গোলাম মোস্তফা :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কচুরিপানা আবাদি জমির মধ্যে ঢুকে পড়ছে। ফলে বোনা আমন ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্যার পানি বাড়ার সাথে এ জলজ উদ্ভিদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।ভুক্তভোগী ছাচানদিঘী গ্রামের কৃষক রমিজুল ইসলাম, আব্দুস সবুর, বারুহাস গ্রামের কৃষক জমির মন্ডল, উলিপুর গ্রামের কৃষক খয়বার আলী, চকরোচুল্লা গ্রামের কৃষক নাজেম উদ্দীন ও ললুয়াকান্দি গ্রামের কৃষক সোবাহান সরকার বলেন, কচুরিপানা বিভিন্ন খাল ও ডোবা-নালা থেকে ধিরে ধিরে জমিতে ঢুকে পড়ছে। যার দরুণ বোনা আমন ধান পচে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, গত বছরও চরম বিপাকে পড়েছিলেন। কচুরিপানার কারণে শুধু ধান নষ্ট হয়নি, নৌকা চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছিলো। সেসময় নির্দিষ্ট এলাকার মানুষজনের গ্রাম থেকে বেড় হওয়াই মুশকীল হয়ে পড়েছিলো।
সরেজমিনে (২৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার বারুহাস ইউনিয়নের ছাচানদিঘী ও বারুহাস গ্রাম এলাকা, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের উলিপুর বৃ-পাচান গ্রাম এলাকা, নওগাঁ ইউনিয়নের ললুয়াকান্দি গ্রাম এলাকা, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদৌ সৈয়দপুর গ্রাম এলাকা, সগুনা ইউনিয়নের দীঘি সগুনা ও কামাড়শোন গ্রাম এলাকায় দেখা গেছে, কচুরিপানা আমন ধানের জমিতে ও বিস্তীর্ণ অনাবাদি মাঠে যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এসব এলাকার রাস্তার পাশে খালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর। যা ধিরে-ধিরে আশপাশের জমিতে ঢুকে ধানের ক্ষতি করছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেছেন, এটা মূলত স্থানীয় সমস্যা। কিন্তু গত বছরে তা চরম জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছিলো। কৃষকদের উচিত নিজ-নিজ এলাকা বিশেষকরে আবাদি জমির কচুরিপানা অল্প থাকতেই সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করে রাখা।