গোলাম মোস্তফা
চলনবিলে রাতে আলো দিয়ে মাছ ধরা যেন রীতিমতো উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিলের বিস্তীর্ণ মাঠ থেকে বন্যার পানি নামার সময় জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা আলোয় দেখে পলো ফেলে মাছ ধরেন প্রতি বছর।
চলনবিল অধ্যূষিত তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের আব্দুল মালেক, হান্নান আলী, নিজাম উদ্দীন, নাঈম হোসেন ও ফরিদুল ইসলাম বলেন, সন্ধার পর যখন অন্ধকার হতে শুরু করে, তারা লাইট, পলো ও মাছ রাখার জন্য পাতিল নিয়ে বিলে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। এরপর তারা সারিবদ্ধভাবে লাইটের আলো দিয়ে পানির নিচের মাছ খুঁজতে থাকেন। বিশেষকরে টাকি মাছ বেশি ধরেন। অন্যান্য দেশি প্রজাতির মাছও অল্প সংখ্যক পাওয়া যায়।
তারা আরো বলেন, দিন মজুরের কাজ শেষে বাড়তি টাকার আশায় রাতে মাছ ধরতে বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু এ বছর বিলের পানিতে মাছ খুব কম।
এদিকে সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের শৌখিন মাছ শিকারি জাকারুল ইসলাম, স্বপন ও শিফন আহমেদ বলেন, সাধারণত যেসব উপায়ে মাছ ধরা হয়, সবই না দেখে। কেবল আলো ও পলো দিয়ে মাছ ধরার পদ্ধতিই আগে নিজ চোখে দেখে, পরে পলো ফেলে মাছ ধরতে হয়। এভাবে মাছ ধরার মধ্যে এক দারুণ আনন্দ।
গত শুক্রবার রাতে সরজমিনে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় যতদূর দৃষ্টি যায়, শুধু আলো আর আলো। জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা আলো ও পলো নিয়ে বিলের পানিতে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, আলো ও পলো দিয়ে মাছ ধরা একটি উত্তম কৌশল। এতে মাছের বা অন্য কোন জলজ প্রাণীর ক্ষতি হয় না।