সোতিজালে রবিষশ্য ব্যাহত

Spread the love

গোলাম মোস্তফা :তাড়াশে হাটিকুমরুল বনপাড়া সড়কের ৯ নং সেতুসহ ভদ্রাবতী নদীতে একাধিক স্থানে অবৈধ সোতি জাল পেতে নির্বিচারে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে মাছের সাথে আটকা পড়ে মরে যাচ্ছে আরো অনেক জলজ প্রাণী।
এদিকে সোতিজাল পেতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে উর্বর খেতে সময় মতো জো না পেয়ে রবিষশ্য আবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের ভুক্তভোগী জেলে শব্দের আলী, আক্কাছ আলী ও চর হামকুরিয়া গ্রামের জেলে খাদেমুল ইসলাম বলেন, এ বছর বর্ষার পানিতে মাছ কম। এরপরও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সোতিজাল পেতে মাছ শিকার করছেন। ফলে আমাদের মতো জেলেদের মাছের দেখা পাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের কৃষক শামছুল আলম ও মফেল আলী জানিয়েছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে আমন ও আউশ ধানের আবাদ করা সম্ভব হয়নি। এরপর রবিষশ্য করা না গেলে তাদের মতো কৃষি নির্ভর মানুষজনকে আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হবে।
জানা গেছে, হাটিকুমরুল বনপাড়া সড়কের ৯ নং সেতুতে বড় দুইটি সোতিজাল পেতে রাখা হয়েছে। সেখানে পানির নিচে বাঁশ পুঁতে বিশেষ কৌশলে জালগুলো পাতা হয়েছে। এসব জাল থেকে রাতের শেষ ভাগে একবার মাছ সংগ্রহ করা হয়। আরেকবার সন্ধার পরে। এই সময় ওত পেতে না থাকলে নিজ চোখে মাছ নিধনের কর্মযজ্ঞ দেখা সম্ভব নয়।গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা গেছে, সন্ধার পর দুই নৌকা করে চারজন ব্যক্তি সোতি জাল থেকে মাছ সংগ্রহ করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৯ নং সেতু এলাকার এক দোকানদার বলেন, সোতি জাল পেতেছেন হামকুরিয়া খান পাড়ার লোকজন। কিন্তু তিনি কারো নাম জানাতে পারেননি।
এ দিন ভদ্রাবতী নদীরও রানীহাট এলাকা থেকে বারুহাস গ্রাম পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে সোতি জাল দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, ভদ্রাবতী নদীর সোতিগুলোয় একবার অভিযান চালানো হয়েছে। ৯ নং সেতুর সোতি জালের বিষয়ে জানা ছিলোনা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব স্থান থেকে সোতি জাল অপসারণ করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD