চলনবিল বার্তবা,র্ষ ০৮ সংখ্যা ৮ রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

Spread the love

আগে রাজনৈতিক দলগুলোর শুদ্ধি-সংস্কার দরকার
আবদুর রাজ্জাক রাজু
এই মুহূর্তে দেশের শাসন ব্যবস্থায় বা ক্ষমতার সিংহাসনে কোন বিশেষ রাজনৈতিক দল উপবিষ্ট নেই। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণে আপাতত: অনুপস্থিত রাজনৈতিক ক্ষমতা ও নেতৃত্ব।বরং প্রত্যক্ষ রাজনীতি করনেওয়ালা না হয়েও দেশের সেরা রাজনীতি সমঝদার,বোদ্ধা-বিশ্লেষক দল নিরপেক্ষ কিছু কৃতিসন্তান , জাতীর রতœতুল্য জ্ঞানী-গুণীজনেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এটা গর্বের ও সৌভাগ্যের ব্যাপার।যতদিন প্রয়োজন হবে জনগণ এই এক ঝাঁক আলোকিত মানুষের রাস্ট্র ক্ষমতায় থাকাটাকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এটাকে শাসনতান্ত্রিক শূন্যতা না বলা হলেও রাজনৈতিক শূন্যতা বলা যায় বটে যার কারণ আবার রাজনীতিকেরাই। যদিও আওয়ামীলীগের গা ঢাকা দেওয়ার বা প্রস্থানের সুযোগে ও সুবাদে বিএনপি জামাতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে তাদের সরবউপস্থিতি জানান দিতে উঠে পড়ে লেগে গেছে।তাদের এই সৌভাগ্যের সোনালী দ্বার উন্মোচিত হয়েছে ছাত্রজনতার বিপ্লবের কারণে সে ব্যাপার দেশবাসী জানে। অনেকে বলছেন, এমুহুর্তেতাদের ভাবখানা এই যে, আমরা এইতো ক্ষমতায় এসে গেছি বা গেলাম কিংবা আসছি অল্প দিনেই, চিন্তা নাই ভাবভঙ্গি কিছুটা এমনটাই। এমন রাজনৈতিক আচার-আচরণের বহি:প্রকাশ না করাই ভাল, জনগণ আজকাল আর এসব পছন্দ করে না। হুজুগে মাতার দিন শেষ।
ফলে নির্বাচন ও ক্ষমতার জন্য এই অতি উৎসাহী আগ্রাসী মনোভাব থেকে দলের নাম ভাঙিয়ে দখল, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য, দৌরাত্ম্য, জুলুমবাজী পর্যন্ত শুরু হয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। ইতোমধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতারা হুংকার ছেড়ে এই দুর্বৃত্তপনার ও দলের অনেক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সতর্কীকরণ হুঁশিয়ারী জারি অব্যাহত রেখেছে। কারণ এতে তাদের দলের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। টিভিতে দেখাচ্ছে, ঢাকায় ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে একদল এসে দোকানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতো। এখন অন্য দল আসে।এর নির্জলা গূঢ়অর্থ, পূর্বে আ’লীগ মাস্তানরা আসতো,এখন আসে বিএনপি’র লোকেরা। কাজেই আওয়ামীলীগের আপাতত: ভরাডুবি হলেও রাজনৈতিক মঞ্চের অন্যান্য দলীয় নেতা বা চেলাচামুন্ডারা বসে নেই।আবার আ’লীগের প্রেতাত্মারাও ঘুপটি মেরে চুপটি ওৎ পেতে আছে তাল বুঝে গোল পাকিয়ে ঝামেলা বাধিয়ে দিতে বা নস্টামি করার উদ্দেশ্যে অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার যাতে বিপাকে পড়ে বা বেকায়দার ফেলতে।
আমাদের দেশের সব রাজনৈতিক দলেরই ক্ষমতা ও স্বার্থের প্রতি গভীর,নির্লজ্জ, ভয়াবহ লিপ্সা সম্পর্কে জনগণ সম্যক অবগত। আওয়ামী দুঃশাসনের চরম পরিণতির রক্তাক্ত অধ্যায়টুকু বাদ দিলে দেশের সব রাজনৈতিক দলের নীতি বৈশিষ্ট্য কার্য ফলাফল প্রায় একই রকম। তাদের দুর্নীতি, অবক্ষয়, হিংসা-প্রতিহিংসা, আত্ম স্বার্থপরতা, দেশাত্মবোধহীনতা ও দেশপ্রেমহীনতা, দলে ও দলের বাইরে এবং রাষ্ট্র ক্ষমতায় গণতান্ত্রিক চর্চার ঘাটতি সব দিকেই সমানে সমান তথাশতভাগ সাদৃশ্য বিদ্যমান। স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতার মসনদেবসেছেন ব্যর্থতা আর কলংকের আমলনামা ছাড়া তাদের কেউ নেই।আমাদের আমলাতান্ত্রিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাকার সমাজের সর্বস্তরে যে নোংরা রাজনৈতিকীকরণ, দলীয়করণ ও দুর্নীতির সর্বব্যাপী বিষ সংক্রমিত হয়েছে তার জন্য তো রাজনৈতিক দলগুলোই প্রধানত:দায়ী, অন্য কেউ নয়। তারা কেউ ধোয়া তুলসির পাতা বা ফেরেস্তা নয়।
স্বাধীনতার পর আওয়ামীলীগের খারাপির তথা অপশাসন-দু:শাসনের চেয়ে অন্যরা কেউ ভালো কিছু করে দেশের মানুষের মন জয় করেছে তেমন নজিরও নেই। তাই রাষ্ট্র মেরামত আর রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম কাজটি শুরু করা উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের অভ্যন্তরীন সংস্কার শুরুর মধ্যে দিয়ে। কেননা রাষ্ট্রের যত কিছু পরিমার্জন সংশোধন বা পরিবর্তন করা হোক না কেন এসবের চূড়ান্ত সাফল্য নির্ভর করবে ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন সহ তাদের শরীক রাজনৈতিক দলগুলোর উপর। কারণ বেলা শেষে তারাই তো রাস্ট্রব্যবস্থার নিয়ামক ও নিয়ন্ত্রক। তাই সবকিছুর গোড়া বা মূল হল রাজনীতি। মাথায় পচন থাকলে সাড়া শরীর অকেজো হয়ে পড়ে তা বলাই বাহুল্য।সে কারণে দলগুলোর নিজেদের ভেতরে যতদিন একটা সুস্থ ও যথার্থ মানসম্পন্ন গণতন্ত্রের চর্চা শুরু তথা বাস্তবায়িত না হচ্ছে ততদিন অব্দি তারা ক্ষমতায় গেলে অবস্থা হবে “যে লাউ সেই কদু”। তাদের আত্মসমালোচনা ও আত্মপর্যালোচনার এটাই মাহেন্দ্র ক্ষণ এবং জরুরী।
কেননা যে দল বা জোট যারাই ক্ষমতা যাবে তারাই সব কলকাঠি নাড়বে তা রাষ্ট্র সংস্কারের যে বা যতো কাঠামোর কথা বলাহোক না কেন। সেক্ষেত্রে নিজে নামায় না পড়ে অন্যকে পড়তে বলার মতো নিজেদের দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকলে দেশ ও রাস্ট্রকে তারা গণতন্ত্র উপহার দেবে কীভাবে। আরেকটা বিষয় বারবার পরিলক্ষিত ও প্রমাণিত হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে সবাই অন্ধ এবং বধির হয়ে যায়। তখন নির্বাচনপূর্ব অঙ্গীকার, শপথ, প্রতিশ্রুতি সব তারা ভুলে স্বার্থের ও ক্ষমতার নেশায় ডুবে থাকে। তাই আমাদের পতনশীল ও পচনশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও পরিশুদ্ধতা ঘটিয়ে তবে যুগপৎ রাষ্ট্র সংস্কারের বাকি কাজগুলো শুরু করে টেকসই হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। সেই জন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্থির ও অধৈর্য না হয়ে আগে নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কারের দিকে মন প্রাণ দিন। অন্তত: সে পর্বটা দৃশ্যমানভাবে জাতিকে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্বরুপ দেখানোর পর সবাই মিলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য করার পদক্ষেপ নিন। কথা একটাই আগে নিজেকে বিশুদ্ধ করুন পরে নির্বাচনে আসুন। ততদিন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের মতো দলবাজি, ক্ষমতাচর্চা, শক্তি প্রদর্শন ও দখল সিন্ডিকেট থেকে নিজেদের বিরত থাকা প্রয়োজন। স্মরণে রাখা দরকার, দেশে এখন কোন দলীয় সরকার ক্ষমতায় নেই। এখন সকল মত ও পথ প্রকাশ এবং বিকাশের মুক্ত সময়, অবারিত সুযোগ। এই সুযোগ মানে সর্বাগ্রে রাজনৈতিক কালচার বদলের বা পরিবর্তনের সুযোগ।
এই অবকাশে দলগুলোর শোডাউন, সমাবেশ, শক্তিমত্তা ও তৎপরতা-মহড়া প্রদর্শনের চেয়ে নিজেদের দলের ও রাজনীতির সর্বস্তরে সম্ভাব্য সর্বপ্রকার মেরামত ও সংস্কারের তথা অপারেশনের কাজটি আরম্ভ ও সম্পন্ন করা বাঞ্ছনীয়, দলের অতীত ভুলত্রুটি সংশোধন তথা গুছিয়ে নেয়া তথা শুদ্ধি অভিযান অত্যাবশ্যক। কারণ দেশবাসী চায়, সর্বশেষ আওয়ামী দুঃশাসনের করুণ পরিণতির ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন সব রাজনৈতিক দল মত সমূহ আগামীতে সঠিক গণতান্ত্রিক সভ্য সংস্কৃতিতে দেশকে উন্নত দেশের মতো নেতৃত্ব দেবার কথা চিন্তা করে। পুরোনো রাজনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক রীতি প্রথায় কোন দল ক্ষমতায় গিয়ে অতীতের ভুল করলে জাতি তা কখনোই মেনে নেবে না তা স্মরণে রেখে আগামীর পথ চলার কথা চিন্তা করতে হবে। অতীতের ভেজাল ও জঞ্জাল কেবল বর্জনই নয় কবর দিতে হবে।
শুধু ঘুনেধরা গড্ডালিকা চাতুর্যপূর্ণ ও প্রতারনার রাজনীতি দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না- সেই কথা মনে রেখে সবাইকে পথ চলতে হবে।বড় কথা ছাত্র-জনতার চাওয়া-পাওয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়ে সেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এখানে ভোট, নির্বাচন, দলবাজি মুখ্য নয় সেটাকে বিবেচনায় নেয়ার কোন বিকল্প নেই।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একবার তার এক লেখায় বলেছেন, “এদেশের নাড়িতে নাড়িতে অস্থিমজ্জায় যে পচন ধরেছে, তাতে এর একেবারে ধ্বংস না হলে নতুন জাত গড়ে উঠবে না।” নজরুলের সে কথা আজো যেন জলন্ত ও জীবন্ত প্রাসঙ্গিক।

দুর্দিন যাচ্ছে উল্লাপাড়া রেল স্টেশনের কুলিদের ছবি
লিখন আহমেদ
তাদের পরনে লুঙ্গি আর লাল রঙের কাঁধে গামছা ঝুলানো। কারো হাতে ট্রলি আবার কেউ বা দাড়িয়ে আছে খালি হাতে। রেল স্টেশনে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। তাদের উদ্দেশ্য যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ভারি ব্যাগ মালামাল ট্রলি কিংবা কাঁধে কওে নিয়ে ট্রেনে পৌঁছে দেয়া বা ট্রেন থেকে মালামাল বাইরে এনে দেয়া। এছাড়াও মালবাহী ট্রেন থেকে বস্তা টেনে মহাজনদের গোডাউনে পৌঁছে দেয়ার কাজ করেন তারা। রেল স্টেশনের এ শ্রমিকদেও সবাই কুলি বলেই ডাকে। বর্তমান সময়ে রেল স্টেশনেই কুলি শ্রমিকদের বেশী দেখা যায়। স্টেশনের কুলিরা ট্্েরন আসার অপেক্ষায় থাকে। ট্রেন থামলেই শুরু হয় তাদের ছোটাছুটি। কে কার থেকে বেশী মালামাল বহন করতে পারে এমন প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে তাদেও কর্মযজ্ঞ চলতে থাকে। স্টেশন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কুলিদের দেখা মেলে। সারাদেশের রেল স্টেশন গুলোর মতো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত স্টেশনের ভিতরে ও আশপাশে কুলি শ্রমিকের ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে উল্লাপাড়া রেল স্টেশন ঘুরে গায়ে লাল শার্ট পড়নে লুঙ্গি আর কাঁধে গামছা ঝুলানো কুলি শ্রমিকদের দেখা গেছে। তারা বড় ব্যাগ বা বস্তা নিয়ে কোন মানুষকে দেখছেন আর সে দিকে ছুঁটছেন। হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করে ঠিক তখনই আবার তারা ছুটে যায় ট্রেনের দিকে। তাদের প্রতিযোগীতা শুরু হয় কে কার আগে ট্রেনের বগিতে উঠতে পারে। কে আগে যাত্রীদেও মালামাল ধরতে পারে। ট্রেনের সামনে গিয়ে তারা দাড়িয়ে থাকে এবং মালামাল বহনের জন্য যাত্রীদেও অনুরোধ করেন। যুগের পর যুগ মাসের পর মাস এভাবেই চলে আসছে তাদেও জিবন। শুধু উল্লাপাড়ার রেল স্টেশন নয় সারাদেশের ছোট বড় সব স্টেশনেই এমন চিত্র দেখা যায়। বড় বড় রেল স্টেশনের কুলিদের কাজের ব্যস্ততা থাকলেও উল্লাপাড়া রেল স্টেশনের শ্রমিকদের কাজের তেমন চাপ নেই। জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন সিলসিটি,ধুমকেতু,একতা,চিত্রা,লালমনি পদ্মা ট্রেন উল্লাপাড়া স্টেশনে থামে। একসময় লোকাল ট্রেন এ স্টেশনে থামলেও দীর্ঘদিন যাবত লোকাল ট্রেনটি এখানে দাড়ায় না। যার ফলে যাত্রী সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম। যাত্রী কম থাকায় এখানকার কুলিদের অধিকাংশ সময় বেকার বসে থাকতে হয়। ফলে কুলিদের আয় রোজাগারের পরিমান খুবই সীমিত। ফলে তাদের সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকে বলে স্টেশনের রেল শ্রমিকরা জানান। দীর্ঘদিন কুলির কাজ করা এসব শ্রমিকরা বলছেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা এ কাজ করছেন। কেননা দীর্ঘ দিন ধরে এ পেশায় থাকায় তারা আর পেশা পরিবর্তন করতে পারছেন না। আবার অনেকের বয়স বেশী হওয়ায় নতুন কোনো কাজও করতে পারেন না। সারাদিন কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর।
উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে কাজের সন্ধানে ঘুরতে থাকা লুৎফর রহমানে নামে এক কুলি শ্রমিকের সাথে কুলিদের জিবনমান নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে উল্লাপাড়া রেল স্টেশনে কুলির কাজ করছেন। বর্তমানে স্টেশনে কাজ নেই বললেই চলে। সকাল থেকে স্টেশন চত্তরে ঘুরছেন আর যাত্রীদের অনুরোধ করছেন তাদের ব্যাগ মালামাল ট্রেনে তুলে দেয়ার। কিন্তু কেউ কুলি দিয়ে মালামাল বহন করছে না। এভাবেই প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে কাজের সন্ধান করেন তারা। যারা ব্যবসায়ীদের বস্তা বহন করে তাদের কিছুটা আয় রোজগার হয় আর অন্যদের আয় রোজগার খুবই কম। যখন লোকাল ট্রেন থামতো তখন স্টেশনে চত্তরে মোটামুটি মানুষের ভিড় থাকতো। সেসময় তাদের রোজগার ভালোই হতো। এখন স্টেশন চত্তরে শুয়ে বসে তাদের দিন কাটছে। স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা কম হয়। আর যাও আছে তারা কুলি ডাকে না নিজেরাই নিজেদের মালামাল বহন করে। এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে যে কুলির কাজ করে সংসার চালানো দায় হয়েছে। রেল স্টেশনের পাশের ব্যবসায়ীরা বলেন, কুলি শ্রমিকদের অন্যান্য শ্রমিকের চেয়ে পরিশ্রম অনেক বেশী। তারা মালবাহী ট্রেন থেকে কাঁধে করে বস্তা বহনসহ ভারি ব্যাগ মালামাল ট্রেনে উঠা নামা করে। অধিক পরিশ্রমের ফলে স্টেশনের কুলিরা খুব তারাতারি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। পরিশ্রমের তুলনায় কুলিদের আয় রোজগার খুবই কম।
কুলি সর্দার হারুন অর রশিদ বলেন, তার বাবা রেল স্টেশনে কুলি সর্দার ছিলেন সেই সুবাধে তিনিও কুলির কাজ করেন এবং কুলিদের সর্দার হয়েছেন। কুলির কাজ করে ছেলে মেয়ের পড়ালেখা এবং সংসার চলে না। তাই তিনি স্টেশনের পাশে ভ্রাম্যমান পান সিগারেটের দোকান দিয়েছেন। দোকানের পাশাপাশি কুলির কাজ করছেন তিনি। এখন স্টেশনের কুলিদের রোজগার বলতে কিছুই নাই। এই সামান্য রোজগারে কুলিদের জিবনযাপন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন কুলিদের আয় কমেছে। একসময় দিনে ৫০০-৭০০ টাকা আয় রোজগার হতো। এখন ২০০-৩০০ টাকাও হয় না। কোন কোন দিন ৫০-১০০ টাকা রোজগার হয়। যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে এই রোজগারে আমাদের সংসার চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। সব কিছুর দাম বাড়লেও কুলিদের দাম বাড়েনি। টিকতে না পেরে অনেকেই পেশা ছেড়ে দিচ্ছে। যারা এখনো এ পেশায় আছে তারা বাধ্য হয়েই আছে।

