মানবতার ফেরিওয়ালা অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি

Spread the love

মোঃ শামিউল হক শামীম : সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) সংসদীয় আসনটি একসময় বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ইসহাক হোসেন তালুকদারের হাত ধরে পুনরুদ্ধার হয় একচেটিয়া কৃষি নির্ভরশীল এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আলহাজ্ব ইসহাক হোসেন তালুকদার দ্বিতীয় বারের মতো আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । ওই বছরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদারের মৃত্যু হলে এই আসনটি ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা খুঁজে বের করেন রায়গঞ্জ-তাড়াশের আরেক বর্ষিয়ান নেতা গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন কে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের ডজন খানেক মনোনয়ন প্রত্যাশি বিভিন্ন দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পান তাড়াশের কৃতি সন্তান ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হতে আরো ২০ জন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম নিলেও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা। জনমতে এগিয়ে থাকা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিতে দুর্নীতিমুক্ত ভাল মানুষ অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে, যার সুফল পাবে সাধারণ মানুষ।

মেধাবী, দক্ষ, ত্যাগী, যোগ্য, সৎ আর পরিশ্রমী একজন আদর্শবান নেতার সঠিক নেতৃত্বই একটি দেশ তথা একটি জাতিকে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করে। কিন্তু সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছানোর জন্য নেতার একটি সুন্দর ও একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত। আবার কিছু কিছু মানবিক গুণাবলীর মানুষ রয়েছেন, যারা নিজ অবস্থানে থেকে সততা পরিশ্রম এবং ত্যাগের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে তুলেন। নিজের মেধা ও পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ-বিত্ত নিজের প্রয়োজনে ভোগ না করে দরিদ্র নিরীহ জনগণের মাঝে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে মানসিক তৃপ্তি পান। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রকৃতির মানুষ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে তাঁরা যদি কোনো কারণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি হতে পারেন, তখন তাঁদের ধ্যান, জ্ঞান এবং পরিকল্পনা থাকে এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং মেরামত, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দরিদ্র অসহায় জনগণের সঠিক উন্নয়ন করা। তাঁদের নিজস্ব ব্যবসায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি থাকায় সরকারি সম্পদ বা অর্থ লুটপাট করার কোনো পরিকল্পনা তাদের থাকে না। বরং সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি নিজের উপার্জিত অর্থও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করেন।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ তেমনি একজন মানুষ। আমরা সবাই জানি একজন মানুষ মহান হয়ে উঠে তার কৃতকর্মের মাধ্যমে। কিন্তু তার জন্য দরকার হয় বিধাতার রহমতের এবং মানুষের ভালবাসার। মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ট হওয়ার পর সারাজীবন কি কর্ম করলো এটাই তার ভালমন্দের বিচারের মাপকাঠি। তার জন্য ভাল জায়গায় হোক কিংবা খারাপ জায়গায় হোক এটা দেখার বিষয় না। কথাই আছে “জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভাল”। যে কোন মানব সন্তান কর্ম দ্বারা ব্যাপকভাবে সুনামের অধিকারী হতে পারে আবার কর্ম দ্বারা ব্যাপকভাবে বদনামের অধিকারীও হতে পারে। এটাও সত্য প্রত্যেকটা লোকেরই ভালমন্দ উভয় কর্মই রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে তার মন্দটা ইচ্ছেকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত কিংবা একজনের মন্দ করতে গিয়ে দশজনের উপকার হচ্ছে কিনা।

কিছু কিছু গুণ বা ভাল কাজ মানুষকে আজীবন স্মরণীয় করে তুলে। আর তা বহমান থাকে মৃত্যুর পরেও অনাধিকাল পর্যন্ত। যুগ যুগ ধরে মানুষ তাকে স্মরণে রাখে ভাল কাজের জন্য। আর তার অবর্তমানে আক্ষেপ করে তাকে হারানোর জন্য। পাশাপাশি খুঁজে বেড়ায় মানবসেবক ঐ লোকটির মতো আর একজন গুণী মানুষকে। দুনিয়ার সবচাইতে সত্য কথা হচ্ছে মানব সেবা ছাড়া এই দুনিয়ার কোন মানুষ কোনকালেও মানুষের মনের ভালবাসা পায় নাই। এমনকি মানবসেবা না করলে আল্লাহর ভালবাসা পাবার কথাও চিন্তা করতে পারে না। এই সকল মানব সেবক আল্লাহর অশেষ রহমতে হঠাৎ করে দীর্ঘকাল পরপর একেক অঞ্চলে ভাগ্যগুণে আর্বিভুত হয়। এই সকল সমাজসেবক, জনদরদী মানুষগুলো এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষের আর্শিবাদ স্বরূপ আরোহন করে থাকে। তেমনি একজন মানুষ হলেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) নির্বাচনী এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ।

রায়গঞ্জ-তাড়াশ উপজেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রূপকল্প পরিকল্পনা নিয়ে অসহায় গরীব দুঃখী মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার মাধ্যমে পদার্পন করেন। স্বল্প সময়ে নিজ কর্মের গুণে মানুষের খুবই আপন ও জনপ্রিয় মানুষ হয়ে উঠেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে রায়গঞ্জ-তাড়াশ নির্বাচনী এলাকার এমপি নির্বাচিত হয়ে পাল্টে ফেলেন হাজার বছরের অবহেলিত রায়গঞ্জ-তাড়াশ উপজেলার জরাজীর্ণতা। রাজনীতি ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানুষের হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ। রাজনীতির দূরদর্শীতা ছাড়াও চিকিৎসা সেবা দিয়ে সকলের নজর কেড়েছেন তিনি। সাড়াদিন বিভিন্ন বৈঠক, সভা-সমাবেশের মাঝেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও রোগী দেখা ও চিকিৎসা পরামর্শ দেন তিনি। কখনও কখনও দিনে ব্যস্ত সময় পার করেও গভীর রাত পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেন। ক্লান্তি যেন স্পর্শও করতে পারে না।

সাধারণ নেতাকর্মীদের প্রিয় নেতা অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ। যিনি রোগীদের পালস দেখার মত সর্বদাই সকল নেতা কর্মীদের খোঁজ খবর নেন। নেতা কর্মীদের ভাল, মন্দ সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রাখেন। তিনি সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য স্বচ্ছ ও শিক্ষিত লোকজনকে সমাজের নেতৃত্ব দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে সেবা দেয়ার সর্বোচ্চ প্লাটফর্ম। স্বাধীনতার চেতনা শুধু সভা সমাবেশে বললে হবে না, হৃদয়ে লালন করতে হবে স্বাধীনতার চেতনা। তবেই সমাজের উন্নয়ন করা যাবে, প্রতিরোধ করা যাবে অন্যায়-অত্যাচার, হানাহানি-মারামারি, লুটপাট আর দূর্নীতি রাজনীতি। অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, ব্যক্তি চরিত্র সৎ ও নিঃস্বার্থ হলে পরিবারের সদস্যরাও সেই নীতিতে চলবে। পরিবার থেকেই স্বচ্ছতার আবহ তৈরি করতে হবে। তাহলে বদলে যাবে সমাজ তথা দেশ। নিজে দূর্নীতিমুক্ত না হলে দেশকে দূর্নীতিমুক্ত করা যাবে না।

লেখক: তাড়াশ প্রতিনিধি ,দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও বার্তা সম্পাদক, আজকের চলনবিল।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD