স্টাফ রিপোর্টার : একপাশে তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়ক। আরেক পাশে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঠ। আশপাশে তেমন বসতঘরও নেই। পানি প্রবাহের পথও দু’দিক থেকেই একেবারে বন্ধ। তবুও নির্মাণ করা হয়েছে সেতু! কাদের জন্য আর কিসের প্রয়োজনে সেতুটি করা হয়েছে তা জানা নেই খোদ স্থানীয়দেরও ?
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ’ ৩৯ টাকা ব্যয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়নের উলিপুর মোড় এলাকায় তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়কের সাইট খালের ওপর ওই সেতুটি নির্মান কাজের অনুমোদন দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে স্থানীয় বাসীন্দা রহিজ উদ্দিন, আখলেছুর , রোকেয়া পারভিন, শ্যামলী খাতুন প্রমূখ জানান, সেতুটি কারো কোনো কাজে আসছে না। কোনো রকমের প্রয়োজন ছাড়াই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়কের ছয় কিলোমিটার সাইট খালের প্রায় সবটাই দখলদাররা অবৈধ দখল নিয়ে বসতঘর ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে রেখেছেন। পানি প্রবাহের বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই। একপাশে সড়ক থাকলেও আরেক পাশে শুধুই ফসলি জমি। সেতুটি দিয়ে এপার-ওপার কোথাও যাওয়ার উপায় নাই।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুর মামুন বলেন, সেতুটি এখন কারো কাজে না আসছেনা ঠিকই। তবে তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়ক থেকে মান্নাননগর-রানীহাট সড়ক পর্যন্ত একটি নতুন গ্রামীন সড়ক নির্মিত হলে ওই সেতু দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা হবে।