ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কোরবানির পশুর হাটে নির্ধারিত খাজনা আদায়ের পাশাপাশি চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে। এ চাঁদা আদায় নিয়ে একাধিক ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে হাট কমিটির বাক-বিতর্কসহ হাতা হাতি হয়েছে। প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।শনিবার সরেজমিন পৌর সদরের শরৎনগর বাজার গরু ও ছাগলের হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে অনেক গরু-ছাগল ও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়েছে। ইজারাদারের লোকজন হাটের বিভিন্ন প্রান্তে টেবিল নিয়ে বসে খাজনা আদায় করছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হাটের কোনো স্থানেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত কোনো তালিকা টানানো হয়নি। এ কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাধ্য করছে খাজনার সাথে চাঁদা দিতে।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রেতার কাছ থেকে প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য ৫শ’ টাকা ও ছাগল-ভেড়ার জন্য ২৫০ টাকা খাজনা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু নোয়া হচ্ছে গরু-মহিষ ৭শ টাকা, ছাগল-ভেড়া ৩শ টাকা। বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিধান না থাকলেও নেওয়া হচ্ছে গরু-মহিষ ২শ টাকা, ছাগল-ভেড়া ৫০ টাকা।একাধিক গরু ক্রেতা জানান, ইজারাদাররা গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে খাজনা নিচ্ছে কিন্তু রশিদে নির্ধারিত খাজনার জায়গা থাকলেও টাকার অঙ্ক লিখা হচ্ছে না। একাধিক গরু বিক্রেতা জানায়, তাদের কাছথেকে গরু প্রতি ২শ টাকা করে আদায় করছে। ক্রেতা ইসলাম মোল্লা জানান, ১২ হাজার ১৫০ টাকায় একটি খাসি ছাগল কিনে ৩শ’ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে। কিন্তু রশিদে সেই টাকার উল্লেখ নেই। ছাগল বিক্রেতা দৌলত আলী জানান, রশিদ লেখার জন্য নিয়েছে ৫০ টাকা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাটের ইজারাদার সামছুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আগামি হাটে এমন যেন না হয় সেদিকে নিশ্চিত করা হবে