“যার কপাল মন্দ সে যায় কামারখন্দ।” এটি প্রবাদ বাক্য হলেও এক সময়ে বাস্তব ছিল। প্রবাদটির মত বোধ হয় আমারও কপাল মন্দ। তা না হলে শাহজাদপুর উপজেলার মত একটা বৃহৎ ও আধুনিক স্মার্ট উপজেলার নাগরিক হয়ে আমাকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য সপ্তাহে দুইদিন কামারখন্দের আলোকদিয়ার ‘খোকন চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন হাসপাতাল’-এ যেতে হয়। কামারখন্দে যাবার আগে কামারখন্দ সম্পর্কে একটা বিশ্বাস ছিল কামারখন্দের রাস্তাঘাট অবশ্যই ভাল হবে। কারণ এখানকার জনপ্রতিনিধি মাননীয় সাংসদ ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না। যিনি শুধু সিরাজগঞ্জ জেলায়ই নয় সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে একজন রুচিশীল,স্মার্ট, সৎজন ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, আপনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন ব্যক্তি। টকশোতে মাননীয় সাংসদের বক্তব্য যেমন সৃজনশীল, রুচিশীল ও যুক্তি নির্ভর, ঠিক তেমনি আশা করেছিলাম কামারখন্দের রাস্তাঘাট পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও ছিমছাম হবে। কিন্তু কামারখন্দের সদরের রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা দেখে আমি বড়ই হতাশ। বিশেষ করে সবেধন নীলমনি রাস্তাটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাবার কামারখন্দ হাট হতে জামতৈল মরহুম কোবাদ শেখ মোড় রেলগেট হয়ে কড্ডার মোড় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা খুবই পীড়াদায়ক। যা আমার মত অগণিত কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীদের জন্য ভোগান্তির যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তাছাড়া মাঝে মধ্যে কামারখন্দের হাট হতে কড্ডার মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের নামে যা দেখলাম তা বড়ই বিস্ময়। পরিশেষে বলতে চাই, মাননীয় সাংসদ আমার মত অগণিত দুর-দুরান্তের কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে অতিসত্বর রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর একটা কথা না বললেই নয় উল্লাপাড়া আর.এস. রেলগেট হতে ঘোল, মাঠার জন্য প্রসিদ্ধ সলপ বাজার হয়ে জামতৈলের ব্যস্ততম অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্তকরণের বিষয়ে দুই উপজেলা অর্থাৎ উল্লাপাড়া ও কামারখন্দের মাননীয় দুই সাংসদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। ‘ধন্যবাদ’
সুমন সাহা, শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ।