অসুস্থ প্রতিযোগীতা বাদ দিয়ে অভিমান ভুলে আসুন সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করি -সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস

Spread the love

গুরুদাসপুর থেকে আবুল কালাম আজাদ
“জীবনের মায়া, লোভ-লালসা সব কিছু ত্যাগ করেছি মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের জন্য । ২৪ ঘন্টার ২০ ঘন্টাই এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। গত ১০ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার আঞ্চলিক উন্নয়ন করেছি । উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শত ভাগ বিদ্যুত, শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সবই করেছি ।
আগামী একুশ সালের মধ্যেই গুরুদাসপুর উপজেলা উন্নত, আধুনিক উপজেলায় পরিণত হবে।যেকোন বিষয়ে প্রতিযোগীতা থাকতেই পারে। তবে অসুস্থ প্রতিযোগীতা কাম্য নয়। আসুন, মান-অভিমান ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করি। নৌকা জিতলেই হাজার বছরের ¯্রষ্ঠে বাঙ্গলী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে ।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাঙ্খিত মনোনয়ন পত্রটি হাতে নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর সোমবার এলাকায় ফিরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস পৃথক কয়েকটি পথসভায় অত্যন্ত আবেগ তাড়িতভাবে কথাগুলি বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ । স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার দেশ গড়ার প্রত্যয় ধারণ করে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাঙলা আর প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ গড়ার আদর্শ- উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জুলুম-নির্যাতন সবই সয়েছেন তিনি। কঠোর পরীক্ষা দিতে গিয়ে অবহেলিত চলনবিলের মাটি ও মানুষের নেতা হয়েছেন নিজের অজান্তেই। চলনবিলের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার বদলে দেওয়া বিল জনপদের অগ্রনায়ক অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের এই কথাগুলি ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা সপ্তম বারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম মনোনয়ন পান। সেবার বিজয়ী ঘোষণার পরের দিন ফলাফল বদলে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেম সরকারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০১,২০০৮এবং ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়নে বিজয়ী হন।এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে সপ্তমবার সংসদের শেষ সময়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন । ২০০১ সালে অষ্টম সংসদে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় পরাজিত হন তিনি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন । একই সাথে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন সহ হয়রানি মামলায় জেল খেটেছেন ।
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনেতিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী জেলা, মহানগর ও বিভাগের বিভিন্ন পদে ছাত্রলীগ, যুব লীগ ও আওয়মী লীগের সভাপতি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ।বর্তমানে তিনি নাটোর জেলা আওয়মীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে আক্ষেপ করে বলেন, চলনবিল জনপদের মাটি ও মানুষের অকুন্ঠ ভলোবাসায় বার বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ দিন দল ও মানুষের সমর্থন তাঁর পক্ষে থাকায় স্বাধীনতা বিরোধী চক্রতো বটেই, বিরাগভাজন হয়েছেন দলীয় কিছু নেতারাও। দলবিরোধী এসব নেতাদের কারণে নির্বাচন এলেই মনোনয়ন যুদ্ধের পরীক্ষা দিতে হয়েছে এবং হচ্ছে ।
সবশেষ একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাদের বিষোদগার অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ভাষাসহ নানা অনৈতিক অপবাদ সইতে হয়েছে তাকে। সব ছাপিয়ে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকেই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন ।এজন্য তিনি প্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এখন দলের সবাইকে সমস্ত মনোমালিন্য ভুলে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য একযোগে কাজ করার আহবান জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD