সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ৪, বর্ষ ০৮, ২০২৪

Spread the love

পৃথিবীতে কোথাও শিক্ষার্থীদের
এতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্টঃ দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের এতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি। দুনিয়ার কোথাও নাগিরকদের এতোটা মানবাধিকার বঞ্চিত হয়নি। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের প্রধানদের নিয়ে ওই ব্রিফিং হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা নিজের দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি এবং চরম অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস বিদেশিদের বলেন, এখন ক্লোজ টু নরমালসি এসেছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোই অন্তবর্তী সরকারের এখনকার প্রায়োরিটি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের কারণে দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। এটা ঠিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি বলেন, আশা করি নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে সকলেই পাশে থাকবেন। প্রফেসর ইউনূস বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস : বাংলাদেশেও সতর্কতা জারি

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) সংক্রমণ রোধে গত রোববার থেকে সতর্কতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণের মাধ্যম ও প্রতিরোধমূলক নির্দেশনার বিভিন্ন লিফলেট সাঁটানো হয়েছে যাত্রী প্রবেশদ্বারে। ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। যাত্রীরা বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হলে করোনার মতো এ ভাইরাসটিও মোকাবিলা সহজ হবে।এর আগে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরেও এমপক্স প্রতিরোধে সতর্কতামূলক সংকেত জারী করা হয়।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তান। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।সূত্রঃ মানবজমিন।

শেখ হাসিনা-কাদের-কামালসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর সূত্রাপুরে দুই শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী নাসরিন বেগম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সূত্রাপুর থানা-পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। সূত্রঃ কালবেলা।

ইন্টারনেট শাটডাউন পলক-মহিউদ্দিনের নির্দেশে
ডেস্ক রিপোর্টঃ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই প্রথম দফায় সারা দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায়। আর মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের নির্দেশে।
গত মঙ্গলবার অন্তবর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। অন্তবর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে এ তথ্য পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সূত্রঃ যুগান্তর।

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫৯ হাজার
কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৫৯ হাজার কোটি টাকা) বেশি আত্মসাৎ করেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কাজে সহায়তা করেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।শনিবার (১৭ আগস্ট) গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান রোসাটমের কাছ থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার।মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন রাশিয়ান স্ল্য্যাশ ফান্ড থেকে এই ৫ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। যাতে মধ্যস্থতা করেন সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তয়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন। সূত্রঃ ইত্তেফাক।

তাড়াশে সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান
তালুকদারের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মান্নান তালুকদারের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ আগষ্ট রবিবার তাড়াশ মুহরী অফিসের মাঠে উপজেলা বিএনপির সভাপতি স.ম আফসার আলীর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ,রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা আসনের ৪ বার নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মান্নান তালুকদার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোঃ আমিনুর রহমান টুটুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মোঃ সাইদুর রহমান,উপজেলা যুব দলের আহবায়ক এফ এম শাহ আালম, রাজিব আহমেদ মাসুম,সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহাদত হোসেন, ছাত্র দলের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন সহ উপজেলা বিএনপি ,যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। এ অনুষ্ঠানে এলাকার বিএনপির সমর্থক হাজারো জনতা উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালিত

তাড়াশ প্রতনিধি ঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার বেলা ১১ টায় জন্মদিন পালন উপলক্ষে উপজেলা মুহুরী অফিস চত্বরে কেক কর্তন, , দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি স. ম. আফসার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ দুলাল হোসেন, সংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান ও মোঃ জিয়াউর রহমান সহসাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মোঃ ওবায়দুর রহমান, যুবদলের আহ্বায়ক এফ এম শাহ আলম, সদস্য সচিব রাজিব আহমেদ মাসুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ শাহাদাত হোসেন, ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ জাহিদ হাসান ফকির, সদস্য সচিব খন্দকার শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

আত্মগোপনে তাড়াশের সাবেক এমপি পরিবার

সাব্বির মির্জা ঃ সিরাজগঞ্জ-৩ রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর গ্রামের জনসাধারণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটায় আত্মরক্ষার্থে ও প্রাণ ভয়ে এমপিসহ তার দুই ভাই এ্যাড. মো.নুরুল ইসলাম ও মো. আবু সাইদসহ তাদের আপন ভাগ্নে এবং কথিত ৬১ ভাগ্নেরাও আত্মগোপনে রযেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ সিরাজগঞ্জ -৩ (রায়গঞ্জ- তাড়াশ) আসনে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের নামে আত্মীয়করণ ও স্বজনতোষন শুরু করেন। আর এ সুযোগে তাঁর স্বজনরা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা দুই উপজেলার সরকারী সকল দপ্তরে প্রভাব খাটাতে থাকেন।
তাড়াশে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের
দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র- জনতা গণহত্যাকারী পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার মহুরী মোড় এলাকা থেকে উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা- কর্মীদের সমন্বয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ গেট চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এফএম শাহ আলমের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাজিব আহমেদ মাসুম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শুকুর মির্জা, তারেক আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. শাহাদৎ মন্ডল, উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক জাহিদ ফকির, সদস্য সচিব খন্দকার শাহাদৎ হোসাইন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হাসান মির্জা প্রমূখ। ওই সমাবেশে বক্তাগন শহীদদের আত্মদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। পাশাপাশি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র- জনতা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবী জানান।

তাড়াশে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘীসগুনা নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মির্জা আব্দুর রশীদ বকুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বাজারের জায়গা দখল ও গ্রামের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় উপজেলার দিঘীসগুনা নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শতাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সমির আলী বলেন, মির্জা আব্দুর রশীদ বকুল পাবনায় জনতা ব্যাংকে চাকুরি করার সময় রাজশাহী বিভাগীয় শাখায় আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিতি হয়েছিলেন। ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কৃত করেন।১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সহ-সভাপতি জাফর ইকবাল টিটু বলেন, মির্জা আব্দুর রশীদ বকুল দিঘীসগুনা নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৮-২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করেন।
বর্তমান ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল হক কে দপ্তরি পদে এবং কৃষকদলের সভাপতি মোখলেছুর রহমানকে নাইট গার্ড পদে নিয়োগ দিয়ে জমি লিখে নেন। পরে মির্জা আব্দুর রশীদ বকুল সুকৌশলে তারা বিএনপি করার অপবাদে জোড়পূর্বক পদচ্যুত করেন। তখন বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকায় তিনি কর্ণপাত করেন নাই। এখন আমরা গ্রামবাসী ওই ভূমিদস্যু বকুলের বিচার চাই। ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. মনজিল হক বলেন, ২০০৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করায় গ্রামবাসীরা একটি পুকুর দেন কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ওই পুকুর লীজ দিয়ে আব্দুর রশীদ বকুল নিজেই টাকা আত্মসাৎ করে চলছেন। তা এখন গ্রামবাসীকে ফেরত দিতে হবে।১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সেরাজুল হক সেরাজ বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে মিশে আব্দুর রশীদ বকুল দিঘী সদগুনা হাটখোলা মসজিদের জায়গার প্রায় ৩০টি পজিশন বরাদ্দ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং তিনি নিজেই ৪টি দোকানের পজিশন দখল করেছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

সম্পাদকীয়
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

হিংসা-হানাহানি, শোষন-বঞ্চনা ও সংঘাত-সংঘর্ষ এদেশীয় রাজনীতির চির বৈশিষ্ট্য, চিরচেনা রূপ। ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমল পেরিয়ে আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলাদেশ। এখানেও রাজনৈতিক ধারা প্রবাহ, দ্বন্দ্ব-বিরোধপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল বৈ অহিংস, শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সম্প্রীতিপূর্ণ কখনই খুব একটা ছিল না। মোটা দাগে বলতে গেলে, উপমহাদেশের রাজনীতির ইতিহাস মানেই সংকীর্ণ দলাদলি, ভাঙ্গা-গড়া ও অস্থির-অসুস্থ রাজনীতির ইতিহাস। ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি কখনো সুস্থির ও নির্ঝনঝাট থাকেনি ইতিহাস তার প্রমাণ। এমনকি ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারত স্বাধীনতার বিভিন্ন পর্যায়ে ও প্রেক্ষাপটে রক্ত ঝরেছে, জীবন বলি দিতে হয়েছে। এক কথায় সে কাহিনীও রক্তপাতহীন. অহিংস নয়। আর সবশেষে বাংলাদেশের জন্মই তো হয়েছে রক্তের সাগরে ভেসে, অগণিত প্রাণের বিনিময়ে। সে রক্ত স্্েরাত ও তরঙ্গহ বোধ করি আমাদের অখন্ড অশুভ ভাগ্যলিপি বা অনিবার্য নিয়তি হিসেবে আজো নির্মমরূপে চলমান বা বহমান যার পরিমাণ-পরিধি কখনো কম কখনো বেশি। তবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার দিগন্ত রেখা কখনো অদৃশ্য হয়নি। আর সেটা হল স্বাধীনতার এতদিন পরও দেশ শাসন ও পরিচালনার ক্ষমতা চর্চা তথা নেতৃত্বের ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে চরম দলবাজি, আন্তঃবিরোধ, মতানৈক্য, বিভেদ, বিদ্বেষ এবং ব্যবধান এতটাই প্রকট হয়েছে যে, ন্যূনতম জাতিয় কল্যাণে, দেশের স্বার্থে ও দেশবাসীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসন বা পরিচালনা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব তথা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। আর এই সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক সমতার নিরিখে সামগ্রিক ও সামষ্টিক উন্নয়ন দর্শন ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, পরিবার, দল, চক্র, সিন্ডিকেট ইত্যাকার হীন উদ্দেশ্যকে বিভিন্ন সময়ে প্রাধান্য দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি সংকীর্ণ অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক এবং কর্তৃত্ববাদী ও জনতুষ্টি মতাদর্শের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠায় সবাই আত্মনিয়োগ করেছে।অতি সম্প্রতি প্রাধান্য পেয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন তথা মেগা প্রকল্প।
সেক্ষেত্রে দেশ, জাতি, সমাজ, রাষ্ট্র, জনগণ এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথাও আমরা বিবেচনায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছি বা ভুলে গেছি। বরং ডিজিটাল, স্মার্ট ইত্যাকার চমকপ্রদ সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্নের কথা বলে এমন একটা মোহ সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে যাতে মানুষ অধিকার, স্বাধিকার ও মৌলিক এবং বাক স্বাধীনতা,ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা ভুলে যায় ভোগসর্বস্ব জীবনের লোভে। এসব অন্ধ, বিবেকবর্জিত, আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতা আমাদের এতটাই নিমগামীœ অধপতিত মানসিকতায় নিমজ্জিত করেছে যে, আমরা মহান স্বাধীনতার পবিত্র ইতিহাস পর্যন্ত যে যার মতো সংকীর্ণ ও কুপমন্ডুকতার দৃষ্টিকোণে বিবৃত ও বিকৃত করার জঘন্য হীন প্রয়াস চালাতে দ্বিধা করিনি। পাকিস্তানি উপনিবেশবাদের জগদ্দল পাথর বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশ থেকে অপসারিত হলেও আমরা নিজেরা নিজেদের শাসন ও জাতি গঠনের দায়িত্ব নিয়ে বারবার লজ্জাকর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছি। স্বাধীন ও সার্বভৌম ছোট্ট এ দেশটায় কখনো আইনের শাসন বা সুশাসন, ন্যায় বিচার, মানবিক মর্যাদা এবং বৈষম্যহীন একটি সাম্য,ন্যায্য, সভ্য সমাজ ব্যবস্থা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। পরিবর্তে গত অর্ধশতাধিক বছরে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কালে নানা অপশাসন ও দুঃশাসনের কবলে ও ছোবলে পড়ে এদেশের জনগণকে কেবলই হাহুতাশ, দীর্ঘশ্বাস এবং বিষাদিত অশ্রুপাত করতে হয়েছে নিরবে-নিঃশব্দে। যে বুক ভরা স্বপ্ন এবং সীমাহীন আশা নিয়ে তারা স্বাধীনতা এনেছিল তার বিপরীত,সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও গণতন্ত্রের সংকোচন তথা দুর্দশা দেখে জাতি শ্বাসরুদ্ধকর এক অভূতপূর্ব দুঃসহনীয় দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যখন মুমূর্ষু রোগীর মতো কাতরাচ্ছিল তখনই ঘটল সেই ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বা গণহত্যা ট্রাজেডি। যা এদেশের মানুষ কখনো কল্পনাও করেনি তাদের দ্বারা সংঘটিত হওয়া যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবার গৌরব অর্জনের দাবি করেছিল। সবচেয়ে বড় নিন্দনীয় ব্যাপারটা হলো বিশ্ব বরেণ্য বাংলাদেশ স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যার অপরাধীর বেশে দেশ থেকে সর্বজনের ক্ষোভের মুখে নির্লজ্জ পলায়ন এবং পিতার ভাবমূর্তিকে চিরতরে বিসর্জন। এটা সমকালীন বিশ্বে বিরল,নজিরবিহীন। এই অপমান ও অপদস্থ তার শুধু একার নয় বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্ক লেপন বটে। কেননা কোন রাষ্ট্রনায়ক, দেশপ্রেমিক নেতা নিজ দেশের জনগণকে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের কুরুক্ষেত্রে নিক্ষেপ করে নিজে ইতরের মতো গণ বিপ্লব থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচানো ভীরু-কাপুরুষের কাজ। এটা ঘৃন্য, অমর্যাদাকর ও মনুষ্যত্বহীনতার তুল্য। ছাত্র-জনতার বিদ্রোহ-বিপ্লবে পরাভূত ও পর্যুদস্থ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মাস্টারমাইন্ড নেতাদের ও খোদ দলের কি ভয়াবহ পরিণতি হবে তা সামনের দিনগুলোই বলে দেবে।
এখন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট অপূর্ব সুযোগে দেশের জনসাধারণের এখন একটাই কাম্য, দেশে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন আইনের শাসন তথা সুশাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। কারণ দেশ স্বাধীনতার অব্যাহতির পর থেকেই আজ অব্দি এখানে আইনের শাসন বা সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইত্যাকার জনপ্রত্যাশার উপাদান সমূহের সবচেয়ে বড় ঘাটতি হতে হতে তা একেবারে তলানিতে গিয়ে ছাই চাপা আগুনের আগ্নেয়গিরি রূপ ধারণ করে অবশেষে সম্প্রতি বিস্ফোরিত হয়ে তার লাভা নিক্ষেপ শুরু করেছে যার মাশুল বা মূল্য দিতে হচ্ছে এ জাতিকেই। আমাদের ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। তাই সেই ন্যায় বিচার, সাম্য , মানবিক মর্যাদা, সুশাসন তথা আইনের শাসনই সামনের দিনগুলোতে বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা কিভাবে বাংলাদেশের আগামী উদার ও নির্ভেজাল রাজনীতিতে ও রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থায় স্থায়ীভাবে সমাজে প্রশাসনে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন কার্যকরী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরবর্তী ধাপে সেটাই এখন মূল প্রতিপাদ্য হওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, আমাদের এক সংগ্রামের পর আর এক সংগ্রামে এবং এক আন্দোলনের পর আরেক আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে। আমাদের এ সংগ্রাম, যুদ্ধ, আন্দোলন, বিপ্লব, অভ্যূত্থান ও লড়াই এক অন্তহীন পথযাত্রা। সে অভিষ্ট লক্ষ্যের সুরঙ্গের শেষ প্রান্ত কোথায় তা এখনই বলা যাবে না। তবে, আসুন আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে সবাই স্বতঃস্ফূর্ত মুক্ত এবং সুদৃঢ় হাত বাড়িয়ে দেই। এই নব সূচিত রনাঙ্গনে আমাদের আমাদের পিছু হটার কোন পথ নেই এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। সে বিজয় অর্জনের জন্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর লেগে যেতে পারে। আর সে ধৈর্য, সাহসিকতা, প্রজ্ঞা ও ত্যাগ আমাদের অবশ্যই দেখাতে হবে।

“সভ্যতাই রাষ্ট্র সংস্কারের পূর্ব শর্ত”
আবদুর রাজ্জাক রাজু

অতি সাম্প্রতিকের অবিশ্বাস্য অভূতপূর্ব বিজয় সূত্রে আমরা যদি সমাজের সর্বস্তরের তথা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গে ক্যান্সারের মতোজমে থাকা দীর্ঘ কালের ময়লা-আবর্জনা, দূষণ ও সংক্রমণ দূর করতে চাই তবে আইনের শাসন বা সুশাসন সর্বাগ্রে প্রয়োজন হবে বলে সবাই নিশ্চয় অভিমত দেবেন। আবার ‘সুশাসনের’ পূর্বে ‘গণতন্ত্র’ লাগবে। এর আগে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন আরসেজন্য অবাধ ভোটাধিকার অতঃপর কার্যকরী সংসদ, বিচার ব্যবস্থা, আইন ও নির্বাহী বিভাগসহ নির্ভেজাল সাংবিধানিকপ্রতিষ্ঠানইত্যাদি আবশ্যক। যা প্রধানত: দেশের সংবিধানের ও প্রচলিত আইনের আলোকে পরিচালিত হবে। এখন এসবের নিশ্চয়তা বিধানে নিবেদিত নিষ্কলুষ ও গণমুখী দেশপ্রেমে সিক্ত নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোন বিকল্প চিন্তা করা যায় না। সেজন্য সংকীর্ণ গোষ্ঠী-পরিবারতন্ত্র, স্বজনতোষন,লুটপাট, স্বার্থান্বেষী, দলবাজী, দলকানা ও দলদাস সর্বস্ব সেকেলে রাজনীতিকে পরিহার তথা বেমালুম বর্জন করা দরকার হবে। এছাড়া অসাম্য,বৈষম্য এগুলো সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট এবং শুধু অর্থনৈতিক দুষ্টক্ষতের পরিণতি নয়।আরো অগ্রাধিকার দিতে হবে আমাদের শতবর্ষেরপুরোনো উপনিবেশবাদী শাসনের শিক্ষায় শিক্ষিত,দীক্ষিত,প্রশিক্ষিত ঘুনেধরা আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি তথা মন-মানসিকতা অভ্যাস-অনুশীলনপরিবর্তনের বা রূপান্তরের।

এ পরিবর্তন পরিবারের ব্যক্তি থেকে শুরু হয়ে সমাজের ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে কার্যকর করতে হবে। তাহলে এর জন্য অপরিহার্যরূপে প্রয়োজন হবে একটা শিক্ষিত ও সভ্য জাতি। আমরা সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা, প্রগতি, উন্নতি, সম্প্রীতি, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি যা-ই চাই না কেন, শিক্ষায় আলোকিত একটি সভ্য নাগরিক জীবন ব্যতীত তা খুব বেশি সম্ভবপরনয়। তাই প্রবাদে আছে ঃ “সম্পদ সভ্যতা আনতে পারে না, তবে সভ্যতা সম্পদ আনতে পারে”।এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ইউরোপীয় বা পশ্চিমের দেশগুলো। আমাদের দেশ এতদিনে অর্থ-সম্পদে সামান্য কিছু এগুলেও সভ্যতা ও নৈতিকতায় আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ে আছি। মাথাপিছু আয় ও জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি আওড়িয়ে এই সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। তাই প্রতিবছরই জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে ও অন্যান্য বৈশ্বিক জরিপে বা সমীক্ষায় আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা অসন্তোষজনক তথা তলানিতে পড়ে থাকে। এতে আমাদের দু:খ, লজ্জা কোনোটাই পেতে দেখা যায় না।

আজকে বাংলাদেশে দীর্ঘ রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক ব্যাধির মূল কারণের সর্ব শীর্ষে আছে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি, দুর্নীতিসহ মাদকের নেশার মতো অন্যান্য পেশা, ব্যবসায় ও কর্মে অবৈধ উপায়ে ধন-সম্পদ, অর্থ-স্বার্থ, বিত্ত-বিভব ইত্যাদির কামাই-রোজগার, সঞ্চয়-সংরক্ষণ এমনকি দেশের বাইরেও পাচারকরণে প্রতিযোগিতা। দেশ ছেড়ে বিদেশে প্রয়োজনে নিরাপদ ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ বা সেকেন্ড হোম গড়ে তোলার হীন উদ্দেশ্য। এসব করায়ত্ত বা কব্জাগত করার লক্ষ্যে নেতৃত্ব, ক্ষমতা, পেশা শক্তি ও দলীয় সন্ত্রাসইত্যাদির চর্চা অনুশীলন আশ্রয়-প্রশ্রয় অনিবার্য হয়ে পড়ে। আর এগুলো করতে গিয়ে রাষ্ট্রের তথা জাতির তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয়, স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ের সর্বত্র দ্বন্দ্ব, বিরোধ, মারামারি, হানাহানিতে জড়িয়ে মানুষের জীবন হানি পর্যন্ত ঘটাতে দ্বিধা করে না স্বৈরশাসকেরা। সেই পাশবিক জিঘাংসা ও ক্ষমতার উদগ্র ক্ষুধা নিবারণ করতে আজকের এই মহা দুর্যোগ-বিপর্যয় এবং বিষাক্ত-রক্তাক্ত বিয়োগান্ত মহা ধ্বংসযজ্ঞের পরিণতি, আগষ্ট ট্রাজেডি। এটা জাতিগতভাবে আমাদের কতখানি পিছিয়ে দিয়েছে তা ভবিষ্যত-ই বলে দেবে।তাইতো ছাত্রজনতা আন্দোলনের অগামীতে মূল লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা।

সেই জন্যই আমরা ব্যবস্থার বা সিস্টেমের বদল চাই, কাঠামোগত রূপান্তর এবং এক কথায় রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরআমূলপরিবর্তন কাম্য, অবনতিশীল , অহিতকর,অকল্যাণকর রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার জরুরী। যেটাই হোক না কেন প্রথমে পরিবর্তনটা আসতে হবে প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিজের ভেতর থেকে। এবং সেটা হতে হবে ইতিবাচক ও প্রবৃদ্ধি সূচক। সে অর্থেই বিখ্যাত ইংরেজি লেখক বার্ণার্ড শ’ যা বলেছেন, “পরিবর্তন ব্যতীত উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং যারা নিজেদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারে না তারা কোন কিছুই পরিবর্তন ঘটাতে পারে না”। এখন এই পরিবর্তন করতে হলে জাতিকে শতভাগ নিরক্ষর মুক্ত তথা শিক্ষিত হতে হবে। এর সাথে সাথে মানবিক ও সভ্য ব্যবহার-বৈশিষ্ট্য, দৃষ্টিভঙ্গি এবং শান্তিপূর্ণ পরিশীলিত অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমাজ সংস্কৃতির বিনির্মাণ ও প্রচলনের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিতে হবে, স্বাক্ষর রাখতে হবে।

ফেসবুকে একটা গান শুনে থাকবেন, “কুকুরের বাচ্চা যদি কুকুর হয়, শুয়োরের বাচ্চা যদি শুয়োর হয়- তবে মানুষের বাচ্চা কেন মানুষ হয় না রে”। এক্ষেত্রে আমাদের শুধু মেগা প্রকল্পের জোয়ার সৃষ্টি না করে, অবকাঠামো উন্নয়নের বন্যা বয়ে না দিয়ে বরং মানব উন্নয়নের বিভিন্নধাপগুলো পূরণের চেষ্টা করা উচিত। সমাজের প্রকৃত নৈতিক শিক্ষা, মানবিক গুণাবলী ও মূল্যবোধের বিকাশ দেশজ কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রসার ও উৎকর্ষ সাধনে বিনিয়োগ করা ও তা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো প্রয়োজন। অসংখ্য বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি অন্ততমানুষ তৈরির, তাদের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য সংশোধনের-পরিমার্জনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ ও কর্মসূচি সদাসর্বদা সমাজে চলমান থাকতে হবে যাতে করে তরুণ ও নতুন প্রজন্ম কেবলমাত্র প্রযুক্তির নেশায়আর ইনকামের রাজনীতির ধান্দায় বাকেবলই চাকুরীর দাসত্বেও আকর্ষণে প্রলুব্ধ না হয়। সেটা শিল্প , সাহিত্য, নাটক, যাত্রা, গান, কবিতা, পুঁথি, নৃত্যকলা, পাঠাগার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পাঠচক্র, বই পড়া, সুকুমার বৃত্তির চর্চা, যেমনি হোক না কেন। যে ধ্যান-জ্ঞান ও চর্চা সমূহ সংকীর্ণআত্মকেন্দ্রিকতা এবং আত্মস্বার্থপরতার বাইরে পরার্থপরতায় ও মুক্ত, প্রগতিশীলতায় উদ্বুদ্ধ নিবেদিত সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীমূলক সভ্য জীবনযাত্রার দিকে ধাবিত করবে। চিন্তা-চেতনায়, মননে ও মানসে থাকবে দেশপ্রেম, জনকল্যাণ আর সমষ্টির উন্নয়ন। এমন চেতনা ও দর্শন যে, দেশ, জাতি, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের মধ্যেইব্যক্তিগত তথা নিজের উন্নয়ন নিহিত। এই নীতি-আদর্শের উৎকর্ষ প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের মূল চেতনা বা চাওয়া-পাওয়া“রাষ্ট্র সংস্কার অথবা রাষ্ট্র মেরামত” তথা এর খোলনলচে বদলে ফেলা। যার তাৎপর্য মাহাত্ম্য অত্যন্ত গভীরে নিহিত। একটি ছোট বাক্যের মধ্যেই বিশাল সুদীর্ঘ স্বপ্নের সুদুরপ্রসারী দূরদৃষ্টির বীজ লুকায়িত আছে যার সফল স্বার্থক বাস্তবায়ন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর লেগে যেতে পারে একটি জাতির জন্য। এটা তাৎক্ষণিক, স্বল্প মেয়াদী বা মধ্য মেয়াদী কোন বিষয় নয়। এটা দীর্ঘকালীন এবং টেকসই ভিত্তির কৃচ্ছতা ও সাধনা। প্রথমে এর আস্বাদন তিক্ত হতে পারে তবে পরিণামে এর ফল সুস্বাদু তথা উন্নত বিশ্বের নাগরিকের সম্মান ও মর্যাদার সাড়িতে আরোহন। ফলে যুগ যুগের পূঞ্জীভূত দুর্নীতি অবক্ষয় আপাদমস্তক নিমজ্জিত শতভাগ দূষিত একটি রাষ্ট্রের ক্রনিক রুগ্নতা ও ভগ্ন দশা পুনরুদ্ধার তথা মেরামত করাটা শুনতে তরিৎ সহজ মনে হলেও এটা একটি জাতির জন্য স্বাপ্নিক ও দূরদর্শী অভিষ্ট লক্ষ্য বলে বিবেচিত। এটা সব মত,পথ, দল এবং রাজনীতির সমন্বয়করণ শেষে দেশের জনসাধারণের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও অংশগ্রহণ সাপেক্ষে সকলকে অন্তত জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে কিছু সময়ের জন্য হলেওএক বিন্দুতে এনে আপাততবাস্তবায়নের সূচনায় যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিদ্রোহ, বিপ্লব, আন্দোলন ও গণঅভূত্থানে একটি স্বৈরাচারী, রক্তচোষা, শাসকগোষ্ঠীর সাময়িক পরাজয় হয়েছে। কিন্তু দেশজুড়ে তাদের বিপুলসমর্থক ও অনুসারী রয়েছে। রয়েছে দলীয় বৃহৎ বৃত্ত এবং মতাদর্শ। সেটাও ধৈর্য ও সহনশীলতার দৃষ্টিতে বিবেচনায় নিতে হবে একীভূত এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে।

সেক্ষেত্রে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান উত্তর যে কোন সম্ভাব্য বৈরী হিংসাত্মক বিভক্তি-বিভেদ বিভাজনের সীমাহীন ব্যবধান ঘুচিয়ে, অতীত যন্ত্রনাক্ত তিক্ততা ও হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সহিষ্ণুতা ও সহমতের এক কাতারে এনে উদ্দিষ্ট মহান লক্ষ্য হাসিলের পরবর্তী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। কেননা, একটা জগদ্দল পাথর চাপা গভীর অমানিশা বিদূরিত করতে আমাদের যে ত্যাগ ও উৎসর্গ করতে হয়েছে; তার চেয়ে আরো জটিল ও কঠিনতম রক্তপাতহীন জ্ঞানভিত্তিক বৈজ্ঞানিক যুক্তি-বিচারের অন্তহীন লড়াইয়ে আমাদের নিয়োজিত তথা অবতীর্ণ হতে হবে আগামীতে এবং সে দুরুহ কঠিন পথ অবশ্যই অতিত্রম করতে হবে। যেমনএকদা আমরা দলমত-জাতপাত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম অপরিসীম একতাও দুর্দান্ত সাহস এবং ইস্পাত কঠিন দৃঢ়অঙ্গীকার নিয়ে। তাই আমরা এবারের পালাবদলকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস আখ্যায়িত করলেও এটাকে সার্থক ও সফল করতে আরো বড় পর্বতসম চ্যালেঞ্জিং আমাদের সামনের দিনগুলিতে মোকাবেলা করতে হবে- এতে কোন সন্দেহ নেই।
আমাদের সাম্প্রতিক এই বিজয় যেমন বিস্ময়কর, অনুরূপ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সফলতা অর্জন হবে আর এক বিস্ময়ের বিস্ময় যদি তা সত্যিই ফলপ্রসূ স্থায়ীত্বশীলতার মুখ দেখে। কারণ যে দেশের প্রায় অর্ধেক জনসাধারণ প্রকৃতপক্ষে প্রায় নিরক্ষর, অসচেতন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদ তারা পুকুরের ভাসা পানার কিংবা সস্তা পণ্যের মতো দলবাজ রাজনৈতিক নেতাদের হাতে যাদুর গুটির ন্যায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে তেমন একটি জাতিকে ইউরোপ-আমেরিকার গণতান্ত্রিক সভ্য সমৃদ্ধ দেশের আদলে গড়ে তোলা কত দিনে কতটুকু সম্ভব তা সুনিশ্চিতভাবে ভেবে সে মোতাবেক দূরদর্শী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিতে হবে। লক্ষ্যণীয়, যা পাঁচ দশকের অধিক সময়েও সম্ভব হয় নি, এখন আমাদের সর্ব সম্মত একটা জাতীয় কর্মকৌশল ও পথ নকশা তৈরি করতে হবে তা কত দ্রুততম সময়ে এই মহান লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। যুগপৎ দেশের সবাইকে এক ছাতার নিচে এনে ঐক্য-অনৈক্য মতের ব্যবধান মোটামুটি কমিয়ে জাতীয় ইস্যুতে আমরা যাতে স্বপ্নটাকে ন্যূনতম পূর্ণাঙ্গ বাস্তবে রূপ দিতে যাত্রা শুরু করতে পারি সেটা নির্ধারণ করতে হবে। সে পথ মসৃণ বা কুসুমাস্তীর্ণ নয়তো বটেই, স্বল্পকালীনও নয়।

এটা বিশেষ দল মতের নয়। এটা বহু দলীয়, বহুমত ও বহু সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের মিলন ও সংমিশ্রনে একটি বহু দূরবর্তী সুসভ্য মহা দিগন্ত রেখা পাড়ি দেয়া। যার নিকটবর্তী দৃষ্টান্ত সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, আর দূরবর্তী- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো। এমনকি পাশের বিশাল দেশ ভারতও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ও আইনের শাসনের যে সুদীর্ঘ নজির, ইতিহাস, ঐতিহ্য স্থাপন করেছে বিশ্বব্যাপী তা স্বীকৃত, সমাদৃত ও নন্দিত হয়েছে। সেখান থেকেও আমরা শিক্ষা ও প্রেরণানিয়ে আমাদের মতো করে বাস্তবায়ন করতে পারি। সবশেষে প্লেটোর সেই মূল্যবান লেখনির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে শেষ করব। তা হল- “মানুষ যেমন হবে, রাষ্ট্রও তেমন হবে। মানুষের চরিত্র দ্বারাই রাষ্ট্র গড়ে ওঠে।” বিধায়, আমাদের প্রায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত জাতীয় নৈতিক চরিত্র এবার পরিশুদ্ধ-পরিমার্জিত করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে- অর্থাৎ নাগরিক জীবনে সভ্য ও মনুষ্যত্বের বিশুদ্ধ জাগরণ ঘটাতে হবে, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবে প্রয়োগ ও প্রমাণ করতে হবে।অন্যথায় ইপ্সিত রাষ্ট্র মেরামত ও রাষ্ট্র সংস্কার এরকিছু প্রয়াস-প্রচেষ্টা হয়তো এগিয়ে নেয়া ছাড়া বাদবাকী সবকিছুকল্পনাতেই থেকে যেতে পারে মাত্র। আর তেমনটি হলে তা হবে জাতির জন্য বড়ই দুর্ভাগ্যজনক।

জাতি আর কাঁদবে কতদিন !
আবদুর রাজ্জাক রাজু

জাতি আর কাঁদবে কতদিন
এ রাজনীতির চির বিদায় কামনা করে
যে রাজনীতি নষ্ট, দূষিত, বিষাক্ত, কলুষিত, দুর্বৃত্তায়িত অপরাজনীতি।

জাতি আর কাঁদবে কতদিন
এ শাসনের কবর রচিত হবে কবে সে কামনা করে
যে শাসন মূলতঃ অপশাসন, দুঃশাসন, কুশাসন,এক দলীয়
স্বৈর শাসন আর চরম কর্তৃত্ববাদী এবং জনবিরোধী।

জাতি আর কাঁদবে কতদিন
এ দুর্নীতির চির মূলোৎপাটন ও স্থায়ী অবসান কামনা করে
যে দুর্নীতি, অবক্ষয় সব গ্রাস করে জাতিকে ধ্বংস করে ফেলল।

জাতি আর কাঁদবে কতদিন
এসব দলবাজ, দলদাস, দলকানার দিন কবে শেষ হবে কামনা করে
যে দলবাজরা দেশের চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে তাদের নেতা বড় বলে
ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে স্বার্থ হাসিল করে চলে।

জাতি আর কাঁদবে কতদিন
গণতন্ত্র আর সুশাসনের কামনা আর প্রতীক্ষা করে
কেননা সেই গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায় বিচার
এবং আইনের শাসন আসবে বলেই তো জাতি স্বাধীনতা এনেছিল।

জাতি আর কাঁদবে কতদিন
সকল বিভেদ-বিভাজন ভুলে শান্তি-সম্প্রীতির
উন্নত-সমৃদ্ধির বৈষম্যহীন দেশ গড়ব বলে
কারণ তেমন একটি উন্নত-সভ্য প্রকৃত সুখী
দেশ নির্মাণই তো ছিল মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার মূল স্বপ্ন।

তাড়াশে গুলিতে নষ্ট চোখ ফিরে পেতে চায় মেধাবী ছাত্র আমিনুল

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের সন্তান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আমিনুল ইসলাম টুটুল কে দেখতে যান তার কলেজের একজন শিক্ষক সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ। গত মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের পক্ষ থেকে কলেজটির প্রতিনিধি শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ওই কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি তাড়াশ উপজেলার কুসুম্বী গ্রামে যান একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে একটি একটি চোখ নষ্ট হওয়া সেই আমিনুরের সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলে তার শারীরিক খোঁজ খবর নিয়ে সান্তনাদেন তারা। মেধাবী তরুণ এই ছাত্র উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের দরিদ্র কৃষক মোঃ আলম হোসেন এর ছেলে । এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিষিষ্ট লেখক মোশাররফ হোসেন মল্লিকি,তাড়াশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সোহাগ,সাংবাদিক সাইফুল্লাহ,বগুড়া আজিজুল হক কলেজের ছাত্র আরিফুল ইসলাম সহ অনেকে।
গুলিবিদ্ধ আমিনুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জে ছাত্রদের আন্দোলনে সর্বক্ষণ মাঠে থেকেছি। সংঘর্ষ চলাকালে আমার বাম চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রাথর্মিক ভাবে বিভিন্ন হসপিতালে চিকিৎসা নিলেও এখন আমার চোখের বড় দু’তিনটি অপারেশন দরকার। কিন্ত আমার দরিদ্র কৃষক বাবা-মার পক্ষে সেটি করানো সম্ভব হচ্ছেনা। মেধাবী এই তরুণ ছাত্র তার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। (মেধাবী গুলিবিদ্ধ ছাত্র আমিনুলের ফোন নম্বর-০১৮৬৮৮৯১৩৯২) । এ দিকে আমিনুল ইসলামের বাবা বলেন, আমার সন্তানকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছি। আপনারা সকলে দোয়ার পাশা পাশি সহযোগীতা করবেন যেন আমার ছেলের গুলিবিদ্ধ চোখের অপারেশন করে ভাল করতে পারি। সে যেন আবার ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারেন।

তাড়াশে বিএনপির শান্তি মিছিল
সাব্বির আহম্মেদ ঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্দোগে এক শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলার মহুরী মোড় এলাকা থেকে শত শত নেতা কর্মীর সমন্বয়ে একটি শান্তি মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তাড়াশ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির নেতারা বক্তব্যে রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি স.ম আফসার আলী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এফএম শাহআলম।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. দুলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক সাইদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক ওবায়দুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাজিব আহমেদ মাসুম, যুগ্ম সম্পাদক শুকুর মির্জা, তারেক আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহাদৎ মন্ডল, উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক জাহিদ ফকির, সদস্য সচিব খন্দকার শাহাদৎ হোসাইন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হাসান মির্জা, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মুহিদ প্রমূখ।

তাড়াশে যানজট নিরসন ও সড়কে
শৃঙ্খলায় কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা। আর শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের প্রসংশা করছেন এলাকার সাধারণ জনগন। তারা বলছেন নতুন বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি প্রয়োজন।
সাব্বির,বুশরা,মঞ্জিল, রেজাউল, জিহাদ, সোহাগ শাহীন,সাদি, রিয়েল, সিয়ামসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী গত তিনদিন যাবত তাড়াশ পৌর এলাকার শহীদ মিনার মোড়, প্রেসক্লাব এলাকা, হাসপাতাল মোড়, ওয়াবদা বাঁধ এলাকায় যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। বিশেষ করে সড়কে চলাচল করা যানবহন ট্যাফিক নিয়মে চলতে, হেলমেড পরে গাড়ি চালানোর জন্য সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সড়কে পরে থাকা অর্বজনাও পরিস্কার করা হচ্ছে। যার ফলে গত তিনদিন তাড়াশ পৌর এলাকার বোথাও যানজট ছিলনা। এছাড়া রং তুলিতে শহরের দোয়ালে আলপনা এঁকে সৌন্দর্য আনা হচ্ছে।এ দিকে এলাকার সাধারণ জনগন সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের প্রসংশা করছেনঅ তারা বলছেন এটারই দরকার ছিল।

তাড়াশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ অনুষ্টিত
তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নওগাঁ ইউনিয়ন শাখার জনসমাবেশ অনু্ষ্িঠত হয়েছে। গত (১২আগষ্ট) সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নওগাঁ ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সভাপতি প্রভাষক মো: নুরুজ্জামান। জনসমাবেশে প্রধান অতিথীর বক্তব্য রাখেন,সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর মাওলানা শাহিনুল আলম, বিশেষ অতিথীর বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা নায়েবী আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সালাম। আরো বক্তব্য রাখেন তাড়াশ উপজেলা জামায়াতের আমীর খ, ম, সাকলাইন,নায়েবে আমীর মাওলানা মোক্তার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, কর্ম পরিষদ সদস্য প্রভাষক আবুল বাশার, তাড়াশ পৌর শাখার সভাপতি কাওসার হাবিব, জামায়াত নেতা স্থানীয় নেতা হাসান আলী, বারুহাস ইউনিয়ন সভাপতি গোলাম কিবরিয়া,উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইয়াহিয়া সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক প্রমুখ। সভায় বক্তরা বলেন, বিজয়ের পর বিজয়ের আনন্দকে ধরে রাখতে কারোর উপর কোনো প্রতিশোধ না নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া

সলঙ্গায় ৬ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আত্মগোপনে

সলঙ্গা প্রতিনিধি ঃবৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ,সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ও ইউনিয়ন আ’লীগের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে আছেন। এমনকি নৌকার টিকিটে নির্বাচিত সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরও কোন খোঁজ খবর মিলছে না। ২/১ জনের ফোন চালু থাকলেও কল রিসিভ করছেন না। আবার অনেকের ফোন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট পরিষদের সচিব ও মেম্বররা জানান,চেয়ারম্যান পরিষদে কবে বসবেন, তা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা শতশত মানুষ বিপাকে পড়েছে।
এবিষয়ে মুঠোফোনে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে দ্রুতই যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:পাবনার ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতা অধ্যাপক (অব.) মাহবুব-উল-আলম বাবলুকে আহবায়ক ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান ফারুককে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপজেলার সকল সংবাদকর্মীর উপস্থিতিতে এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন, বিকাশ চন্দ্র চন্দ (দৈনিক যায়যায়দিন), ছাইফুল ইসলাম খান, (দৈনিক সোনালী কন্ঠ), মাসুদ রানা (দৈনিক কালের কণ্ঠ),আয়নুল হক (দৈনিক জনতা) ও রায়হান আলী (দৈনিক সংবাদ)। কমিটির চার জন সদস্য হলেন, কবি নুরুজ্জামান সবুজ (দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন),আব্দুর রহিম (দৈনিক কালবেলা), ময়নুল হক (দৈনিক ভোরের দর্পণ) ও গিয়াস উদ্দিন (দৈনিক বিশ্ববার্তা)। এর আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক (অব.) মাহবুব-উল-আলম বাবলুর সভাপতিত্বে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার সাংবাদিকদের ঐক্যের স্বার্থে ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া এই প্রেসক্লাব ব্যতীত অন্য কোন সংগঠন না করা এবং আহবায়ক কমিটিতে থাকা সদস্যবৃন্দ পরবর্তিতে ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকতে পারবেন বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তগৃহীত হয়।

বদলে গেছে উল্লাপাড়া

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃউল্লাপাড়া পৌরশহরের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা চত্বর এবং বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা হয়েছে। সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা। দেয়ালে দেয়ালে সমাজ বদলের সচেতনতামূলক নানা স্লোগান এবং আন্দোলনের সময়কার বিভিন্ন ছবি আঁকা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে অচল উল্লাপাড়া আবার সচল হয়েছে। যে শিক্ষার্থীরা রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার বদল করেছেন, তারাই এখন শহরের ময়লা আবর্জনা সরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। পৌর শহরের শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিকের কাজ করছেন। ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। বাজারে দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট-চাঁদাবাজি রুখতে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছেন।
শিক্ষার্থীরা গ্লোভস হাতে দিয়ে কোথাও সড়ক ঝাড়ু দিচ্ছেন, কোথাও আবর্জনা কুড়িয়ে বস্তায় ভরছেন। তারা দলে দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকার দেয়াল ও সড়কদ্বীপে স্লোগানসহ জাতীয় পতাকা ও আল্পনা আঁকছেন। শ্যামলীপাড়া বাসস্টান্ডে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন সরকারি আকবর আলী কলেজের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ ও কনক। তারা জানান, ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় তারা স্বউদ্যোগে ট্রাফিকের কাজ করছেন।

শাহজাদপুরে এমপি-মেয়র সহ পলাতক ১৩ ইউপি চেয়ারম্যান

শাহজাদপুর প্রতিনিধি ঃ আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর ৬৭-সিরাজগঞ্জ-০৬ ( শাহজাদপুর) আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও নির্বাচিত এমপি এবং শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হালিমুল হক মিরু, শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ মোঃ আব্দুল হামিদ লাবলুসহ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পালিয়ে থাকার ঘটনায় এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । এ সকল জনপ্রতিনিধিগণ আত্মগোপনে থাকায় জনসাধারনকে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যা, দুর্ভোগ-দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে। উক্ত জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতজণিত কারণে পুরো উপজেলার নানান খাতে জনগণের কাঙ্ক্ষিত ও প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রাপ্তি শতভাগ ব্যহত হচ্ছে।

রায়গঞ্জে দেয়ালে আলপনা এঁকে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

সাইদুল ইসলাম আবির ঃ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর থেকে দেশ গঠন ও সংস্কারে রাত দিন কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সারাদেশে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে, তারা কাজ করছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে।সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ও বগুড়ার শেরপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা উপজেলার চান্দাইকোনা ও সীমাবাড়ি এলাকার ঢাকা- বগুড়া মহাসড়কের রোড ডিভাইডারে আলপনা এঁকে প্রতিবাদ করছেন।
উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, চান্দাইকোনা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে দেয়ালে দেয়ালে ডিজাইন করা হচ্ছে। নোংরা দেয়াল পরিষ্কার করে হাতের মাধুরী দিয়ে রং তুলির ছোঁয়ায় লেখার উপযোগী করা হয়। এরপর প্রতিবাদী বিভিন্ন বাক্য লেখা হয়। সেখানে বৈষম্য বিরোধী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নানা চিত্র ফুটে উঠছে। তাদের এমন কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

গুরুদাসপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া অনুষ্ঠিত

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মাগফিরাত ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধারাবারিষা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ঠ) বেলা ৪টার দিকে উপজেলার নয়াবাজার বিশ^রোড মোড়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়,উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরবিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মিরা শত শত মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় যোগ দেন। শোভাযাত্রাটি নয়াবাজার থেকে কাছিকাটা,চাঁচকৈড়, গুরুদাসপুর হয়ে পুনরায় নয়াবাজারে এসে মিলিত হয়। পরে ধারাবারিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান হেনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, প্রধান বক্তা ছিলেন-পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মশিউর রহমান বাবলু,জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন,

মঙ্গলে এবার তরল পানির সন্ধান

ডেস্ক রিপোর্টঃ মঙ্গলগ্রহে এবার পানির সন্ধান পেলেন বিশেষজ্ঞরা। গ্রহটির আগ্নেয় শিলার নিচে তরল পানির আধার থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বলেছেন, মঙ্গল পৃষ্ঠের প্রায় ৭ দশমিক ২ থেকে ১২ দশমিক ৪ মাইল (১১ দশমিক ৫২০ কিলোমিটার) গভীরে এই পানির আধার রয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিবেদনের (পিএনএএস) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলের বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহের জন্য ২০১৮ সালে ‘ইনসাইট’ ল্যান্ডার পাঠায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই ল্যান্ডারের সিসমোমিটারের সাহায্যে মঙ্গলগ্রহের ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়। এ কম্পনের মধ্য দিয়ে গত চার বছরে মঙ্গল গ্রহের গতি এবং পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে তরল পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই বিপুল পরিমাণ পানি একটি মহাসাগর পূর্ণ করার জন্য যথেষ্ট। যা পুরো মঙ্গলের পৃষ্ঠকে ঢেকে ফেলতে পারবে। অতীত বা বর্তমানে অণুজীব টিকিয়ে রাখার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতে এই পানি সাহায্য করে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস)। সূত্রঃ আমাদের সময়।

রায়গঞ্জে নিহত সাংবাদিক প্রদীপ কুমার
ভৌমিকের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ 

এম এ হাশিম সরকার ঃ গত ৪ আগষ্ট (বুধবার) বিকেল চার টায় রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ কুমার ভৌমিকের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার আব্বাসীর নেতৃত্বে একদল সাংবাদিক। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নিহত প্রদীপ কুমার ভৌমিকের পূত্র ডাঃ সুমন কুমার ভৌমিকের সাথে তার নিমগাছির বাসভবনে সাক্ষাৎ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানান গভীর সমবেদনা। সংগঠনের পক্ষ হতে পরিবারের সদস্যদের জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন নেতৃবৃন্দ। অন্যান্যের মাঝে আরও যে সব সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রবীন সংবাদকর্মী স ম আব্দুস সাত্তার, ক্লাবের অর্থ সম্পাদক আলী আশরাফ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, সদস্য শামীম হোসেন প্রমূখ।

ভাঙ্গুড়ায় শেখ হাসিনার বিচারের
দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষোভ

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা । গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ভাঙ্গুড়া বিএনপির তিনটি অংশ ও জামায়াত-শিবির পৃথক কর্মসূচি পালন করে। পৌরসভার শরৎনগর বাজার এলাকা থেকে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করে। পরে শরৎনগর বাজার ধান হাটা, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, মাছ বাজার ও সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
এসময় তারা- ফাঁসি চাই,ফাঁসি চাই,শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই;হৈ হৈ রৈ রৈ,শেখ হাসিনা গেলো কই; ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান;দিয়েছি তো রক্ত,আর দেব রক্ত,রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়-প্রভৃতি শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে রাজপথ। অনুষ্ঠিত পৃথক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে পিলখানা হত্যাকান্ড,শাপলা চত্বর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এর দায় তিনি কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি এখন দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে তার ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, “মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে জেল খাটিয়েছেন। ঘরে ঘুমোতে দেন নাই। কোন অপরাধ না করেও দিনের পর দিন আমাদের পালিয়ে থাকতে হয়েছে। তারপরও আমরা প্রতিশোধ নেইনি। কিন্তু এখন কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করলে তা আর সহ্য করা হবে না।”

সলঙ্গা থানায় লুট হওয়া অস্ত্র জমা দিলেন সমন্বয়করা
মোঃ মনিরুল ইসলাম ঃ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্য একটি গ্যাস গান,একটি চায়না রাইফেল,একটি সিগন্যাল লাইট ও একটি সোল্ডার সিগন্যাল লাইট সলঙ্গা থানায় ফিরিয়ে দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। গত (১৪ই আগস্ট) বুধবার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচলিয়া এলাকার শাহ আলী মেম্বার সহ ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কামরুল হাসান ও নাজমুল হাসান সহ আরো কয়েকজন ছাত্র থানায় হাজির হয়ে অস্ত্রগুলো জমা দিয়েছেন৷জানা যায় ৫ই আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতা এ অস্ত্রগুলো কেড়ে নিয়েছিল হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে থেকে৷পরে অস্ত্রগুলো ভেঙে ফেলে,ফেলে দেন রাস্তায়৷এ সময় ছাত্ররা সেগুলো কুড়িয়ে স্থানীয় মেম্বার ও আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিকট জমা রাখেন৷সারাদেশে থানায় হামলার ঘটনায় থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এই ভাঙা অস্ত্রগুলো জমা দিতে পারেন নি৷এখন থানার কার্যক্রম চালু হওয়ার পরে তারা থানায় এগুলো জমা দেন৷শাহ আলী মেম্বার জানান,আন্দোলনের সময় কে বা কারা অস্ত্রগুলো ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে যায়, স্থানীয় ছাত্রা সে গুলো কে কুড়িয়ে আমার কাছে জমা রাখে। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ কয়েকদিন জমা দিতে পারিনি। থানার কার্যক্রম চালু হওয়ায় আজ ছাত্র সমন্বয়কদের সাথে এসে অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে গেলাম।

গুরুদাসপুরে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতির আঁচড়

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃশহরকে রঙিন ও নান্দনিক করে গড়ে তুলতে দেয়ালে দেয়ালে শিল্পকর্ম আঁকছেন গুরুদাসপুরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত দুই দিন ধরে এই লিখন-গ্রাফিতি অঙ্কনের কাজ করছেন তারা।
জানা যায়, গুরুদাসপুর থানার প্রাচীরসহ স্কুল-কলেজের দেয়াল, সড়ক ও মোড়ে মোড়ে নানান রঙে রাঙানো হচ্ছে। অভিজ্ঞতা ছাড়াই এসব শিল্পকর্ম আঁকছেন শিক্ষার্থীরা। রং তুলির আঁচড়ে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।তানভির, শ্রাবন, মিম, নওরিন, রাহুল, রাশেদ, রিজভী, শাহরিয়ারের মতো অনেক তরুণ-তরুণী সকাল থেকে পাত্রে রং ভাগ করে দেয়া, দেয়াল ঘষে উপযোগী করা, প্রাথমিক অঙ্কন, তুলির আঁচড়সহ সব কাজ করছেন।শিক্ষার্থীরা জানান, নিজেদের অর্থায়নে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন তারা। শহীদ শিক্ষার্থীদের প্রতিকৃতি, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং দেশপ্রেমের বাণী ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন রং-তুলির আঁচড়ে। এসব ছবি পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে।

তাড়াশে মাঠে মাঠে রোপা আমন রোপণের ধুম
তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোপা আমন ধান আবাদের ধুম পড়েছে। আমন মৌসুমকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বীজতলা থেকে চারা তোলা, জমি চাষ দেওয়া, ধান লাগানোসহ নানা কাজে কিষান-কিষানি ও কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশে চলতি বছর ১৩ হাজার ৮৯২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গত বছরের রোপা আমন ধান চাষের মৌসুমের চেয়ে প্রায় ৬৫০ হেক্টর বেশি। গত বুধবার পর্যন্ত উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় প্রায় ৫ হাজার ৫২৩ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধান লাগানো শেষ হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তালম, বাৃরুহাঁস, তাড়াশ সদর, মাধাইনগর, নওগাঁ ও দেশিগ্রাম ইউনিয়ন এলাকায় একদিকে চলছে জমি চাষ, আগাছা অপসারণ, বীজতলা থেকে চারা তোলার কাজ। অন্যদিকে জমিতে ধান রোপণের কাজও চলছে সমানতালে। এতে শত শত কৃষিশ্রমিক কাজ করছেন।

উল্লাপাড়ায় রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু

ডাঃ আমজাদ হোসেন ঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কৃষকেরা রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন। বিভিন্ন এলাকার উচু মাঠগুলোয় কৃষকেরা এর আবাদে নানা জাতের ধান চারা লাগাচ্ছেন। উপজেলা সদরের কাওয়াকসহ আর কটি এলাকায় রোপা আমন ধানের চারা কেনাবেচা হচ্ছে। এক পণ (৮০ মুঠো) চারা দুই থেকে আড়াইশো টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। এবারে কৃষি প্রণোদনায় ১ হাজার ৪০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে রোপা আমন ধান বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়েছে। রোপা আমন ধানের ৩২ রকম জাত আছে বলে কৃষি অফিসের তথ্যে জানা গেছে। এর মধ্যে নানা নামে উফসি ২৭ জাত ও হাইব্রিড ৫ জাত আছে।
উল্লাপাড়া কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, উপজেলায় এবারের মৌসুমে ১১ হাজার ৫০৫ হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার সলঙ্গা, রামকৃষ্ণপুর, হাটিকুমরুল, সলপ, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে কৃষকেরা রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ৫ হাজার ৪৫৫ হেক্টরে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। কৃষকেরা জমিতে বেশী হারে ফলন মেলে এমন নানা জাতের রোপা আমন ধানের চারা লাগাচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে আরো জানা গেছে বিভিন্ন মাঠে ৫ হাজার ১৩০ হেক্টরে উফসি রোপা আমন ধানের চারা কৃষকেরা লাগিয়েছেন। এর মধ্যে ব্রি ধান ৭৫ জাত ১ হাজার ৫৫০ হেক্টরে, ব্রি ধান ৮৭ জাত ৯৫০ হেক্টরে, ব্রি ধান ৩৯ জাত ৮৫০ হেক্টরে, ব্রি ধান ৪৯ জাত ৬৫০ হেক্টরে, ব্রি ধান ৩২ জাত ১৫০ হেক্টরে, বি আর ২২ জাত ২৫০ হেক্টরে আবাদ করা হয়েছে। আর হাইব্রিড জাত
অনেক কৃষক নিজেরা কিনে বীজতলা করেছেন। সেসব বীজতলার চারা লাগানো হচ্ছে। আর যাদের নিজস্ব বীজতলা নেই তারা চারা কিনে জমিতে লাগাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হবে।

কোটেশন ঃ
“গণতন্ত্র ছাড়া আইনের শাসন বা সুশাসন কায়েম সম্ভব নয়”

 

 

 

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD