১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ শোকগাথা-১

Spread the love

মোঃ আব্দুস সামাদ, উলিপুর, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ

কার্য ব্যাপদেশে আজ সকালে তাড়াশ বাজার যেতে
হৃদয়চেরা খবরটা শুনি খেয়া মাঝির মুখে
ক্যারে বা সামাদ শুনেছ নাকি ? বলেন করুণ সুরে
মুজিবরকে নাকি মেরে ফেলেছে শুনছি নানা মুখে।

এমন দুরু কথা শুনে আত্মা চমকে যায়
না চাচা ! তা হতে পাারেনা এমন কথা কে রটায়
হ্যাঁরে বা সত্যি, রেডিওতে নাকি মেজর ডালিম কয়
ক্যারেবা ! এতবড় শত্রু তাঁর কে আছে বাংলায় ?

ভাবাই যায়না, অকল্পনীয় এমন কথা যদি আসে কানে
বিশ্বাস – অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে বুকে ধরফরানী জাগে
হতেই যা পারেনা তাই, খেয়া মাঝি কয়
সাধারণ লোক কি আর জানে বিশ্বাস নাহি হয়।

খেয়া মাঝির কথা মোটেই বিশ্বাস নাহি করি
অবিশ্বাস্য ভাব নিয়েই বাজারের পথ ধরি
কম্পিত পায়ে দুরুদুরু বুকে হই আগুয়ান
এক মাইল পথ যেন হল একশ মাইলের সমান।

অস্থির মনে ক্ষণ পরে যখন তাড়াশ বাজার পৌঁছাই
জাফর চাচার চায়ের দোকানে জনতার ভীড় দেখতে পাই
জনমনে চলছে কথাটি নিয়ে চাপা গুঞ্জন
রেডিও খুলে বসে শুনছে সবাই মন উচাটন।

রেডিওতে সেনাবাহিনীর কন্ঠ শোনা যায়
মোস্তাকের সরকারকে তারা আনুগত্য জানায়
অবশেষে রক্ষী বাহিনী তারাও সমর্থন দেয়
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নিয়ে আর রইলনা সংশয়।

মুক্তিযোদ্ধা মতি চাচা বুক চাপড়াইয়া কয়
হায়! হায়রে!! “একি শুনি ! কল্জা ফেটে যায়”
বঙ্গবন্ধু নিহত! কোন ব্যাটারা কয় ?
হযরত উমরের মতই উক্তি তার কন্ঠে শোনা যায়।

শেখ মুজিবকে মারবে কেন ? মারবে কোন্ শালা
যে বলবে এমন কথা, কাটবো তার গলা।
কেউ কেউ আবার গর্জে উঠে বজ্র মুষ্ঠি করে
“খুনি শালাদের কেটে ফালাবো একশো টুকরা করে”।

যে দিকেই তাকাই থমথমে ভাব, যেন শোকের পুরী
বঙ্গ বন্ধু নাই একথা কেউ সইতে নাহি পারি
অধিক শোকে পাথর কেউ আফসোস করে বলে
মুজিবহীন ধরায় মোদের বেঁচে আর কি হবে?

চারিদিকে বিরাজ করে নয়া শাসকের ভীতি
এখন থেকে চলবে না আর শেখের প্রতি প্রীতি
এমন তরো প্রচারনায় জনমনে ভয়
সে ভয় দলে জনতা তবু শেখের কথা কয়।

১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ শোকগাথা-১
মোঃ আব্দুস সামাদ, উলিপুর, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ

কার্য ব্যাপদেশে আজ সকালে তাড়াশ বাজার যেতে
হৃদয়চেরা খবরটা শুনি খেয়া মাঝির মুখে
ক্যারে বা সামাদ শুনেছ নাকি ? বলেন করুণ সুরে
মুজিবরকে নাকি মেরে ফেলেছে শুনছি নানা মুখে।

এমন দুরু কথা শুনে আত্মা চমকে যায়
না চাচা ! তা হতে পাারেনা এমন কথা কে রটায়
হ্যাঁরে বা সত্যি, রেডিওতে নাকি মেজর ডালিম কয়
ক্যারেবা ! এতবড় শত্রু তাঁর কে আছে বাংলায় ?

ভাবাই যায়না, অকল্পনীয় এমন কথা যদি আসে কানে
বিশ্বাস – অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে বুকে ধরফরানী জাগে
হতেই যা পারেনা তাই, খেয়া মাঝি কয়
সাধারণ লোক কি আর জানে বিশ্বাস নাহি হয়।

খেয়া মাঝির কথা মোটেই বিশ্বাস নাহি করি
অবিশ্বাস্য ভাব নিয়েই বাজারের পথ ধরি
কম্পিত পায়ে দুরুদুরু বুকে হই আগুয়ান
এক মাইল পথ যেন হল একশ মাইলের সমান।

অস্থির মনে ক্ষণ পরে যখন তাড়াশ বাজার পৌঁছাই
জাফর চাচার চায়ের দোকানে জনতার ভীড় দেখতে পাই
জনমনে চলছে কথাটি নিয়ে চাপা গুঞ্জন
রেডিও খুলে বসে শুনছে সবাই মন উচাটন।

রেডিওতে সেনাবাহিনীর কন্ঠ শোনা যায়
মোস্তাকের সরকারকে তারা আনুগত্য জানায়
অবশেষে রক্ষী বাহিনী তারাও সমর্থন দেয়
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নিয়ে আর রইলনা সংশয়।

মুক্তিযোদ্ধা মতি চাচা বুক চাপড়াইয়া কয়
হায়! হায়রে!! “একি শুনি ! কল্জা ফেটে যায়”
বঙ্গবন্ধু নিহত! কোন ব্যাটারা কয় ?
হযরত উমরের মতই উক্তি তার কন্ঠে শোনা যায়।

শেখ মুজিবকে মারবে কেন ? মারবে কোন্ শালা
যে বলবে এমন কথা, কাটবো তার গলা।
কেউ কেউ আবার গর্জে উঠে বজ্র মুষ্ঠি করে
“খুনি শালাদের কেটে ফালাবো একশো টুকরা করে”।

যে দিকেই তাকাই থমথমে ভাব, যেন শোকের পুরী
বঙ্গ বন্ধু নাই একথা কেউ সইতে নাহি পারি
অধিক শোকে পাথর কেউ আফসোস করে বলে
মুজিবহীন ধরায় মোদের বেঁচে আর কি হবে?

চারিদিকে বিরাজ করে নয়া শাসকের ভীতি
এখন থেকে চলবে না আর শেখের প্রতি প্রীতি
এমন তরো প্রচারনায় জনমনে ভয়
সে ভয় দলে জনতা তবু শেখের কথা কয়।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD