ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: পার্বতী সরকার(৫০)। তিনি পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার কালিবাড়ী শাহপাড়া এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা বিমল কুমার সরকারের স্ত্রী। দুই বছর আগে বাড়ির পাশের দক্ষিণমেন্দা মহল্লার আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ধার নেন। সেসময় ৩ লাখ টাকার সুদ হিসেবে প্রতি মাসে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন সময় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধও করা হয়। এরপরও সুদ-আসলে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় সংখ্যালঘু নারী পার্বতীকে নানা হুমকি-ধামকি দেন তিনি । নিরুপায় হয়ে একবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন ওই নারী। সম্প্রতি স্থানীয় ব্যক্তিদের পরামর্শে ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত সিরাজুল ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য ও চিহ্নিত সুদে কারবারি বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান,’৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে সিরাজুলকে তিনি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপরও তিনি সুদে-আসলে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকার জন্য তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।’
স্থানীয় রাজিব আহমেদ জানান,’ আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল একজন সুদে কারবারি। মানুষকে চড়াসুদে টাকা ধার দেওয়াই তার পেশা। টাকা দেওয়ার সময় মানুষের কাছ থেকে সে ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক নেন। সময়মতো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি। তার খপ্পরে পড়ে এলাকার অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান,’সিরাজুল বাসায় নেই। ফোন রেখে গ্রামের বাড়িতে গেছেন।’ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাজমুল হক বলেন,’ তিনি এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। ‘