বর্ষা শুরু হলেই জাম পাকার ধুম 

Spread the love

মোঃ মুন্না হুসাইন :
বাজারে এসেছে রসালো জাম। থাকবে ১৫ থেকে ৩০ দিন। 
বাজারে অথবা ফলের দোকানে ঢুকলেই দেখবেন মৌসুমি ফলের পসরা। ফল তো অনেক আছে, তবে চোখ আটকাবে ছোট আকারের লম্বাটে, ডিম্বাকার বেগুনি কিংবা কালো রঙের ফলের ঝুড়িতে। এটি জাম, বাংলাদেশের মৌসুমি ফল। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন রসালো ও সুস্বাদু। জাম হালকা টক ও মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। ফলটি ১ থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার লম্বা, দেখতে খানিকটা আয়তাকার।
বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ও বর্ষা জুড়েই হরেক রকমের মৌসুমি ফল দেখা যায়। তবে বাজারে জাম থাকে এক মাসেরও কম সময়। ফল বিক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশে আলাদা করে হাইব্রিড জাতের জাম চাষ হয় না। ফলে, আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে জাম  পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আষাঢ় মাস শুরু হয়ে গেছে, এখন বাজারে জাম ওঠাও কমতে থাকবে।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ কলেজের রহিম প্রভাষক বলেন, ‘বাংলাদেশে জ্যৈষ্ঠের শেষ সপ্তাহ এবং আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ মিলে প্রায় ২০ দিন খাওয়ার উপযুক্ত জাম পাওয়া যায়। দেশে ব্যবসায়িক উদ্যোগে উন্নত জাতের জাম বা হাইব্রিড জামের চাষ হয় না। তাই বাজারে পাওয়া জামের সবটাই দেশি জাতের এবং বাড়ির আঙিনায় লাগানো গাছের। কোথাও কোথাও কিছু থাই (থাইল্যান্ড) জামও মিলবে। পুষ্টি ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ জাম খুবই উপাদেয় খাবার।’ তিনি বলেন, দেশে জামের ফলন সবচেয়ে সিরাজগঞ্জ, তাড়াশ,বন পারা,নাটর,চাটমহর, এবং রাজশাহী । তা ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি জাম হয়।
মান্নান নগরের জাম বিক্রেতা মোঃ ফরিদ বলেন, ‘বাজারে আর বড়জোর ১৫ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত জাম পাওয়া যাবে। বর্ষা শুরু হলেই জাম শেষ হয়ে যায়। বাজারে দুই ধরনের দেশি জাম আছে-ক্ষুদি (ছোট) ও মহিষে (বড়) জাম।’  পুষ্টিবিদদের তথ্য মতে, জামে প্রচুর পরিমান ক‍্যলোরি পাওয়া যায় তাই প্রচুর পরিমান জাম খাওয়া আমাদের দরকার। তাই জাম খাওয়ার আগে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখাই ভালো। যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাঁদের জন্য জাম ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া জামের আছে নানা ঔষধিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD