গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন,- বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু না জেনেই অনেকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেন। স্লোগান দিয়ে আবার মাদকের ব্যবসা করে। বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দিয়েই আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর কাটে। থানা পুলিশকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়। আবার জুয়ার আসরে বসে। প্রকৃতপক্ষে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে না।
গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাল শেখের সভাপতিত্বে চাঁচকৈড়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবস পালনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় যুব মহিলালীগের সহসভাপতি এড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, ব্যবসায়ী আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন ও শামসুল হক শেখ, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদ সরকার ও সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ সরকার, ডা. মোহাম্মদ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন প্রমুখ।
পরপর পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুদ্দুস বলেন, আমরা তো রাজাকার না, আমরা মুক্তিযোদ্ধা। ইতিহাস যতদিন থাকবে, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। এলাকার বিএনপি, জামায়াত, জাতীয়পার্টি একটা কথাও বলতে পারবে না আমার বিরুদ্ধে। আমি যে কাজগুলো করেছি জনগণের উন্নয়নের জন্য করেছি। রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আঁতাত করে রাজনীতি করিনা, কোনোদিন করবও না।
৭৭ বছর বয়সের সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীতে কিন্তু স্ব স্ব জাতির একজনই নেতা হয়। আর সকলেই কর্মি। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর নেতা হয়েছে লাখো লাখো আর কর্মি হয়েছে হাজার হাজার। যারজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ হয়নি। চারদলীয় জোটের নিয়ন্ত্রক তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ঢাকায় গ্রেনেড হামলা হলে বাংলাদেশের কোথাও প্রতিবাদ করা হয়নি। আমি তখন সিংড়ার একটি জনসভা থেকে রাজশাহীতে যাই প্রতিবাদ করতে। তখন আমাকে গুলি করা হয়। কিন্তু গুলি লাগে না। তবে মরন মারা মেরেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট চক্র। বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিজের লেখা কবিতা জনসভায় উপস্থাপন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জনসভায় জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।