সলঙ্গা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল নাটোর রোডে অবস্থিত পপুলার ক্লিনিকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কথিত ডাঃ সোহেল রানা। জানাযায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়ন এর চরিয়া আকন্দ পাড়া গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে তামিম খেলতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে গেলে গত ২০ নেপ্টেম্বর তারিখে নিয়ে আসেন পপুলার ক্লিনিকে।
সেখানে অবস্থিত ডাঃ সোহেল রানা এক্সরে করে হাতের কব্জির হার ফেটে গেছে বলে জানায়। এক্সরে বাবদ ৩৫০ টাকা ও ডাঃ ফি আর ঔষধ বাবদ ৮০০ টাকা নিয়ে চিকিৎসা পত্র দিয়ে দেন। ১২ দিন পাড় হলেও তামিমের হাতের ব্যাথা না কমায় এমদাদুল গত ৩ অক্টোবর তারিখে পুনরায় সিরাজগঞ্জ রোডের অন্য হসপিটালে এক্সরে করান। তাতে দেখা যায় তামিমের ডান হাতের মাঝখানের হাড় ফেটে গেছে। তামিমের বাবা এমদাদুল হক অভিযোগ করে বলেন, গত ১০/১২ দিন ভুল চিকিৎসার জন্য আমার ছেলে কষ্ট পেয়েছে। নিকটবর্তী হওয়ায় আমি আমার ছেলেকে পপুলার এ নিয়ে যাই। ডাঃ সোহেল এমবিবিএস দেখানোর কথা বলে এক্সরে করায় এবং এক্সরে বাবদ ৩৫০ টাকা ও ঔষধ বাবদ ৮০০ টাকা নিয়ে ঔষধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বলেন কব্জির হার ফেটে গেছে ঔষধ খেলেই ভাল হয়ে যাবে।তামিমের হাতের ফুলা ও ব্যাথা না কমায় আমি আজ অন্য হসপিটালের নিয়ে গেলে এমবিবিএস ডাঃ ডিজিটাল এক্সরে দেখে জানান, ডান হাতের মাঝ বরাবর হাড় ফেটে গেছে। তিনি তামিমের হাতে ব্যান্ডেজ করে দেন। আজ আমি আবার পপুলার তামিমের এক্সরের রিপোর্ট চাইতে গেলে হারিয়ে ফেলিছি খুজে পাচ্ছিনা বলে জানায় ডাঃ সোহেল । আমি ভুল চিকিৎসার কারন জানতে চাইলে ডাঃ সোহেল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখি আচরণ ও করেন। আমার ছেলে ভুল চিকিৎসার কারনে যদি বড় কিছু হত আমি এই ভুয়া ডাঃ এর শাস্তি দাবি করছি।