ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি ১৩ বছর ধরে বন্ধ। অ্যানালগ ও ডিজিটাল দুটি এক্স-রে যন্ত্রই দীর্ঘ দিন ধরে বিকল; এক্স-রে যন্ত্র চালানোর জন্য নেই রেডিওগ্রাফার। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৬টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কলেজছাত্র সেলিম হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে এক্স-রে যন্ত্র বিকল থাকায় ৫০০ টাকা দিয়ে বাইরে এক্স-রে করাতে হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটি স্থাপনের ৫ বছরের মাথায় ২০০০ সালের ১৪ অক্টোবর একটি অ্যানালগ এক্স-রে যন্ত্র চালু করা হয়। এরপর ২০০৩ সালের ১৯ মে এক্স-রে যন্ত্রটি বিকল হয়ে যায়। টেকনিশিয়ানরা এক্স-রে যন্ত্রটি মেরামতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় ১৩ বছর ধরে এক্স-রে সেবা বন্ধ। ২০১৫ সালে নভেম্বর মাসে আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র বরাদ্দ পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চালুর দুই মাসের মাথায় সেটিও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার মোশাররফ হোসেনও বদলি হয়ে চলে যান অন্যত্র। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ফি দিয়ে শহরের বেসরকারি বিভিন্ন রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছে এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃহালিমা খানম বলেন,রেডিওগ্রাফার না থাকায় এক্স-রে যন্ত্রটি চালু করা যাচ্ছে না। একজন রেডিওগ্রাফার পেলে এক্স-রে টি মেরামত করে চালু করা যেত