তাড়াশ থেকে গোলাম মোস্তফা
তাড়াশে কারেন্ট পোকার আক্রমণে অনেক চাষির বোরো খেত প্রায় ফলন শূণ্য হয়ে পড়েছে। কেবল গরুর খড়ের প্রয়োজনে কৃষকরা সেসব জমি থেকে ধান কেটে নিতে চাইছেন। কিন্তু চিটা ধান কাটতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষি শ্রমিকরা।
পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের কৃষক এনছাব আলী প্রামানিক বলেন, কারেন্ট পোকার আক্রমণে তার ৪০ বিঘা জমির ধানের সীমাহীন ক্ষতি হয়ে গেছে। এসব জমিতে বিঘা প্রতি ছয় থেকে সাত মণ ফলন হচ্ছে। তা থেকে পৌনে পাঁচ মণ পর্যন্ত কৃষি শ্রমিকরা নিচ্ছেন। আর চিটা যুক্ত ধান পরিস্কার করতে আরো এক মণ ধান শ্রমিকের খরচ হিসেবে গুণতে হচ্ছে। এসব বাদে ধান তো থাকছেই না। বরং আবাদের খরচ সম্পূর্ণ লোকসান গুণতে হচ্ছে। তার বাড়িতে গরু রয়েছে। তাই গরুর খড়ের জন্য পোকা খাওয়া ধান কাটিয়ে নিচ্ছেন। একই রকম অবস্থা ঐ গ্রামের আফাজ উদ্দিন, বুলবুল ও শাহলমসহ তিন কৃষকেরও।
সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকেলে বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া এলাকাতে কৃষি জমির মাঠে দেখা যায়, একজন কৃষক এক শিশুর সাথে খেতের ধান কাটছেন। আলমাহমুদ নামে ঐ কৃষক বলেন, দেড় বিঘা জমিতে তিনি বর্গা চাষ করেছিলেন। কিন্তু সবটুকো জমির ধান পোকা খেয়ে প্রায় ফলন শূণ্য করে ফেলেছে। আর কৃষি শ্রমিকরা এরকম ধান কাটবেননা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে তার ১০ বছর বয়সী শিশু কণ্যাকে সাথে নিয়ে নিজেই ধান কাটতে শুরু করেছেন। “ খড়গুলো গরু খাবে। আর দেড় বিঘায় চার মণ ধান পাওয়া গেলে অন্তত তার জমিতে সেচের খরচটা পরিশোধ হবে এই আশায়! ”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা ক্ষতিগ্রস্থ বোরো চাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।