গোলাম মোস্তফা: বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষটি স্থানীয়দের সবারই অপরিচিত। সপ্তাহ খানেক আগে হটাৎ তাড়াশ উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবে এসে বলেছিলেন এখানে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা পড়া যাবে ? সেই থেকে প্রতিদিন বেলা ১১ টার দিকে পত্রিকা পড়তে চলে আসেন ৭৩ বছর বয়সি জাহাজের অবসরপ্রাপ্ত সারেং গাজী কে এম আব্দুল কাদের । তিনি পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত বানিয়া বহু গ্রামের বাসিন্দা ও সাঁথীয়া খেতুয়াপাড়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৫ সালে ইত্তেফাককে জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে অদ্যাবধি নিয়মিত দৈনিক ইত্তেফাক পড়েন। তবে ওই সময় নিজ গ্রাম থেকে এক মাইল দূরে বনগ্রাম নামে একটি বাজার থেকে প্রতিদিন পত্রিকা সংগ্রহ করতেন। এরপর বাড়িতে গিয়ে প্রিয় পত্রিকাটি পড়তেন।
সারেং গাজী কে এম আব্দুল কাদের আরো বলেন, তাঁর দৃষ্টিতে দৈনিক ইত্তেফাকের সকল সংবাদ নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক। পত্রিকাটিতে মফস্বল সংবাদ বাংলাদেশের সব সংবাদ পত্রের তুলনায় বেশি থাকে। তাছাড়া দেশি-বিদেশি সব খবর তাঁর কাছে ভালোলাগে। মতামত, সম্পাদকীয় কিংবা উপ-সম্পাদকীয়গুলো যুগপযোগী ও তথ্যবহুল। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞাপনগুলি প্রকাশ হয়। তাইতো যুগযুগ ধরে ইত্তেফাক পড়েন। এখনও অনেক লোক বিজ্ঞাপন ও খবরের জন্য তাঁর কাছে ইত্তেফাকের পুরানো সংখ্যা খুঁজতে যান।
প্রসঙ্গত: ইত্তেফাকের এই পাঠক ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাশ করেন ও ১৯৭৪ সালে সাধারণ ইতিহাস বিভাগে অনার্স সম্পূর্ণ করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে জাহাজে চাকরি পেয়ে যান। সর্বপরি অবসরপ্রাপ্ত সারেং হিসেবে তার চাকরি জীবনের শেষ হয়। বৈবাহিক জীবনে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের বাবা। তাড়াশে তার বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।