মাছের খাদ্য মুরগির বিষ্ঠা – স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একচেটিয়াভাবে চলছে মুরগির বিষ্ঠার ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা সড়কের আশপাশে ও বসতঘরের কাছেই স্তুপ করে রেখে দিচ্ছেন দুর্গন্ধযুক্ত মুরগির বিষ্ঠা। জনসম্মূখেই চলছে লোড-আন লোড। যার তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও কাঁচা-পাকা গ্রামীণ সড়কগুলোতে স্তুপ করে ফেলে রেখেছেন মুরগির বিষ্ঠা। কোথাও-কোথাও সড়কের পাশে বসতঘরের কাছেই দিনের পর দিন পড়ে থাকচে। সেখান থেকে মৎস্যচাষীরা সুবিধা মতো ভটভটি ও অটোভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষাক্ত মুরগির বিষ্ঠা কোনোরকম প্রক্রিয়াজাত না করেই মাছের খাদ্য হিসেবে পুকুরে ব্যবহার করছেন তারা। ভুক্তভোগী মজনু পারভেজ, সাহেদ আলী, নাছিমা খাতুন, রহিমা খাতুন, আম্বিয়া পারভিনসহ অনেকের অভিযোগ, বছরের পর বছর মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন মৎস্যচাষীরা। একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করে এ থেকে ফায়দা লুটছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মুরগির বিষ্ঠার দুর্গন্ধে সড়ক দিয়ে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। নাকে-মুখে কাপর চেপে পাড় হতে হয় এসব এলাকা। নিজেদের ঘরের দরজা-জানালাও অনেক সময় বন্ধ রাখতে হয়। কোনোকিছু খেতে গেলে বমি বমি লাগে। দুর্গন্ধে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

আজম আলী, মোরশেদ আলী ও শ্যামল কুমারসহ অনেকে বলেন, মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহারে মাছের খাবারের পেছনে ব্যয় অনেকটাই কম হয়। আর প্রক্রিয়াজাত করতে অনেক সময় লাগে বলেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে সরাসরি পুকুরে ফেলেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুরগির বিষ্ঠার ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মৎস্যচাষীদের কাছে মুরগির বিষ্ঠার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রক্রিয়াজাত করা না করা মৎস্যচাষীদের কাজ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, মুরগির বিষ্ঠা প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার তৈরির জন্য প্রায় চার মাস মাটিতে পুঁতে রাখতে হয়। এভাবে ১০০ কেজি বিষ্ঠা থেকে ৫০ কেজির মতো টিএসপির গুণাগুণ সমৃদ্ধ জৈব সার পাওয়া সম্ভব। এই প্রক্রিয়ায় মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা জুড়ে ছোট বড় সারে পাঁচ হাজারের মতো পুকুর রয়েছে। মৎস্যচাষীরা প্রক্রিয়াজাত ছাড়াই অধিকাংশ পুকুরে মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান বলেন, ব্যবসায়ীদের ধরতে ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় রয়েছেন। ইতোমধ্যে কয়েকজনের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD