সমাজ ধ্বংসের কারণ নীল ছবি ডাউনলোডের ব্যবসা মোবাইল কোর্ট জরুরী

Spread the love

সাংবাদিক ডাঃ আমজাদ হোসেন মিলন
সম্প্রতি চলনবিলের উল্ল¬াপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে পর্ণোগ্রাফি নীল ছবি ডাউনলোডের ব্যবসা। যে কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের সন্তানদের নিয়ে বেকায়দায় তথা দুর্ভাবনায় পড়েছে অভিভাবক মহল। দেশের অবৈধ এ পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র মোবাইল মেমোরিতে ধারণ ও বিপণন ব্যবসা প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটি আইন থাকলেও সরকারের প্রণীত এ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উপজেলার যত্রতত্র বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানগুলোতে দেদারছে চালানো হচ্ছে অবৈধ অশ¬ালীন ভিডিও চিত্রের ও গানের লোড কার্যক্রম। যা সমাজ ও যুবকদের জন্য খুবই ক্ষতিকর , মারাত্মক ও ধ্বংসাত্বক। উল্ল¬াপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন তথা বাজারগুলোতে ঘুরে এ সকল তথ্য পাওয়া যায়।শুধুতাই নয়, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, গুরুদাসপুরসহ চলনবিলের সব উপজেলাতে এই সর্বনাশা চিত্র কমবেশী প্রায় একইরকম। এটা চলছে উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের আনাচেকানাচে অবস্থিত হাটবাজার পর্যন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি ও সমাজের সূধী মহল বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন,উধুনিয়া ইউনিয়ন,সলপ ইউনিয়ন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে কম্পিউটারে মেমোরি ডাউনলোডের দোকান। এছাড়া সর্বত্র চাষ্টলে ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় চলছে রঙীন টিভিতে পর্ণ ছবি একেবারে প্রকাশ্যে জনসাধারণ, প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চেখের সামনে। এমনকি তাড়াশের নওগাঁ বাজারে ও এমন অশ¬ীল পর্ণ ছবি লোড হচ্ছে বলে সন্ধানে জানা গেছে।অথচ এখানেই রয়েছে বড় একজন অলির মাজার। এগুলো সমাজ থেকে বন্ধ করতে পারলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজ চরিত্রবান হয়ে গড়ে উঠবে। ফলে কোন বাজার তথা অলিতে-গলিতে মদখোর, গাঁজাখোর, জুয়াখোর, তাসখোর এমনকি জীবন ধংসকারী হিরোইনসহ ইয়াবা সেবনকারীও থাকবে না। এ বিষয়ে সরকারী ভ্রাম্যমান আদালত , কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠন, সমাজের শুশীল সমাজ,ও প্রশাসন তথা সকল মহল সচেতন থাকলেই এগুলো কঠোরভাবে দমন করা যেতে পারে।
যেখানে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর ফলে শব্দ দুষণে সুধী সমাজের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত বিরম্বনায় পড়তে হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সচেতন অভিভাবকগণ মনে করছেন, অবৈধ পর্ণো ছবি ব্যবসায় নিয়োজিত সংশি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী দোকানগুলোর সকল যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জব্দ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নয়তো দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের সন্তানদের জীবন। আর ও জানা গেছে, উপজেলার বিভিন œকম্পিউটারের দোকানে দিন রাত প্রকাশ্যেই মেমোরি লোড ও সিডি,ডিভিডি রাইটিং কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের জন্য ক্ষতিকর নীল ছবির জমজমাট ব্যবসা চলছে। মাত্র ১০/১৫ টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই এসব পর্ণো ছবি লোড করতে পারায় কম্পিউটার দোকানগুলোতে উঠতি বয়সের যুবক ও ছাত্রদের ভীড় লেগেই থাকে। ফলে সমাজের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ মোবাইলের মধ্যে পর্ণো ছবি যাকে বলা হয় নীল ছবি লোড করে। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। অপরদিকে স্কুল চলাকালে বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার দোকানগুলোতে নীল ছবি দেখানো হচ্ছে। এতে করে স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্নোগ্রাফির দিকে আসক্ত হচ্ছে। উপজেলার । স্হানীয় প্রশাসন বলছে, অশ্লি¬ল সিডি-ভিসিডি বিক্রি ও মোবাইলে আপলোড দন্ডনীয় অপরাধ। তবে বিষয়টি সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া জরুরী প্রয়োজন।। তবে সরকারী সুত্রে জানানো হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তানাহলে সমাজে নারী পুরুষের অবৈধ সম্পর্কজনিত বহুবিধ অপরাধপ্রবণতা একসময় ভয়াবহ রূপ নেবে। তাই সময় থাকতে সাবধান হওয়াই ভাল।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD