প্রধানমন্ত্রীরর কাছে একটি ঘরের আশায় …..

Spread the love

ফারুক আহমেদ : একটি ঘরের আশায় বঙ্গবন্ধুর কণ্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিনমজুর আবুল কাশেমের পরিবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া হতদরিদ্রের জন্য দুই দুইবার সরকারি ঘরের জন্য নামের তালিকা দিয়েও আজ পর্যন্ত সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত উপজেলার রানিদিঘি গ্রামের সেই অসহায় দিনমজুর আবুল কাশেম ও তার পরিবারের কপালে জুটলো না একটি হতদরিদ্রের ঘর। রৌদ্র, বৃষ্টি, খদরা,ও বাতাসের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে অসহায় তাড়াশ উপজেলার দিনমজুর আবুল কাশেম তার পরিবারের। দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের।
সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াডে রানিদিঘি গ্রামে ১৯৫২ সালে আমার জন্ম। তখন আমাদের পরিবারটি ছিলো একেবারে হতদরিদ্র তাই শিক্ষার আলোর ছোঁয়া লাগেনি আমাদের পরিবারের কারো জীবনে। ধীরে ধীরে শৈশব, কিশোর জীবন কেটে এখন আমি বৃদ্ধের জীবনে আবদ্ধ হয়েছি। জন্মের ১০ বছর পর আমার বাবা মা, মারা যায়। কিছু জমি ছিল আগেই বাবা তা বিক্রি করে খেয়েছেন। তখন থেকে কাজ করে আসছি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে। আশ্রয়ের জায়গা হয় তাড়াশ উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডে। এইখানেই বড় হয় আমার ৪ মেয়ে ও ৫ ছেলে। আমি তখন থেকে সব ধরনের কাজ করতাম। আমার পরিবারটি দরিদ্র তাই অল্প শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়ে দেই আমার অল্প বয়সের দুই মেয়েকে। ছেলে ৪টার সবাই বিয়ে করে ভিন্ন কেহু আমার খোঁজ খবর রাখে না। এখন সব হাঁড়িয়ে জীবনের তাগিদে বসয়স্ক বাতা দিয়ে জীবন কাটাচ্ছি কোন মতে। আমার স্ত্রী ( বউ ) মানুষের বাসায় কাজ করে।
সরকারি ঘর এসেছে শুনে গিয়েছি চেয়ারম্যানের কাছেও কিন্তু সেটা থেকেও বঞ্চিত হলাম। ৫নং ওর্য়াডের মেম্বার শফিকুল ইসলাম(শফি) ঘরের জন্য দুইবার নাম নিয়েছে কিন্তু ঘর পায়নি। সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষকে কেউই মূল্য দেয়না। কথা বলতে বলতে এইখানেই এসে নীরব হয়ে যান দিনমজুর অসহায় আবুুল কাশেম। কাঁদতে থাকেন অঝর অশ্রু চোখে নিয়ে। তাই জানতে চেয়েছিলাম তার স্ত্রী বিবি সোনাভানের কাছে তিনি বলেন, কিছু আগে বিদেশে থাকা জাকির নামে এক ভাই কিছু টাকা দিয়েছে। দেশের মানুষের মায়া না থাকলেও বিদেশের মানুষের মায়া আছে। কি করবো জীবন তো চালাতে হবে তাই তো কাজ করছি মানুষের বাসায় চলছে জীবন চলবেই। আবেগে আবার বলে উঠলেন আমরা মানুষ না তাই আমাদের প্রতি কারোই মায়া হয়না।
তাদের এই সব কথা শুনে চলে আসার সময়, স্থানীয় প্রতিবেশিরা বলেন, সরকার এতো ঘর দেয় গরীব মানুষদেরকে এদের কে কি সরকারের চোখে পড়েনা। চেয়ারম্যানের কাছে কি এরা কখনো কোন কিছুর জন্য গিয়েছে? এই প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তর মিলে আর কত যাইবো যেতে যেতে এখন এরা ক্লান্ত ( হরান) হয়ে গেছে। তাই প্রতিবেশিসহ অসহায় আবুল কাশেম বলেন যদি পারেন তাহলে কইয়েন বর্তমান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যেন আমারে একটা ঘর দেয়। যেহেতু চেয়ারম্যানের কাছে ঘর পাই নাই। তাই এবার প্রধান মন্ত্রীর এর কাছে একটা ঘর চাই। দুই দুইবার ঘরের নাম দিয়েও কেনো ঘর পায়নি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মুক্তর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD