তাড়াশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘরে ইউপি সদস্যদের চাঁদা দাবীর অভিযোগ

Spread the love

তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশ যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ঘর নির্মান করে দেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু নওগাঁ ইউনিয়নের পংরৌহালী গ্রামের দুটি ঘর নির্মানের পরে থেকে রজিনা খাতুন ও নুরুল ইসলামের কাছে সংরক্ষিত নারী সদস্য লতা আকতার ও ২নং ওর্য়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক জন প্রতি তিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে গত ১ এপ্রিল তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে রজিনা খাতুন ও নুরুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পংরৌহালী গ্রামের জাবেদ আলীর মেয়ে ও মৃত কোরবান আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সরকারী ভাবে ঠিকাদার দ্বারা ঘর নির্মান করে দেন উপজেলা প্রশাসন । প্রায় ৯ মাস আগে ঘর হস্তান্তর করে দেন উপজেলা প্রশাসন। ঘর হস্তান্তর করার পর থেকে নওগাঁ ইউনিয়নের ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য লতা আকতার ও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক রজিনা খাতুন ও নরুল ইসলামের কাছে বিভিন্ন সময় ৩০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবি করেন। চাঁদাদাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলাসহ নানা ধরনের হয়রানী করে আসছে। এছাড়াও নানান প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা। রজিনা খাতুন ও নুরুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিনা মুল্যে সরকারী ভাবে ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘরই আমাদের কাল হয়ে দাড়িয়েছে। ঘর নির্মানের পর থেকে নারী সদস্য লতা আকতার ও ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক। তাদের দাবিকৃত চাদাঁ দিতে না পারার জন্য আমাদের নানান ভাবে হয়রানী ও হুমকি প্রদান করছে।

অভিযুক্ত নারী সদস্য লতা আকতার জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর নির্মান করে দিয়েছে। সেই সকল ঘর উপজেলা প্রশাসন নির্মান করেছে। আমাদের হাতে ঘর নির্মান হয়নি। মুলত আমাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে এনিয়ে আমারা আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলা দায়েরের পর থেকে আমার উপরে এমন অভিযোগ করেছে। ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক জানান, আমি ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ঘর নির্মান হয়েছে ৩ নং ওয়ার্ডে পংরৌহালী গ্রামে। আমার সাথে নারী সদস্য লতা আকতারের সাথে ভাল সর্ম্পক তার জন্য আমার বিরুদ্ধেও চাদাঁর অভিযোগ করেছে। আমি কারোর কাছে কোন টাকা পয়সা চাইনি। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেজবাউল করিম জানান, দুইটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লকডাউনের পর তদন্ত করা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্দুস সালাম
তাড়াশ-সিরাজগঞ্জ
১৩.০৪.২০২১।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD