সলঙ্গা প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক,গাইনী বিশেষঞ্জ ডা: জেবুন্নেছা নিজেই প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে চিকিৎসা বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে হাটিকুমরুল রোডে বেসরকারি হাসপাতাল খুলে দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জে আখড়া পেতে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ডা: জেবুন্নেছা। সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর সরকারি চাকরির আড়ালে দেদারছে প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।শুধু তাই নয়, প্রাইভেট হসপিটালে রোগী দেখতে দেখতে স্টাফ ফিরোজের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে সম্প্রতি (জেবুন্নেছা-ফিরোজ) বিয়ে করার খবরে ডা: জেবুন্নেছাকে নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে। উল্লেখ্য, হেলথ কেয়ার হসপিটালের তাড়াশ শাখায় তাড়াশ হাসপাতালের ডাক্তারদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে অনিয়ম ও অবৈধ উপায়ে তাড়াশ থেকে বিপুল অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে এই ফিরোজ।তাড়াশেও তার রয়েছে সিন্ডিকেট চক্র।
ওদিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড এলাকায় “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে জেবুন্নেছার অংশীদারীত্ব আছে।তিনি দীর্ঘদিন যাবত হাটিকুমরুল রোডের বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেন।যার ফলে এ এলাকায় তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে।তার এ পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের স্টাফ ফিরোজের সাথে অংশিদারীত্বে “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে তুলেছেন যা হসপিটালের ডিড সুত্রে জানা গেছে।স্থানীয়রা অনেকেই জানান,হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক শুনেছি ডা: জেবুন্নেছা ও ফিরোজ।সব সময় হেলথ কেয়ারে বসে ডা: জেবুন্নেছা রোগী দেখেন,সিজার করেন। সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে প্রাইভেট হসপিটালে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তিনি।এতদিনে জানতে পারলাম, সে সরকারি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক,ডাক্তার।একজন সরকারি মেডিকেল কলেজের গাইনী বিশেষজ্ঞ হয়ে প্রাইভেট হসপিটালে দিনরাত রোগী দেখেন আর হসপিটালের স্টাফের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। প্রাইভেট হাসপাতালের অংশীদারিত্ব বিষয়ে অভিযুক্ত ডা: জেবুন্নেছা আহমাদ কোন সদুত্তর দেন নি।”হেলথ কেয়ার হসপিটাল” বিষয়ে ফিরোজ জানান, এর সাথে ডা: জেবুন্নেছার কোন অংশীদারিত্ব নেই। সে এখন আমার বউ।নৈতিকস্খলন ও পেশাগত নীতি লংঘনকারী ডা: জেবুন্নেছাকে জরুরিভাবে অন্যত্র বদলী,বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সচেতন মহল জোর দাবী জানান।