শাহজাহান আলী ঃ তাড়াশের নওগাঁ হাটে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল অবাধে বিক্রি হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নওগাঁ হাটে বর্ষার পানি আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। বর্তমানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই নির্ভয়ে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ক্রয় বিক্রয় করছে।
হাট কমিটির এক সদস্য বলেন,প্রতিহাটে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ম্যানেজ করেই এ সব চলছে। আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। চলনবিলের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে কারেন্টজাল বিক্রির একই দৃশ্য দেখা যায়। চলনবিলের পাবনার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার), মির্জাপুর ও শরৎগঞ্জ হাটে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এসব জাল দিয়ে নদী, খাল-বিলে দেশী প্রজাতির মাছ অবাধে নিধন করা হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ছোট বোয়াল মাছ নিধনের উৎসব চলছে। বর্ষার আরম্ভ থেকেই এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর তা আরো বেড়েছে । গুরুদাসপুরের জাল বিক্রেতা আলতাব হোসেন বলেন, কারেন্ট জাল বিক্রি অবৈধ কিনা জানি না। দীর্ঘদিন ধরেই তো এই জাল বিক্রি করছি। মাঝে মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ এসে হাটে থেকে জাল নিয়ে যায়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে হাট ও বিল থেকে কারেন্ট জাল ও বাদাই জাল আটক করে পোড়ানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জানান, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।