লেখক : তরুণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট। উল্লাপাড়া. সিরাজগঞ্জ।

বাংলাদেশের জন্য প্রত্যাশিত রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থা
শামসুল আলম সেলিম
বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি দলনিরপেক্ষ অস্থায়ী অন্তবর্তী সরকার পরিচালিত হচ্ছে। এখন বিএনপি সহ রাজনৈতিক দলগুলো পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য জাতীয় নির্বাচন চাইছেন। তবে অধিকাংশ দলই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার সংস্কারের জন্য অন্তবর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চান। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রিয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংষ্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ছয়টি কমিশন গঠনের জন্য অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ঠ নাগরিককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্ঠা প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন ‘এর লক্ষ্য হবে দুর্নীতি, লুটপাট ও গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা।’ যে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরনের জন্য বাংলাদেশের ভবিষ্যত সরকার পরিচালনা করবে, সর্বাগ্রে সেগুলোর সংস্কার করতে হবে। কেননা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তারা জনগণকে বারবার আশাহত করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে পরবর্তী সকল সংগ্রাম, আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান ও আত্মত্যাগের পর জনগণ যাদের ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছে তারা কেউ কথা রাখেননি। যিনি লঙ্কা গিয়েছেন তিনিই রাবণ হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে জনগণের চাওয়া-পাওয়া অনেটা অধরাই থেকে গেছে।

তাহলে আমরা এখন কি ধরনের শাসনব্যবস্থা চাইব এবং তাদের দেওয়ার সক্ষমতাই বা কতটুকু তা ভেবে দেখার বিষয়। বর্তমান বিশে^ নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত । সেই গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও রাজনৈতিক উন্নয়নে সুশৃংখল রাজনৈতিক দল ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। সমস্যা হলো বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নিজ সংগঠনের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চ্চা নেই। তারা জনগণের নিকটবর্তী তৃণমূল সদস্যদের মতাততের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা করেন না, দলীয় কার্যক্রম পরিতালিত হয় ‘উপরের’ নির্দেশে। ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ বলা হলেও বাস্তবে তার উল্টোটা অর্থাৎ দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে নেতা বড়। রাজনৈতিক দলকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, পরিবার বা ব্যক্তি যথেচ্ছ নিয়ন্ত্রণ করে। দল ব্যবহার হয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী, শীর্ষ ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের জীবিত কিংবা মৃত সদস্যের প্রশস্তি গাওয়ার জন্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডুভারজার তার গবেষণা শেষে কর্তৃত্বাবদ ও স্বৈরতন্ত্রকে রাজনৈতিক দল ব্যবস্থাপনার অপ্রিয় বাস্তবতা বলে স্বীকার করেছেন। জার্মান বংশোদ্ভুত ইতালিয় সমাজবিজ্ঞানী রবার্ট মিচেল এটিকে ‘আয়রন ল অব অলিগার্কি’ বা গোষ্ঠীতন্ত্রের নিষ্ঠুর শাসন বলেছেন।

বাংলাদেশে পরাজিত গোষ্ঠী ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা ও বিরোধীতা করে ধীরে ধীরে জনগণের কিছু সহানূভূতি লাভ করলেও পরবর্তীতে তারা ক্ষমতায় এসেও একইরূপ দু:শাসন চালায়। শুধু তাই নয়, একবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারলে আর জনমতের তোয়াক্কা না করে তা চিরস্থায়ী করার ফন্দি আটে। রবার্ট মিচেলের তত্বের মতই এদেশের রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় আসে কিন্ত ক্রমেই গোষ্ঠীতন্ত্রী, কর্তৃত্ববাদী এবং শেষমেষ স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। এদেশে ক্ষমতায় আগমণ যেভাবেই হোক না কেন প্রস্থান অনেকটা রর্বাট ব্রাউনিংএর ‘দি প্যাট্রিয়ট’ কবিতার মতই দু:খজনক হয়। তবে বলে রাখা প্রয়োজন, সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এসব তত্ব প্রযোজ্য নয় ; অভিযোগগুলো শুধুমাত্র যারা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে সেসব দলের বিরুদ্ধে।

আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ্য বা ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন কমই হয়েছে, বরং দলে তারা উপেক্ষিত বা নিস্কৃয় হয়ে থেকেছেন। সুযোগসন্ধানী, পেশীশক্তিধর ও এবং কালোটাকার মালিকদেরই বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। দেশে রাজনীতি এখন লাভজনক ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। দখল বা অর্থ বিনিয়োগ করে পদ ও পদবীলাভ অথবা র্নির্বাচনে নিজে বা নিজের লোককে জয়লাভ করাতে পারলেই হলো। তারপর পূর্ণ মেয়াদে শুধু দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে অঢেল অর্থসম্পদ ও ক্ষতার মালিক হওয়া যায়। কাজেই শান্তিকামী বা অস্বচ্ছল ব্যক্তির যতই যোগ্যতা থাক না কেন তার প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। দল পরিচালনা এবং স্থানিয় বা জাতীয় নির্বাচনে অনেক সাদা-কালো টাকা ব্যয় করা হয়। দলের কাউন্সিল, শোভাযাত্রা, মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল এবং সভা, শোডাউন, সংবর্ধনার জন্য মঞ্চ-প্যান্ডেল, আপ্যায়ন, উপঢৌকন, অংশগ্রহণ প্রতৃতি খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। নির্বাচনের সময় পাড়া-মহল্লায় সমর্থকদের টেন্ট তৈরী, আপ্যয়ন, এজেন্টদের হাতখরচা, ভোটার আনয়ন প্রভৃতি খাতে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ব্যয় স্বল্প আয়ের কোন প্রার্থীর হয়তো কল্পনারও বাইরে। সারকথা হলো, আর্থিক ক্ষমতা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
যতদূর জানা যায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র গঠনতন্ত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে সব স্তরের নেতৃত্ব গঠনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি মন্ডলীর সব সদস্য এবং সংসদ সদস্য নির্বাচনী বোর্ডের সব সদস্য ত্রিবাষির্ক কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে নির্বচিত হওয়ার কথা। তবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিতে ১৮০ জনের ২১ জন সরাসরি, ৮১ জনের জনের কার্যনির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টামন্ডলীর সকল সদস্য দলীয় সভাপতি কর্তৃক আলোচনাক্রমে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে দলীয় সভাপতির কর্র্তত্বের পরিধি ও মনোনয়নের আধিক্য লক্ষ্য করলে তার ক্ষমতা অনুমান করা যায়।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চেয়ারম্যান জাতীয কাউন্সিলে সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে, একই ব্যাক্তি একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী নির্বচিত চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বহাল থাকবেন এবং তিনি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও জাতীয় স্থায়ী কমিটিরও চেয়াম্যান হিসেবে গণ্য হবেন। ৮(খ)১,৪ উপানুচ্ছেদে চেয়ারম্যানকে দলের, জাতীয় কাউন্সিল, স্থায়ী কমিটি, বিষয় কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বময় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ তদারক ও সমন্বয় সাধন করার এবং মনে করলে কমিটিসমূহ বাতিল করে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বাস্তবক্ষেত্রে এধরনের উত্তরাধিকারের কারণে দলগুলোর সার্বিক কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত যে সভাপতি বা শীর্ষপদের কেউ গ্রহণ করে থাকেন তা দীর্ঘকালের ইতিহাসই প্রমাণ করে। এসব দলের কাউন্সিল অধিবেশন হয় বটে, সব ক্ষমতা আরোপিত হয় শীর্ষ নেতৃত্বে। ফলে কর্মী, ভোটার বা জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা না থাকায় কর্তৃত্ববাদী বা স্বৈরাচারী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

একটু পিছন ফিরলে লক্ষ্য করা যাবে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনগণ একটি দূর্দান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল । কিন্তু ক্ষমতাসীন দলটির সমর্থকদের ব্যাপক দূর্নীতি এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা যায়। ফলে তথাকথিত ‘বুর্জুয়া শোষক শ্রেণি’ ও রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র বিপ্লবী গণবাহিণী, সৈনিক সংস্থা, সর্বহারা পার্টির নামে শ্রেণি সংগ্রাম, স^শস্ত্র বিপ্লব বা জনযুেদ্ধ জড়িয়ে পরে। ফলে ১৯৭৪ সালে দূর্ভিক্ষ, রাহাজানী, নৈরাজ্য খুন-খারাবী হাজার হাজার গুপ্তগত্যা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি শৃষ্টি হয়। উপরন্ত চতুর্থ সংশোধনীতে সৃষ্ট একদলীয় ও বাকশাল সরকার ১৯৭৫ সালে ১৫ অগষ্ট বঙ্গবন্ধু সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করে এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের সূচনা ঘটায়। একই বছর অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভুত হন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালের সীমিত আকারে ঘরোয়া রাজনীতির সুযোগ করে দেন। ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন এবং মে মাসে গণভোটের আয়োজন করেন। এরপর ১৯৭৮ এর জুন মাসে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন, তখনও অবশ্য তার গায়ে সামরিক উর্দি ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয় এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)গঠনের মাধ্যমে জিয়া তার শাসনের বৈধতা দান এবং সামরিক শাসন থেকে বেসামরিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয় লাভ করে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা পূন:প্রবর্তনের উদ্যোগ নিলে বাকশালের কুশীলবরা পূর্বতন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’কে পুনরজ্জীবিত করেন।

১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এইচ এম এরশাদ ক্ষমতাধর হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সিএমএলএ জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ তার সরকারের বৈধতা দানের জন্য গণভোটের আয়োজন (যার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ ছিল) এবং প্রথমে ১৯৮৩ সালে ‘জন দল’ ও পরে ১৯৮৬ সালে এর নাম বদলে ‘জাতীয় পার্টি’ গঠন করেন। বৈধতা অর্জনের অব্যাহত প্রচেষ্টা হিসেবে এইচএম এরশাদ ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে অংশ নিলেও প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করে। এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা চালাতে থাকলে ১৯৮৭ সাল থেকে বিরোধী দলগুলোর তিন জোট তার পতনের আন্দোলন শুরু করে। এরপর ক্ষমতায় থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে এশাদ সংসদ ভেঙ্গে ১৯৮৮ সালের ৮ মার্চ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিলে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই নির্বাচনও বয়কট করে। যুগপৎ ২২টি ছাত্র সংগঠন এক হয়ে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ (আপসু) গঠণ করে। ছাত্র সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের চেষ্টায় তিন জোট ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর গণতন্ত্রে উত্তরণের উপায় নিয়ে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। এরশাদ তখন দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন।সমাজের বিভিন্ন পেশার লোক আন্দেলনের সাথে সংহতি ঘোষণা করে। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ অন্তবর্তীকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ।

স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পরে ১৯৯১ সালে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। যে তিন জোটের রূপরেখা নিয়ে এত দীর্ঘ এরশাদ বিরোধী অন্দোলন, এত প্রাণক্ষয়; আন্দোলন-উত্তর বিএনপি সরকার সেই রূপরেখা ভুলে যায়। ক্ষমতায় যাওয়ার পর সেই নিরপেক্ষ সরকার সম্পর্কে ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশে শিশূ আর পাগল ছাড়া কোন নিরপেক্ষ ব্যক্তি নেই।এরপর বিএনপি বা আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থেকেছে, প্রত্যেকেই ক্ষমতা আগলে রাখতে নানা কৌশলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছে। তারই অনিবার্য ফল হিসেবে ২০০৭ সালে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেনের সরকার জাতীর কাঁধে দুই বছরের জন্য সওয়ার হয়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও তত্বাবধায়ক সরকারকে শুধু অস্বীকারই করে না জনগণের সাথে রীতিমত প্রতারণার মাধ্যমে একের পর এক পাতানো, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচন করে মানুষের ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে।বেগম জিয়ার রিপেক্ষতা সম্পর্কিত মন্তব্য তখন সঠিক না হলেও ২০১৩-২৪ সালে সত্যতা মিলেছে।আওয়ামী লীগ দলের নেতা-কর্মী ও অনুগত প্রশাসন নিয়ে ব্যাপকহারে দূনীতি, লুটপাট, দু:শাসন ও স্বৈরাচার কায়েম করে । বাংলাদেশের নাগরিকদের অতি সাম্প্রতিক কালের শাসিত হওয়ার এই অভিজ্ঞতা খুবই ভয়ানক। ক্ষমতার অপব্যবহার, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, অর্থপাচার, নির্বাচন ও ব্যাংক ব্যবস্থা-শেয়ার বাজার ধ্বংস, ভিন্নমতালম্বী বা ভিন্নদলীয়দের দমন-পীড়ন, গুম, ইতিহাসবিকৃতি, নিজেদের সুবিধামত করে সংবিধানের উপর অস্ত্রপচার, গণহত্যা স্বৈরাচার, আর কি বা বাকী রেখেছেন!

জাতি দেখেছে স্বাধীন দেশে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার । লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত সোনার বাংলাদেশ পূনর্গঠনের আগেই কিভাবে স্মশ^ানে পরিণত করা হয়েছিল। নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘাত, হানাহানী, লুন্ঠন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন। কেউবা ঘাতকের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করেছেন। গণ-প্রজাতন্ত্রের মানুষ সামরিক শাসনের শৃংখলে আবদ্ধ হয়েছে। দুই জেনারেলের আমলেই গণেেভাট প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আর এরশাদের স্বৈরশাসনের সময় জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ায় প্রধাণ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই বরং এরশাদের নির্যাতন, হত্যা, দু:শাসনের, বিরুদ্ধে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দেলন করে তার পতন ঘটায়। বিএনপি শাসনের শেষার্ধে এবং আওয়ামী লীগের এক যুগ জনগণ দূর্নীতি ও দু:শাসনের নজির দেখেছে, দেখেছে ‘হাওয়া ভবন’ আর ‘আয়না ঘরের’ দুর্নীতি, নির্যাতন,গুম আর নৃশংসতা। দুই দল মিলে পাঁচবার দেশকে দূনীতিতে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন করেছে। দুই দলের সময়ই সবকিছু দুই নেত্রীর নির্দেশে চলেছে। জন এ্যাকশনের মতে “ক্ষমতা স্বভাবতই দূর্নীতিগ্রস্ত হয় আর নিরংকুশ ক্ষমতা চরমভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত করে”( চড়বিৎ ঃবহফং ঃড় পড়ৎৎঁঢ়ঃ, ধহফ ধনংড়ষঁঃব ঢ়ড়বিৎ পড়ৎৎঁঢ়ঃং ধনংড়ষঁঃবষু)। সর্বশেষ ক্ষমতাধরী নেত্রী শেখ হাসিনা নিরংকুশ ক্ষমতা লাভ এবং তার ব্যাপক অপব্যবহার, স্বৈরাচার ও গণহত্যার কারণে জনরোষের মুখে ক্ষমতা”্যুত ও দেশচ্যুত হয়েছেন। ১৯৭২ এ জন্মের পর এ পর্যন্ত ১৭ বার সংবিধানের উপর অস্ত্রপচার ও ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে এবং অচিরেই আবার করতে হতে পারে। যিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তাঁর ইচ্ছেমত সংবিধানকে নিজের সুবিধাজনক শেপ্ দিয়ে নিয়েছেন। মানুষ এসব অপকীর্তি, অপশাসন ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত্বায়নের বাজে সংস্কার থেকে এখন মুক্তি চায়। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এবার নিজেদের ভুলভ্রান্তিগুলোকে শুধরে নেওয়া প্রয়োজন।

রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সচেতন মহলের অনেকেই চিন্তাভাবনা করছেন। কেউ কেউ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ঠ আইন সভা, কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরীর প্রস্তাব করেছেন, কেউ বলেছেন ফেডারেল সরকার হোক, কেউ জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন। এগুলোর কোনটাই সুফল বয়ে আনবে না যদি উপযুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার ব্যবস্থা না হয়। তাই প্রথমতঃ উপযুক্ত নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের দ্বারা প্রভাবমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন ব্যবস্থা রাখার প্রয়োজনে প্রতিটি নির্বাচনের আগে স্বল্পমেয়াদে অন্তর্বতী সরকার গঠন করা; দ্বিতীয়ত: রানৈতিক দলের ভিতর স্বৈরশাসন, পরিবারপ্রথা, ব্যক্তিপুজা বিলুপ্ত করে গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব তৈরী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিয়ম এবং সেগুলো চর্”চা ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকা; তৃতীয়তঃ একই ব্যক্তিকে দল ও সরকারের প্রধান না থাকার বিধান করা; চতুর্থত ঃ অতি সামম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে ভিন্নদল বা ভিন্নমতালম্বীদের অযথা হয়রানী, মিথ্যা মামলার, হামলার জন্য প্রভাবমুক্ত বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির বিধান থাকা; পঞ্চমত ঃ স্থানিয় সরকার ব্যবস্থাকে রাজনীতি ও প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত রাখা; ষষ্ঠতঃ বিভাগগুলোকে প্রদেশ করে ফেডারেল সরকার এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ঠ আইন সভা করা; এবং সপ্তমতঃ সম্ভব হলে সকল দলের সম্মতি ও অধিকার সমুন্নত রেখে এবং কোন দলকে বঞ্চিত না করে জাতীয় সরকার গঠন করা। এখন উল্লেখিত প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখা যেতে পারে। পরিশেষে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহীতামূলক পরবর্তী সরকার ও শাসনব্যবস্থাই জাতির প্রত্যাশা পূরন করতে পারে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২
লেখক ঃ সাবেক সরকারী কর্মকর্তা। চলনবিলের বিশিষ্ট কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। বর্তমানে ঢাকায় বসবাসরত।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে
আসন পেল ফিলিস্তিন

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আসন পেয়েছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য দেশ না হওয়ার পরও ফিলিস্তিনকে এই অধিকার দেওয়া হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। এত দিন সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোর সাড়িতে বসতে পারতেন না জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিন প্রতিনিধিরা। ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করতে গত মে মাসে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। প্রায় সব দেশআ এর পক্ষে ভোট দিলেও বিপক্ষে অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ জানরিয়েছে, এখন থেকে সাধারণ পরিষদে অন্য সব সদস্যদেশের মতো প্রস্তাব ও সংশোধনী তুলতে পারবেন ফিলিস্তিন প্রতিনিধিরা। সূত্রঃ এএফপি-জনকণ্ঠ।

১০০ জনের টাকার পাহাড় !

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, হুইপ, এমপি, সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এমন অন্তত: ১০০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা ইউনিট। এই তালিকা অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত শাখা।
এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, সাবেক এই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বিদেশে বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।

হাসিনার দশা হতে পারে দালাইলামার মতো 

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তিনি দেশ ছাড়াতে ভারতে বৈধভাবে ৪৫ দিন অবস্থান করতে পারবেন। তার এ ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ ফলে তার ভাগ্যে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে অন্তবর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনে ভারতে থাকবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।এতে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মহলের ধারণা হয়তো শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে থাকার বিষয়টি এখন দেশটির সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রঃ মানবজমিন।

তাড়াশ পৌর প্রকৌশলীর  পুকুর চুরির প্রয়াস 

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার আট কোটি ৪৭ লাখ টাকার ইজিপি দরপত্র নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে সুকৌশলে দরপত্র আহবান করে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে।স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই নব গঠিত তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হোন মো: আব্দুর রাজ্জাক।গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের উপজেলা ও পৌরসভার মেয়রের পদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। এ সুযোগে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুকুল হোসেন স্বল্প পরিচিত পত্রিকায় পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন নিমার্ণের জন্য ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর পাবনা-বগুড়া প্রকল্পের আওতায় ওই দরপত্রে পাঁচটি প্যাকেজে ১৮ সেপ্টেম্বর ইজিপিতে দরপত্র দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওই দরপত্রে আট কোটি ৪৭ লাখ টাকা উল্লেখ করা হলেও কোন প্যাকেজে কত টাকা তা উল্লেখ করেননি।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খালিদ হাসান জানান, দরপত্রের সকল দায়ভার প্রকল্প পরিচালকের। আমার কাজটি মূলত তদারকি করা।

থানাও ঠেকাতে পারছে না তাড়াশে লাগাতার গরু চুরি

আরিফুল ইসলাম ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আয়নাল হক নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে সাড়ে ১১ লাখ টাকা মূল্যের ৭টি গরু চুরি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) গভীর রাতে উপজেলার পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে কৃষক আয়নাল হক জানান, প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে তালা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন গোয়াল থেকে চোরের দল গরু নিয়ে রাস্তায় রাখা ট্রাকে তুলছে। এ সময় আয়নাল চিৎকার করতে থাকলে চোরের দল তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আসার আগেই ৫টি বড় গরু সহ ২টি ছোট বাছুর গরু নিয়ে পালিয়ে যায় । গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ১১ লাখ টাকা। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে এলাকা পাহারা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পাহারাও জোরদার হবে।উল্লেখ্য, প্রায় বছর জুড়ে তাড়াশ উপজেলায় শতাধিক গরু চুরি হলেও তা ঠেকাতে পারছে না থানা বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

তাড়াশে স্থায়ীভাবে সুতিজাল
বন্ধ করতে অপারগ মৎস্য বিভাগ

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশের চলনবিলের মাঝে বিভিন্ন নদী ও খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নিষিদ্ধ সুতি জাল ব্যবহার করে অবাধে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, তাড়াশের হেদারখাল, কুশাবাড়ি এবং হামকুড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁশ, চাটাই ও নেট জালের সাহায্যে বাঁধ তৈরি করে নদীগুলোর প্রবাহ সংকুচিত করা হয়েছে। এভাবে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে নিষিদ্ধ সুতি জালের মাধ্যমে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ফলে ছোট-বড় সব ধরনের মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে, যা এলাকার মাছের প্রজনন এবং জলজ জীববৈচিত্র ধ্বংস করছে। তাড়াশের নদী ও খালে এভাবে মাছ শিকারের কারণে চলনবিলের জলাশয় ও বিভিন্ন নদীতে মাছের প্রজাতি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ জানান, কমসংখ্যক লোকবলের কারণে নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে শীঘ্রই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুতি জাল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।বিশেষ উল্লেখ্য, যুগের পর যুগ ধরে তাড়াশের চলনবিলে সুতিজালের দৌরাত্ম্য স্থায়ীভাবে রুখতে অপারগ উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

তাড়াশে দলিল লেখক সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দলিল লেকক সমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামানের দলিল লেখা সনদের কার্যকারীতা স্থাগিত করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা সাব-রেজিষ্টার জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ওই স্থগিত আদেশ দেয়া হয়েছে।দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান র্দীঘ ২৪ বছর ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন ২০২৪ উপেক্ষা করে লাখে সাড়ে ৬% স্থলে ১৬% পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করাসহ নানা দূর্নীতি করে আসছিলেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গত ১০ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলা সাব-রেজিষ্টার জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে দলিল লেখক সনদের কার্যকারীতা স্থগিত করে সনদ কেন বাতিল করা হবে না ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।এ ব্যাপারে দলিল লেকক সমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সাব-রেজিষ্টার রবিউল ইসলাম জানান, কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তার সনদের কার্যকারীতা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তাড়াশে সাবেক এমপিসহ ৯৯ জনের নামে মামলা 

সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজসহ সহযোগী সংগঠনের ৯৯ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ৩০০ জন আসামি করা রয়েছে। বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান মামলাটি দায়ের করেছেন।
তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুর জানান,২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদারের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে বারুহাস ইউনিয়রে বিনোদপুর বাজারে তার গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যা চেষ্টায় করা হয়।

তাড়াশে সরকারী ব্রিজের মুখ বন্ধ করে ঘর নির্মাণ 

তাড়াশ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারী খালে ব্রিজের মুখ বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওমীলীগের সভাপতি ও মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবিবের ছোট ভাই প্রভাবশালী আইযুব আলীর বিরুদ্ধে।ইউনিয়ন ভূমি অফিস এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা বাজারের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলে গেছে সরকারী ওই খালটি। খালটির উপর নির্মিত ব্রিজের মুখ বন্ধ করে মাধাইনগর ইউনিয়ন আওমীলীগের সভাপতি ও মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবিবের ছোট ভাই প্রভাবশালী আইযুব আলী গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে ব্রিজের মুখ বন্ধ সিমেন্টের খুটি দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। সেই সাথে সরকারী খাস জায়গার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মাং মারমা জানান, ব্রিজের মুখ বন্ধ করে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণের সুযোগ নেই। নির্মাণ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাড়াশের পালপাড়ায়
প্রতিমা তৈরির ধুম ছবি

সাব্বির আহম্মেদ ঃ সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের পালপাড়ার (বোয়াল পাড়া) প্রতিমা তৈরির কারিগররা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব। এ বছর ১২ অক্টোবর নবমী ও একই দিনে বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এবার দেবী দুর্গা আসছেন দোলায় চড়ে ফিরবেন ঘটকে করে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভায় ৪৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এবাবের দুর্গোৎসব আনন্দমুখর ও নির্বিঘœ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হেসেন বলেন, প্রতি বছরের মত এ বছরও দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘœ করতে পুলিশি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হোন এবং মশার  উপদ্রব থেকে নিজেদের রক্ষা করুন।

 

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার আবশ্যক
বেতন মাসিক ১০ হাজার টাকা।
যোগাযোগ, মোবাইলঃ ০১৭১৬ -১৮৭৩৯২

 

তাড়াশ পৌর সদরের প্রধান সড়কের ভগ্ন দশা 

সাব্বির আহম্মেদ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর শহরে প্রবেশের জনগুরুত্বপূর্ন বারোয়ারি বটতলা থেকে প্রেসক্লাব চত্তর পর্যন্ত ১ কিলোমিটার প্রধান সড়কের বেহাল দশা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌর এলাকা তথা উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। রাস্তাটির উভয় পাশে কতিপয় প্রভাবশালীর বাড়ী ও দোকান রাস্তা জুড়ে থাকায় এবং বাড়ীর পানি ছাড়ায় এই দুর্ভোগের সূত্রপাত।
ওই রাস্তায় প্রতি নিয়ত চলাচলকারি স্কুল শিক্ষ কালাম. কলেজ শিক্ষক ফজলুর রহমান, ব্যাবসায়ী ছামসুল আলম, আতাব, নয়নসহ শত শত মানুষ জানান, রাস্তাটিতে ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরী হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই আধা থেকে এক ফিট পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়ে চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে পরে তাড়াশ বালিকা উচ্চ বিদ্যারয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তার দুই পাশের বাসাগুলো উচ,ু এদিকে রাস্তা নীচু। অন্য দিকে রাস্তার দুই পাশে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যাবস্থা। জমাট বদ্ধ পানি বের হয়ে যেতে পাওে না। তাই এ পথে চলা চল কারী প্রায় ৩০ হাজার মানুষের এ ভোগান্তি তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে বেশী সমস্যায় পড়েছেন স্কুলগামি কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থীরা। ওই পথ দিয়ে ৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ ও ১টি বালিকা উচ্চ বিদ্যারয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীও চলা চল করে।একদিকে রাস্তাটির উভয় পাশ দক্ষল হয়ে চাপা হয়ে গেছে, অন্য দিকে জলাবদ্ধতা, খানা-খন্দ ফলে শিক্ষার্থী ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এ ভোগান্তি লাঘবে রাস্তাটি প্রশস্ত, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ও প্রয়োজনীয় মেরামতের দাবী জানান সকল পৌরবাসী।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক মোঃ খালিদ হাসান বলেন, ইতোমধ্যে রাস্তাটির টেন্ডার কাজ শেষ হয়েছে। দ্রত কাজ শুরু হবে। আশা করি সমস্যাটি মিটে যাবে।

গুরুদাসপুরে মাদকের টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে নেশার টাকা জোগাড় করতে হারেজ আলী (৭৫) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় গুরুত্বর জখম হয়েছেন নিহতের স্ত্রী অলেদা বেগম (৬৫)। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত হারেজ উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-চাপিলা গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।
গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-চাপিলা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় তিনজনকে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- চাপিলা আদর্শগ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মাসুদ আলী (৩০), মমিন আলীর ছেলে সুমন আলী (৩০) ও মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০)।

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি নয় -সৌদি 

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা না হলে তার দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে তার বিরোধিতা করেছে রিয়াদ। খবর রয়টার্সের।
সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলে তার পিতা ও দেশটির বাদশাহ সালমানের পক্ষে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন মোহাম্মদ। তার আগে কাউন্সিলের নতুন সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের অপরাধের কঠোরভাবে বিরোধিতা করছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম বন্ধ করবে না এবং আমরা নিশ্চিত করছি যে, এটি ছাড়া সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।’ সৌদি আরবের এই অবস্থান ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের জন্য বড় একটি বাধা। কারণ দেশটি চায় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হোক।সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।

ভাঙ্গুড়ায় সাবেক এমপি’র ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা 

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনের দুই পুত্র গোলাম হাসনাইন রাসেল ও ইবনুল হাসান শাকিলের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর শাকিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পাবনার আমলী আদালতে মামলাটি করেন ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ভদ্রপাড়া মহল্লার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুজ্জামান মিঠু। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান আরিফসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। অগত শুক্রবার দুপুরে মামলার বাদীর আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সলঙ্গায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

সলঙ্গা প্রতিনিধি ঃসিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর পেট্রোবাংলার স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় তারা গ্যাস সরবরাহের চুরির অংশ সিস্টেম লসের নামে অন্যায়ভাবে জিটিসিএলের ওপর চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত জরুরিভিত্তিতে বাতিলের দাবি জানান। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সলঙ্গার জিটিসিএল হাটিকুমরুল আঞ্চলিক পেট্রোবাংলা কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে সহ-ব্যবস্থাপক এসএম হুমায়ন কবির বলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে জাতীয় গ্যাস গ্রিড পরিচালনাকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জিটিসিএল বৈষম্যের কশাঘাতে ধ্বংসের মুখোমুখি।

চলনবিলে মাছের সংকটে
শুটকি উৎপাদন ব্যাহত
আব্দুল বারী খন্দকার: চলনবিলের বিভিন্ন এলাকার শুটকি পল্লী গুলোতে এ বছর কাঁচা মাছের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যে কারণে চলতি মৌসুমে চলনবিলে শুটকি উৎপাদনের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট জেলে ও শ্রমিকেরা। হাতেগোনা দু’চারজন ব্যবসা শুরু করলেও বেশির ভাগ শুটকি মাছ ব্যবসায়ী এখনো ব্যবসা শুরুই করতে পারেননি। আর যারা ব্যবসা শুরু করেছেন কাঁচা মাছের দাম বেশি হওয়ায় তাদের অধিকাংশই লোকসান গুনছেন। প্রতিবছর সাধারণত ভাদ্র মাস থেকে এ এলাকায় সীমিত আকারে মাছ শুকানোর কাজ শুরু হয়। পানি কমার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মাছের যোগান। এ বছর আশ্বিন মাস শুরু না হতেই বিলগুলো প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিলের পানি কমে আসলেও চলনবিলের জেলেদের জাল সহ মাছ ধরার অন্য উপকরণ গুলোতে খুব একটা মাছ ধরা পরছে না। কিছু শুটকি ব্যবসায়ী সীমিত পরিসরে মাছ শুকানোর কাজ শুরু করলেও অনেকেই এখনো শুটকির চাতাল স্থাপন করেননি। বিলের পানিতে মাছ নেই বললেই চলে।

অষ্ট্রেলিয়ায় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে
শিশুদের বয়সসীমা নির্ধারণ

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ অস্ট্রেলিয়ায় শিশু-কিশোরদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বয়সসীমা ন্যূনতম ১৬ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আ্যন্থনী আলবানিজ গত মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।তরুণদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন সাইটের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা তুলে ধরে আলবানিজ বলেছেন, শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে এ বছর ফেডারেল আইন চালু করা হবে। সূত্রঃ প্রথম আলো।

ঝুলন্ত ডালিতে সবজি চাষ সাড়া ফেলেছে তাড়াশে 

আরিফুল ইসলাম ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অনাবাদি ও জলাবদ্ধ জমিতে ডালিতে সবজি চাষে করেছেন কৃষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ। পতিত ও জলাবদ্ধতা জমি পরিষ্কার করে পানির ওপর ডালি স্থাপন করে চাষাবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। উপজেলা কৃষি বিভাগের এই নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার অনেক কৃষক।কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, ভাসমান প্রকল্পের সমন্বিত কৃষির আওতায় ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে জানা যায়, ঝুলন্ত ডালিতে সবজি চাষ এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছে। অনেক কৃষক মৎস্য চাষের পাশাপাশি তারা পুকুড় এবং জলবদ্ধতা জমিতে সবজি চাষ করছেন। মাছের চাষের পাশাপাশি ঘেরে ও পুকুরের পানির ওপর বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ঝুলানো হয়েছে বাঁশ, নেট ও পলিথিন দিয়ে তৈরি ডালি। এখানে কৃষকরা বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। অনাবাদি জমিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সবজি ও ফসল ফলাতে পারেন তাহলে তারা লাভবান হতে পারবেন।

উল্লাপাড়ায় ‘মীর মুগ্ধ’ সেতু নির্মিত 

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী সরকারের দোসরদের ভেঙে দেওয়া সেতুটির স্থলে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে নির্মিত হলো শহিদ ‘মীর মুগ্ধ’ সেতু। সেতুটি নির্মাণ কাজে পৌরসভার ঘোষগাঁতী ও ঝিকিড়া মহল্লা এবং পার্শ্ববর্তী রামকান্তপুর ও চর সাতবাড়ীয়ার লোকজন সার্বিক সহযোগিতা করেছে। ইতোমধ্যে সেতুর ওপর দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত শুরু করেছেন এতে অবসান হয়েছে হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহরের মাঝে প্রবাহিত বিল সূর্য নদীর সংযোগ খালের উপর পৌরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার জন্য ২০০১ সালে পৌরসভা একটি সেতু নির্মাণ করে। এই সেতুর উপর দিয়ে শহরের পূর্বাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী রামকান্তপুর, চরসাতবাড়ীয়া, বেতবাড়ী, পূর্ব সাতবাড়ীয়া ও বেতকান্দি গ্রামের লোকজন উল্লাপাড়া শহরে যাতায়াত করতেন।

হাসিনার অবস্থান নিয়ে ভারতেও রহস্য !

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ প্রভাবশালী দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির নৈশভোজগুলোর একটি আলোচ্য বিষয়: শেখ হাসিনা কোথায়? ভারতে হাসিনা রয়েছেন এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তারপরও বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে হেরফের আছে। তবে ভারতের একটি শিক্ষিত শ্রেণীর সদস্যরা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত শক্তিশালী এই নারীনেত্রী ভারত সরকারের একটি নিরাপদ আবাসে (সেফ হাউজ) আছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নেয়া মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে থাকছেন, অথবা তাকে তার সঙ্গীদের সাথে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অন্যতম সেরা পার্ক লোধি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।নরেন্দ্র মোদির সরকার নিশ্চিত করে আসছে যে, হাসিনা ভারতেই আছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। তবে বিষয়টি নিয়ে খোদ ভারতেই মানুষের আলোচনা থেমে নেই। হাসিনার দল আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তখন তার প্রধান বিদেশী সমর্থক ছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু তার অবস্থানের বিষয়ে মোদি সরকার নীরবতা বজায় রেখে চলছে। সূত্রঃ জনকণ্ঠ।

সিংড়ায় ঝড়ে ভেঙ্গে পড়লো শতবর্ষী বৃক্ষ 

আশরাফুল ইসলাম আসিফ ঃনাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের শতবর্ষী গাছ বৃক্ষ মানিক আকর্ষিক ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। শতবর্ষী এই বৃক্ষ ভেঙ্গে পড়ায় এলাকার সাধারন মানুষ নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকে দুংখ প্রকাশ করেছেন আবার কারো কারো মনে অশান্তি বিরাজ করছে। দুরদুরান্ত থেকে অনেকে এই বৃক্ষ দেখতে আসতো। অনেকে গাছের ছায়ায় প্রাণ জুড়াতো। গতকাল রাতে ঝড়ে গাছটি মাটিয়ে নুয়ে পড়ে।জানা যায়, সুকাশ ইউনিয়নের দুলশী নামক স্থানে উচু ঢিবিতে শতবর্ষী এই গাছ ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। সবচেয়ে প্রাচীন এই বৃক্ষ নাটোর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন।
গাছটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট প্রস্থ প্রায় ১৫০ বর্গফুটের মতো। গাছটি বিভিন্ন গবেষক গণ পরিদর্শন করেছেন। বিরল প্রকৃতির এই গাছের সংখ্যা আমাদের দেশের কমই দেখা যায়।

গুরুদাসপুরে জামায়াতের ভোট প্রার্থনা 
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ম বর্ণ জাতি গোত্র নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামীর মনোনিত প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলেন দলীয় নেতা কর্মীরা।গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাঁচকৈড় শিক্ষাসংঘ রোডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি দোয়া ও সিরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়োজিত গণসমাবেশে ওই আহবান জানানো হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল খালেক মোল্লার সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় ওই গণসমাবেশ হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মো. সাদেকুর রহমান, নাটোর-৪ আসনের দলীয় এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

তাড়াশে হিংসার আগুনে পুড়ল খড়ের পালা 

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুড়পিপুল গ্রামের লিটন চন্দ্র সিং নামের এক কৃষকের খড়ের পালায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতমঙ্গলবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। দেশিগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর এরই মধ্যে পুরো খড়ের পালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লিটন চন্দ্র সিং বলেন, বাড়ীর পাশে বিবাদমান স্থানে রাস্তার ধারে তাঁর একটি বড় খড়ের গাদা ছিল। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়ের গাদায় কে বা কারা আগুন দেন তা তিনি দেখেননি। তবে ওই জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি বর্মন সিংয়ের ছেলে সুফল সিং, বিনয় সিংয়ের ছেলে বিশ্ব সিং, মৃত নারায়ণের ছেলে বারণ সিং ও মৃত আজাহার আলীর ছেলে মো. জহির উদ্দিনের সাথে ওই জায়গা নিয়ে গোলমাল চলে আসছিল। আমার ধারণা তাঁরাই আমার খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুনে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমার সাতটি গবাদিপশুকে এখন কি খাওয়াবো বুঝতে পারছি

গুরুদাসপুরে ইলসামী আন্দোলনের গণসমাবেশ 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গুরুদাসপুর উপজেলা শাখার আয়োজনেগণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ওই গণসমাবেশ হয়।
“মুক্তির মূলমন্ত্র ইসলামী শাসনতন্ত্র” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গুরুদাসপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ কোরবান আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্থানীয় অনেক নেতা বক্তৃতা করেন।

সন্মাননা পেলেন কবি ও সাংবাদিক রানা 

সিংড়া প্রতিনিধিঃপ্রথম জাতীয় লেখক উৎসব ২০২৪ এ সম্মাননা পেলেন সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কবি মোল্লা মো. এমরান আলী রানা। সাংবাদিকতায় ও সাহিত্য চর্চায় নিয়জিত থাকায় এ সন্মাননা দেওয়া হয়।গত শনিবার বিকেল ৩টায় লেখক উন্নয়ন কেন্দ্র আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজন করা হয় প্রথম জাতীয় লেখক উৎসবের।
লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক কবি ও সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম কনক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। উৎসবের আহ্বায়ক কবি ও কথা সাহিত্যক হালিমা বেগম এর সভাপতিত্বে বিকেল তিনটায় কবিতা পর্ব শুরু হলে পরে রানাকে পুরস্কৃত করা হয়।
বেলকুচিতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত ছবি
মনিরুল ইসলাম : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের চালা উত্তরপাড়া শিখন কেন্দ্রে নবীজী সা. এর জন্মদিন ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সিরাজগঞ্জ এর সহায়তায় সেভ দ্য কান্ট্রি এবং পরিবর্তন এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চালা উত্তরপাড়ার স্বনামধন্য কোরআনে হাফেজ আব্দুল ওহাব। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম সুপারভাইজার কবির হোসাইন, মো. মনিরুল ইসলাম শিক্ষক রওশনারা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নবীজী সা. এর কর্ম ও জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে ২৫ জন শিশু শিক্ষার্থী যোগদান করে।

তামাকের শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই 
বাংলাদেশে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়। শক্তিশালী তামাককর পদক্ষেপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব বলে মতামত জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে আত্মা’র সভাটি আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। বাংলাদেশে তামাককর কাঠামো ত্রুটিপূর্ণ এবং তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য। ফলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হচ্ছে, তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে।সম্প্রতি জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এর ব্লামবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর আওতায় ২০২৪ সালে প্রকাশিত টোব্যাকোনমিকস সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ডেও বাংলাদেশের হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে। দাম, সহজলভ্যতা, করকাঠামো এবং খুচরা মূল্যে করের অংশ এই চারটি বিষয় বা ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ড তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৫ এর মধ্যে মাত্র ১.১৩, যা আগে ছিল ২.৩৮। ৪টি ফ্যাক্টরেই খারাপ করেছে বাংলাদেশ তবে সহজলভ্যতায় শূন্য পাওয়ার কারণেই এবারে স্কোর অর্ধেকে নেমে এসেছে। মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে সবধরনের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্পূরক শূল্ক খুচরা মূল্যের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ করা এবং সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট আ্যডভ্যালোরেম কর পদ্ধতির পরিবর্তে ইউনিফর্ম স্পেসিফিক বা মিক্সড (স্পেসিফিক ও আ্যডভ্যালোরেম) কর পদ্ধতি প্রচলনের মাধ্যমে সিগারেট ট্যাক্স স্কোর কার্ডে বাংলাদেশের উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলে আলোচনায় জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD