মানবতার ফেরিওয়ালা অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি

Spread the love

রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলংগা’র ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন

 

শামিউল হক শামীম

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ একজন সৎ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তিনি ছোট বয়স থেকেই সর্বদাই সত্য কথা বলতেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। অন্যায়কে তিনি কখনও প্রশ্রয় দেননি। জীবনে তিল তিল করে গড়ে তোলা সততার উপর দাড়িয়ে বলিষ্ঠ কন্ঠে সকলের উদ্দ্যেশে বলেন, আমি আমার জীবনকে সাদা পোশাকের মতো তৈরি করেছি। আমি আমার চরিত্রে কখনও কোন স্পট লাগাতে দেই নাই। বঙ্গবন্ধুর কণ্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের একজন সেবক হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাস জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবো।

তিনি বলেন, আমি আমার নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সকল পর্যায়ের কাজ করছি। আমি মনে করি, একটি এলাকার উন্নয়ন বলতে অনেক কিছুই বুঝায়। তাইতো জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে সর্বদাই ছুটে চলেছি। উন্নয়ন কতোটুকু করতে পেরেছি তা আপনারা সকলেই দেখছেন। আমি শপথ নেওয়ার পরেই ঘোষণা দিয়েছিলাম-আগামী তিন মাসের মধ্যে সকল প্রকার মাদক নির্মূল করবো। বর্তমানে যা অনেকাংশে নির্মূল হওয়ার পথে। আমি বলেছি, আমার এলাকায় সকল প্রকার সরকারী, বে-সরকারী ও স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে কোনো প্রকার ঘুষ বাণিজ্য চলবে না। মেধাবী ও দক্ষ লোকজনের নিয়োগ হবে। কোন প্রকার আর্থিক লেন-দেন হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সকল সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটিতে সভাপতি পদে সর্বনিম্ন ডিগ্রি পাশ ব্যক্তিরাই সুযোগ পাবে। যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, সরকারী স্থাপনা সরকারীভাবেই নির্মিত হবে। এতে কাউকে কোন প্রকার ঘুষ দিতে হবে না। আমি সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ,সরকারী স্থাপনা নির্মাণে কোন প্রকার ঘুষ লাগে না। বিনা চিকিৎসায় কাউকে মরতে দিবো না। আমি এলাকার আসলেই নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সকল অবস্থাতেই বিনামূল্যে সকল শ্রেণির রুগীদের সেবা প্রদান করছি। এতে অনেক মানুষ বিরক্তবোধ হলেও আমি মনে করি সুস্থ মানুষই জাতীর ভবিষ্যৎ। গুণগত শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে আলোচনা করেছি এবং অবকাঠামো সহ শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদান করেছি। আমি চাই, আমার আসনে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী গড়ে উঠুক।

 

আমি একজন কৃষকের সন্তান। তাই কৃষকের সুখ-দুঃখে সর্বদাই তাদের পাশে থেকে কাজ করছি। কোনভাবে কৃষক যেন প্রতারিত না হয়, সে লক্ষ্যে সার ডিলার ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কৃষকদের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছি। অনাকাঙ্খিত ক্ষতিগ্রস্থ ও দূর্যোগ সংগঠিত হলে শোনা মাত্র সেই সকল স্থানে ছুটে যাই। আমি আমার সাধ্যমতে আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেই এবং সরকারীভাবে সহযোগীতার দেওয়ার  বিষয়টি নিশ্চিত করছি। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ নেতা মৃত্যু, হত-দরিদ্র কৃষকের মৃত্যু, আগুনে পুড়িয়ে যাওয়া কয়েকটি পরিবার সহ এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে সরকারী বসতঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। আহত আওয়ামীলীগ নেতাদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়া, এলাকার সকল শ্রেণি মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য ব্যক্তিগত ও বহিরাগত সকল স্থানেই সুপারিশ করাসহ সর্বসময়েই ছুটে চলেন মানুষের কল্যাণের জন্য।

অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি সম্পর্কে কথা বললেন, তাঁর সফর সঙ্গী বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ সরকার। তিনি বলেন, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি স্যার একজন ধৈর্য্যশীল ব্যক্তি। তিনি সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত্রী ৪ টা পর্যন্ত নেতা-কর্মী, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শিশু রুগীসহ সকল শ্রেণির রুগীদের সেবা দেন। কাজে কর্মে কখনও অলসতা দেখি নাই এবং কারো প্রতি রাগান্বিত হতে দেখি নাই।  আমি সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এমপি স্যারের সাথে একাধিক সময়ে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকতে পেরেছি। ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। আর তার এই ডিজিটাল বাংলাদেশে  সরকারের সকল উন্নয়ন, অগ্রগতি মানুষের মাঝে তুলে ধরছি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র যেমন রাজপথে থেকে মোকাবেলা করছি তেমনি  যোদ্ধা হিসেবেও লড়ে যাচ্ছি।  আমি আমার এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মত মানুষকে ভালবেসে রাজনীতি করছি।

রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাদক নির্মূল, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, গুণগত শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মান, বাল্য বিবাহ বন্ধে সচেতনা সৃষ্টি করা, নারীদের রাজনীতিতে যুক্ত করা, চলনবিলকে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে নারী পুরুষের সমতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি।  তিনি আরোও বলেন, এ অঞ্চলের যুবকদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের দোয়া ও ভালবাসায় আমি সংসদ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD