তাড়াশের মনিজা খাতুন বাঁচতে চায়

Spread the love

বিছানায় শয্যাশায়ী মনিজা খাতুন। ইনসেটে আক্রান্ত পা।

সলঙ্গা প্রতিনিধি : ত্রক পায়ে দূরারোগ্য টিউমার বা বাগী আর অন্য পা ভাঙ্গা নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে ত্রক থেকে দেড় বছর ধরে ১৬ বছরের কিশোরী মনিজা। তাড়াশের শ্রীকৃষ্ণপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া মনিজার ডান পায়ে দূরারোগ্য টিউমার বাগী আর অন্য পা ভাঙ্গা, তা নিয়ে সে হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলছে । মেধাবি মনিজা আর দশজনের মত আবার স্কুলে যেতে চায়, মাঠে খেলতে চায়, সবার মত হাসতে চায়। উচ্চ চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে। সেখানে মনিজার পা কাটার কথা বললেও তা না করে পা টা ড্রেসিং করে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিজার বাবা মজনুকে শান্তনা দিয়ে বলেন, মনিজার পা সেরে যাবে। আপনি ওকে বাসায় নিয়ে যান। ওর পা কাটা লাগবেনা বললে মনিজার বাবা খুশি মনে ঐ কর্তব্যরত ডাক্তারকে ৫শত টাকা খুশি মনে বখশিস হিসেবে প্রদান করেন। ত্রই খুশি যে শেষ খুশি হবে তা কি জানতেন সে ? মনিজাকে বাসায় নিয়ে আসার কয়েক দিন পর থেকেই মনিজার পা আবার আগের চেয়ে বেশি ফুলে যায়। পরে আবার দিশাহারা হয়ে মনিজাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মনিজাকে বিদেশে কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। স্থানীয় ডাক্তার ও কবিরাজেরাও ত্রকই কথা বলেন। খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। মনিজার পিতা তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ ইউনিয়নে শ্রী কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ মজনূ সরকার ত্রকজন দিনমজুর নুন আনতে পানতা ফুরাই যার, তার ত্রক কাঠাও মাঠের মধ্যে জমি নেই। তার আবার চিকিৎসা। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় মেয়েকে মানুষের বাড়িতে চেয়েচিন্তে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে ভিন্ন, ছোট ছেলে গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। মনিজা ভাইবোনের মধ্যে মেজো। মজনু খাসের উপর বাড়ি করে থাকেন। সে দিন ত্রনে দিন খায়, তার পক্ষে ত্রতো টাকা জোগার করা সম্ভব নয়। তাই দেশ বিদেশের দানশীল হৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট পিতা মোঃ মজনু সাহায্য সহযোগিতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা- মোঃ মজনু বিকাশ নম্বর ০১৭১৭৮৫৭৬৩২।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD