স্টাফ রিপোর্টার: প্রতারণার দায়ে আটক তাড়াশের ডি জে শাকিল ও তার সহযোগী কেউই রিমান্ডে থাকাকালে তাদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি এবং প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া টাকা তারা কোথায় রেখেছেন সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি।
উল্লেখ্য, নানা ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি (বর্তমানে সাময়িক বহিস্কৃত) ডি জে শাকিল ও তার দুই সহযোগীকে গত বুধবার রিমান্ড শেষে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে বগুড়া শহরের মালতিনগর মহল্লার দুই বাদী আমানুল্লাহ তারেক ও আশেক দৌলাতানের করা মামলায় রাব্বি শাকিল ও তার দুই সহযোগী হুমায়ন কবির লেমন এবং সাইফুল ইসলামকে তাড়াশ সদরে তাদের অফিস থেকে আটক করে বগুড়া ডিবি পুলিশ। এদিকে তাদের রিমান্ডের সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতারিত ব্যক্তিরা বগুড়া পুলিশের কাছে তাদের অভিযোগ পেশ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল কিছু জালিয়াতি ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও আসামীরা কেউই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী হননি। তাছাড়া প্রতারনার অর্থ তারা কোথায় গচ্ছিত রেখেছেন সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি। তাই শাকিলের ব্রাংক হিসাবে কী পরিমাণ অর্থ জমা আছে , আদালতের মাধ্যমে সেই তথ্য বের করার প্রক্রিয়া চলছে। সে উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে আবারো তাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।