকট রয়েছে। এছাড়া লালন-পালন ব্যয়ও বেড়েছে। তিনি জানান, দাম না পেলে খামারিরা মুরগি লালন-পালন করে না। দাম একটু বাড়তি থাকলে উৎপাদনও বেশি হয়