মনিরুল, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গর্ভবতী স্ত্রী’র সন্তানের বাবা কে? স্বীকার করছেন না স্বামী। হতাশায় স্ত্রী। কি হবে সন্তানের ভবিষ্যত। ঘটনাটি ঘটিয়েছে, উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের সান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের ছোট মেয়ে রাজিয়া (১৪) খাতুনের জীবনে। জানা যায়,রাজিয়া বারুহাস মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী। তার বোনের চাচাতো দেবর দিঘরিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ওই গ্রামের ফোরকান আলীর ছেলে জুবায়ের আহমেদের সাথে সম্পর্ক হলে শরীয়াহ মোতাবেক হাদিস কালাম অনুযায়ী তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। মেয়ের দাবী অল্প বয়স হওয়ায় তারা কাবিন তথা বিয়ে রেজিঃ করতে পারেন নি। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করার পর সংসার চলাকালীন সময়ে তাদের দৈহিক মেলামেশায় স্ত্রী রাজিয়ার গর্ভে সন্তান আসলে উভয় পরিবার বিষয়টি জানে। কিন্ত স্বামী জুবায়ের আহমেদের বাবা ফোরকান আলী বিষয়টি ধামাচাপ দেওয়ার চেষ্টা করে। কাবিল না থাকায় স্বামী স্ত্রীকে সন্তান নষ্ট করার জন্য বার বার চাপ সৃষ্টি করলেও স্ত্রী তাতে রাজি না হয়ে সন্তান গর্ভে রেখে দেন। স্বামীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় হতদরিদ্র পরিবার হিসেবে রাজিয়ার বাবা সমাজে বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -জি আর ৮৯/২০ তাং ২৮-০৭-২০২০ ইং। আসামীরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন মামলার রাজিয়ার পরিবার। এদিকে মেয়েকে অসতী ভেবে গ্রামের প্রধান ব্যক্তিরা তার বাবাসহ পরিবারের সকলকে এক ঘরে করে রেখেছে। কপালে জুটেনি তাদের কোরবানীর মাংসও। অসহায় দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে রাজিয়ার পরিবার। বর্তমানে ৯ মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে রাজিয়া খাতুন দুশ্চিন্তায় জীবন যাপন করছেন। কি হবে এই সন্তানের ভবিষ্যত,কি দিবে বাবার পরিচয়? সাংবাদিকদের কাছে রাজিয়া বলেন, আমার গর্ভে সন্তানের জন্য আমি আত্মহত্যাও করতে পারছিনা। তা না হলে এতদিন কবে আত্মহত্যা করতাম। করিনি শুধু আমার এই সন্তানের জন্য। সে তো নিষ্পাপ। সে তো কোন দোষ করে নাই। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর যদি তার বাবার পরিচয় না থাকে তাহলে আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো। অপরদিকে অভিযুক্ত জুবায়ের আহম্মেদের সাথে অনেক চেষ্টার পরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। তবে তার বাবা ফোরকান আলী মোবাইল ফোনে বলেন, যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পন্ন মিথ্যা। ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানোর জন্য আমাদের জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, কোর্টে মামলা দেওয়া হয়েছে কোর্টে মোকাবেলা করবো। এ ব্যাপারে বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি সবে মাত্র জেনেছি। তবে ঘটনাটি ন্যাক্কারজক বটে। আমি চাই অপরাধীকে আইনী আওতায় এনে এর বিচার করা হোক। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরিদ হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্ট অব্যাহত আছে।