তাড়াশে বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু জল

Spread the love

গোলাম মোস্তফা : ‘আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে-বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কবিতার জলের মতোই হাঁটু জলে ডুবে আছে মাঠ। এ মাঠের চারপাশে রয়েছে একাধিক বিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে ঈদের নামাজ পড়া হয়। এ মাঠের এক কোণায় বসে স্থানীয় সাপ্তাহিক হাটের কাঁচা বাজার। কিন্তু সেখানে এখন জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে ! সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বস্তুল ইসাহাক দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বৃষ্টির পানি আটকে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, বস্তুল ইসাহাক দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের দুপাশে বস্তুল টেকনিক্যাল এন্ড বি. এম. কলেজ,বস্তুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বস্তুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বস্তুল বাজার মসজিদ অবস্থিত। তিনি আরো বলেন, বস্তুল ইসাহাক দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের আয়তন অনেক বড়। সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার দিন সেখানে একপাশে কাঁচা তরকারির হাট বসে। বৃহত্তর বস্তুল গ্রামের ঈদের নামাজ ও অধিকাংশ জানাজার নামাজ সেখানেই পড়া হয়। তাছাড়া নিকটবর্তী কয়েক গ্রামের কিশোর ছেলে ও তরুণরা এ মাঠে খেলাধুলা করেন। বিকেলে মানুষজন সেখানে নিজেদের মতো করে সময় কাটান। স্থানীয়রা মাঠটি কেন্দ্রীয় মাঠ হিসেবেই ব্যবহার করেন। সবদিক বিবেচনায় এ মাঠের বেশ গুরুত্ব রয়েছে।সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দেখা গেছে, বস্তুল ইসাহাক দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যে কারেন্ট জাল পেতে রেখেছেন এক যুবক। কিন্তু মাঠের আশপাশে কোথাও পানি নেই।
বস্তুল ইসাহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াশিনি কুমার ভৌমিক বলেন, লোকজন মাঠের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে মাটি ফেলে উঁচু করেছেন। যে কারণে বিদ্যালয় মাঠ পুকুরের মতো হয়ে গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির বলেন, বস্তুল ইসাহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ মাটি দিয়ে ভরাট করা ছাড়া কোন উপায় নাই। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেছেন, শুষ্ক মৌসুমে মাটি ভরাট করে বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD