সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা, বর্ষ৮, সংখ্যা ০৯ বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

Spread the love

সম্পাদকীয়
তাড়াশে চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি
প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন

তাড়াশ উপজেলায় চলতি বছরের প্রথম দিকে গরু চুরি শুরুর মধ্য দিয়ে আইন শৃঙ্খলার দৃশ্যমান অবনতি ঘটে। সেই থেকে প্রায় সারা বছর প্রায়শ গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাকার চুরি অব্যাহতভাবে চলছে। এ নিবন্ধ লেখার সময়ও গরু চুরি তৎপরতা থেমে নেই। সদ্য মাত্র পাওয়া খবরে তাড়াশের নিকটবর্তী ভাদাশ গ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়ীতে দিনের বেলা ডাকাতির খবর জানা গেল। গ্রামের আব্দুল মালেক পার্শ্ববর্তী মালশিন গ্রামে সকালে সপরিবার বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখেন তার বাড়ীতে চোর বা ডাকাতরা স্বর্ণসহ নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এবং বাসার সবকিছু তছনছ করেছে।
উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বছর জুড়েই গরু-মহিষ চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে।আনুমানিক শতাধিক গরু এ যাবৎ চুরি হয়েছে যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। শুরুতে তাড়াশ থানা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়ে গ্রামাঞ্চলে রাত্রিকালীন পাহারার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানায়। পাশাপাশি থানা পুলিশের টহলও জোড়দার করে। এ সম্পর্কে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায়ও আলোচনা হয়। কিন্তু মনে হচ্ছে তাতে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নি বা পরিবর্তন হয় নি। বিশেষ করে গরু চুরি ধারাবাহিকভাবে চলমান আছে এবং উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। কোন কোন সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও গরু চুরির ঘটনা ঘটছে মর্মে খবর আসছে। দেশে এমনিতেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আইন শৃঙ্খলার অবনতিশীল পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি হয় নি। এই সুযোগে তাড়াশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি-চামারি, ডাকাতি সহ নানা প্রকার দস্যুবৃত্তি ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে। বর্তমানে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা বাতিলের পর ইউনিয়ন পরিষদও বাতিলের কথা শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় উপজেলা পরিষদ ইউএনওর নেতৃত্বে ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে যথাযথ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন যাতে উপজেলায় ক্রমবর্ধমান চুরি ডাকাতির লাগাম টানা যায়। আগের দিনে চলনবিলস্থ তাড়াশের অনুন্নত ও পশ্চাৎপদ সমাজে চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হরহামেশাই লেগে থাকতো। এখন তো সেদিন নেই, সমাজ কাঠামো নেই সে পর্যায়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সমাজ ব্যবস্থারও অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। ফলে জনসচেতনতা ও পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধি করে এই অপরাধমূলক সমাজ প্রবণতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।উল্লেখ্য,বিপুল সংখ্যক গরু চুরির কারণে এলাকার বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এই আধুনিক আলোকিত যুগে যদি চোর-ডাকাতের অভয়ারণ্য থাকে, তাদের রোখা না যায়; তবে আর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির বুলি আওড়ানো অর্থহীন। সবশেষে বলবো, তাড়াশে লাগাতার চুরির যে বাড়বাড়ন্ত তা দমনে ও নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক পন্থার বাইরে থানার কি করণীয় আছে সেটা সুচিন্তিতভাবে ভেবে তাদের সে মোতাবেক সঠিক পরিকল্পনা, কৌশল ও ফলপ্রসু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে-এর বিকল্প নেই। কেননা তাড়াশ থানার কেবল ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্যের কোন নজির এক্ষেত্রে অদ্যাবধি দেখা যাচ্ছে না, এটা দুঃখজনক। তবে যে করেই হোক এ মুহুর্তে তাড়াশের জনজীবন ও জানমালের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সবচেয়ে জরুরী কর্তব্য। সেটা যত তাড়াতাড়ি হয় ততই মঙ্গল।

 

পরীক্ষা পদ্ধতির আবিষ্কার ও পাশ নম্বর ৩৩ হওয়ার ইতিহাস
মো: আছাদুজ্জামান 

‘ছাত্রজীবন মধুর জীবন, যদি না থাকত পরীক্ষা’ কথটি যেমন সত্য তেমনি সত্য শিক্ষার্থী মানেই পরীক্ষার আগের রাতে উদাস হয়ে বই এর মধ্যে হাবুডুবু খাওয়া আর ভাবা ‘কে এই পরীক্ষা আবিষ্কার করেছিল, তারে যদি একবার হাতের কাছে পেতাম…’। যাই হোক পরীক্ষা হল শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের একমাত্র পথ বা পদ্ধতি। মজার ব্যাপার হল এই পরীক্ষা পদ্ধতিটি কে আবিষ্কার করেছেন, সেটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে ইতিহাস ঘেঁটে দু’জন ভদ্রলোকের নাম জানা যায়। তাঁরা হলেন-“হেনরি ফিশেল” (ঐবহৎু ঋরংপযবষ)। সাধারণত: তাকেই “পরীক্ষার জনক” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ফিশেল জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৩ সালের ২০শে নভেম্বর জার্মানিতে। তিনি ছিলেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি গ্রীক ও ইহুদি সাহিত্যের উপর অনেক বই লিখেছেন। হেনরি ফিশেল ২০০৮ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকেই আধুনিক পরীক্ষাপদ্ধতির জনক মনে করা হয়। দ্বিতীয়টি-“মিশেল হেনরি ” (গরপযবষ ঐবহৎু)। তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক, যিনি পরীক্ষা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা করেছেন। পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি যে দার্শনিক ধারণা দেন তা হল , “কোন বিষয়ে উপসংহারে পৌছানোর পূর্বে সেই বিষয় নিয়ে খুব বিচক্ষণতার সাথে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।” ধারণা করা হয় মিশেল হেনরিই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি পরীক্ষার দর্শন নিয়ে প্রথম আলোচনা করেছেন।
তবে ইতিহাস বলছে, হেনরি ফিশেলের পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কারেরও বহু বহু বছর আগে থেকে পৃথিবীতে পরীক্ষা ছিল। বলা যায়, পরীক্ষা পদ্ধতির শুরু আসলে সভ্যতার গোড়ার দিকেই। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, পরীক্ষা পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে প্রাচীন চীনে। বলা যায় এটাও গধফব রহ ঈযরহধ। চীনে সর্বপ্রথম ঝঃধহফধৎফরুবফ ঞবংঃ বা সার্বভৌম পরীক্ষার প্রচলন করা হয়। এই পরীক্ষার ছিল মূলত: একটি বাছাই পরীক্ষা। যার মাধ্যমে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হত। এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয় ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে। সুই রাজবংশ (ঝঁর উুহধংঃু) এই পদ্ধতি চালু করে। এর প্রায় ১৩০০ বছর পরে কুইং রাজবংশ (ছরহম উুহধংঃু) ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু ১৮০৬ সালে ইংল্যান্ড এই পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং সরকারি বিভিন্ন কাজে প্রার্থী নিয়োগের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।পরবর্তীতে তারা ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতির সংযোজন করে। এইভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশে দেশে গ্রহণযোগ্যতাও পেতে থাকে। বিশ্বব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়। মজার ব্যাপার হলো, পরীক্ষা বা ইংরেজি এক্সামিনেশন শব্দটি কিন্তু চীন থেকে আসেনি। লাতিন শব্দ ‘এক্সামিনেশনেম’কে গ্রহণ করেছিল ফরাসিরা। তারা উচ্চারণ করত ‘এক্সামিনাছিওন’ (বীধসরহধপরড়হ)। সেখান থেকে নানা পথ ঘুরে ইউরোপে গিয়ে হয়েছে এক্সামিনেশন। নানা পথ ঘুরে মানে ফ্রান্স থেকে গিয়েছে জার্মানি, জার্মানি থেকে ইংল্যান্ডে ও আমেরিকায়। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এটিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়। তারা চীনা সভ্যতার সেই পুরোনো পরীক্ষাপদ্ধতিকে একটু ঘষামাজা করে নতুনভাবে সাজিয়েছিল।
আমাদের এ অঞ্চল অর্থাৎ ভারতবর্ষ দীর্ঘদিন শাসন করেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ফলে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, পরীক্ষা পদ্ধতির অনেক কিছুই এখনও চালু আছে এ অঞ্চলে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা কিংবা চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো যে পদ্ধতিতে হয়, তা অনেকটা ওই পুরানো ব্রিটিশদের শেখানো। তবে ইতিহাস এ কথাও জানান দিচ্ছে যে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসারও বহু আগে থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে শিক্ষার সূচনা হয়েছে। সেই ৪২৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, তক্ষশিলার মতো ভুবন বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুরুর দিকে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল বলে জানা যায় না। পরীক্ষার ফল নয়, বরং জ্ঞানার্জনকেই সবচেয়ে বড় পুরস্কার বলে মনে করত তারা। কালক্রমে সেসব ইতিহাস তিরোহিত হয়েছে। এখন জ্ঞানার্জন নয়, পরীক্ষার ফল ও সনদ অর্জন শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিছু শেখা হলো কি হলো না… তা মুখ্য নয়।

পরীক্ষার পাশ মার্ক ৩৩ হওয়ার ইতিহাস ঃ
১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে বিট্রিশরা উপমহাদেশের শাসনক্ষমতা দখল করে। এর ১০০ বছর পর বিট্রিশ ভারতের জনগণ স্বাধীনতা ফিরে পেতে প্রথমবারের মতো সফল আন্দোলন করে ১৮৫৭ সালে যা সিপাহী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ইংরেজরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে ১০০ বছর সফল শাসন চালালেও সিপাহী বিদ্রোহের ফলে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে। ফলে শাসনক্ষমতা রানীর হাতে চলে যায়।তখন রানী ভিক্টোরীয়ার রাজত্বকাল। রাজত্বকাল ও শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে বিট্রিশ সরকার উপমহাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা সংস্কারের পরিকল্পনা করেন। সেই সংস্কারের মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে মানদন্ড যাচাই ও সনদপত্র প্রদানের স্বীকৃতি ছিল অন্যতম। সেই ধারাবাহিকতার শুরুতে ১৮৫৮ সালে উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা চালু করা হয়। কিন্তু পাস নম্বর কত হবে তা নির্ধারণ নিয়ে উপনিবেশিক বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় এবং ব্রিটেনে কনসালটেশনের জন্য চিঠি লেখেন। তখন ব্রিটেনে স্থানীয় ছাত্রদের জন্য পাসের নম্বর ছিল ৬৫। সে সময় ইংরেজ সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা ছিল দঞযব ঢ়বড়ঢ়ষব ড়ভ ংঁনপড়হঃরহবহঃ ধৎব যধষভ ধং রহঃবষষবপঃঁধষ ধহফ বভভরপরবহঃ ধং পড়সঢ়ধৎবফ ঃড় ঃযব ইৎরঃরংযদ অর্থাৎ বুদ্ধি ও দক্ষতায় উপমহাদেশের মানুষকে ইংরেজদের তুলনায় অর্ধেক মনে করা হতো।
একই ধারাবাহিকতায় মেট্রিকুলেশনের পাস নম্বর ৬৫ এর অর্ধেক ৩২.৫ নির্ধারণ করা হয়। ১৮৫৮ সাল থেকে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত পাস নম্বর ৩২.৫ ই ছিল। ১৮৬২ সালে তা গণনার সুবিধার্থে বৃদ্ধি করে ৩৩ করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পাস নম্বর ৩৩ চলে আসছে।
লেখক : বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। প্রধান শিক্ষক, লালুয়ামাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।

ছাত্র-জনতার কোন আন্দোলন বৃথা যায় নাই 
আবুল কালাম আজাদ
‘৫২র ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভেঙে পাক হানাদার বাহিনীর রাইফেলের সামনে বুক পেতে দিয়ে শহিদ হয়ে ছিলেন সালাম,রফিক,বরকত,জব্বারসহ অনেকে।তাদের রক্ত বৃথা যায় নাই।আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছি।মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি।আন্তর্জাতিক স্বিকৃতি পেয়েছি।
১৯৭১ সালে ৯ মাস স্বৈরাচারি পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ করে লক্ষ প্রাণ এবং মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছি স্বাধিনতা।পেয়েছি সার্বভৌম মানচিত্র এবং লাল সবুজের পতাকা। তলাবিহীন ঝুরি বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
১৯৯০ সালে সামরিক সরকার স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুন: উদ্ধারের আন্দোলনে নুর হোসেন নামের মুক্তিকামি এক তরুণ বুকে-পিঠে ”গণতন্ত্র মুক্তি পাক,স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান লিখে মিছিলের সামনে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উচিয়ে নির্ভিক চিত্তে স্বৈরাচারের বন্দুকের গুলিতে শহীদ হন। ডাক্তার মিলন শহীদ হন।সেই গণ জোয়ারে গণ অভ্যুত্থানে প্রতাপশালী সামরিক সরকার জেনেরেল এরশাদের ৯ বছরের স্বৈর শাসনের পতন ঘটে। ৭৫ থেকে ৯০ পর্যন্ত ১৬ বছরের জেনারেল জিয়া- এরশাদের সমরিক শাসনের অবসান ঘটে।
২০২৪ সালে চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে মেধাবি শিক্ষার্থিদের ১দফা থেকে ৯ দফা, অত:পর আওয়ামি লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে ১দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার বাধভাংগা দুর্বার গণ আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থি আবু সাইদ স্বৈরাচারি আওয়ামি লীগের পুলিশের বন্দুকের সামনে নিরস্ত্র হাতে নির্ভিক বুক চেতিয়ে বন্দুকের গুলিতে শহীদ হন।নিরস্ত্র সাইদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ায় শুর হয় গণঅভ্যুত্থান।এই ছাত্র জনতার দুর্বার গণ অভ্যুত্থানে গণরোষে ২৬ জুলাই (৫আগষ্ট-২০২৪) নির্মম পতন ঘটে ১৬ বছরের আওয়ামি লিগ সরকারের স্বৈরাচারী দু:শাসনের।
ইতিহাস বলে এবং আমার দেখা প্রত্যেকটা আন্দোলনেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ ছাত্ররা।ছাত্রদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় নাই, হবেও না।এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন সাইদ, মুগ্ধসহ হাজারো নিরস্ত্র নীরিহ ছাত্র- জনতা৷ ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগষ্ট ২য় স্বাধিনতা অর্জিত হয়েছে। এই স্বাধিনতা আবার যেন ব্যর্থ না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।ব্যর্থ করতে আবারো সেই শকুনেরা খামচে ধরেছে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বধিনতা। কিন্তু দেখা গেছে অতীত থেকে কেউ শিক্ষ না নেওয়ায় শেষ পরিনতি বড়ই নির্মম হয়েছে। তাই সাধু সাবধান!
২টি ছবি ভাল করে দিতে হবে।
২০-০৯-২০২৪

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি 

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগে, যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশই ঘটে হৃদরোগে, যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োাজিত “উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল “ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন”।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের (৩০-৭৯ বছর বয়সি) অর্ধেকই জানে না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যসচিব এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল শাফি মজুমদার বলেন, “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।”
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে ৪০ শতাংশেরও বেশি অকালমৃত্যু হৃদরোগ ঘটিত এবং এটি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ।”
ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, “দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ সঠিকভাবে জানতে অঞ্চল, বয়স এবং লিঙ্গভেদে প্রায়োগিক গবেষণা প্রয়োজন।”
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর- জিএইচএআই এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “তৃণমূল পর্যায়ে সবার জন্য উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারাদেশে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করা জরুরি।”বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, “উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অপরিহার্য।”
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক জনাব এবিএম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা ও বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের প্রকোপ ও করণীয় সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

ইসরাইলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ দখলদার ইসরাইলে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হোয়াইট হাউসের সতর্কতা জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেলআবিব ও জেরুজালেমে অন্তত ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কয়েকটি ঠেকাতে সক্ষম হয় ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
তবে ইরানকে এ হামলার ‘পরিণাম ভোগ করতে হবে’ বলে হুমকি দিয়েছে ইসরাইল। পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে তেহরান বলেছে, ইসরাইল যদি এ হামলার জবাব দেয় তবে আরও হামলা চালানো হবে।ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইল যদি মিসাইল হামলার জবাবে ইরানে কোনো হামলা চালায় তাহলে আরও মিসাইল ছোড়া হবে। যদি ইহুদিবাদী সরকার (ইসরাইল) ইরানের অভিযানে প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তারা বিপর্যয়কর হামলার মুখে পড়বে।অপরদিকে, হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের ভান্ডারের একটি ছবি টুইট করে সতর্ক করেছেন যে, তেহরানের বিজয় কাছাকাছি।আরেকটি টুইটবার্তায় হুমকি দিয়ে তিনি লেখেন, ইসরাইলের ওপর আরও শক্তিশালী ও বেদনাদায়ক হামলা করা হবে। সম্প্রতি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার জবাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড। সূত্রঃ যুগান্তর।

ভয়েস অব আমেরিকাকে ড. ইউনূস
সরকারই জানাবে
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা সরকারই জানাবে। সেটা সরকারই বলবে। যখন আমাদের মুখ থেকে শুনবেন, তখন সেটাই হবে তারিখ। উপদেষ্টা পরিষদে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।

অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: ফরহাদ মজহার 

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে দেশ গঠনে সকলের ইতিবাচক ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
‘অনেকে রাজনৈতিক দল হিসেবেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাইছেন। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার উদাহরণ বাংলাদেশে রয়েছে, অতএব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবার পক্ষে বিস্তর যুক্তি দেওয়া সম্ভব। আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করবার পক্ষে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি রয়েছে। আইন ও রাজনীতি উভয় দিক থেকে সেই সকল যুক্তি আমাদের বিবেচনা করা দরকার। সেই ক্ষেত্রে ইউরোপে ফ্যাসিস্ট দলগুলো নিষিদ্ধ করবার উদাহরণ এবং ইউরোপের অভিজ্ঞতার আলোকে যেমন বিষয়টি আমাদের বিশ্লেষণ করা উচিত, তেমনি স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের ভূমিকা আমাদের অবশ্যই কঠোরভাবে বিচার করে দেখতে হবে। তবে মনে রাখা দরকার আওয়ামী লীগ একাই শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেকুলার ও ধর্মীয় নানান ফ্যাসিস্ট প্রবণতা রয়েছে। এদের মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সূৃত্রঃ ইত্তেফাক।

মহানবী (সা:) ইস্যুতে
সলঙ্গায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ ছবি

সলঙ্গা প্রতিনিধি :ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওলামা পরিষদ সলঙ্গা থানার উদ্যোগে সলঙ্গার আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতাকে নিয়ে এ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
অগত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাদ আছর থানা সদর কদমতলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে সলঙ্গার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাজ কল্যাণ পাঠাগারে এসে শেষ হয়।পরে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,প্রধান উপদেষ্টা মুফতী আব্দুর রউফ,ওলামা পরিষদ সলঙ্গা থানার সভাপতি মুফতী আখতারুল ইসলাম,সেক্রেটারি মুফতী নুর উদ্দিন নোমানী,সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মারুফ হাসান।সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাও: রফিকুল ইসলাম,মাও: আনিসুর রহমান আল হাদী,মুফতী আব্দুল ওয়াহাব,হাফেজ জাহিদুল ইসলাম,হাফেজ আল-আমিনসহ অনেকে।শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।

তাড়াশ পৌর সড়কে “রাবিশ”

স্টাফ রিপোর্টারঃ তাড়াশ পৌর সদরের বাজার থেকে বারোয়ারী পূজা মন্ডপ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ফেলা হচ্ছে “রাবিশ”। ফলে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। কেননা সড়ক উন্নয়নে বা মেরামতে রাবিশ কোন ব্যবহারযোগ্য দ্রব্য হতে পারে না।
উল্লেখ্য, পৌর শহরের এই সড়কটি বহু বছর যাবত দখলে-দূষণের ফলে পড়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাড়ী, দোকানপাট, মন্ডপ, ঢোপ দোকান ও চা-রেস্টুরেন্ট রাস্তা জুড়ে থাকায় এ সড়কের বর্তমান বেহাল দশা। এই দুর্দশা লাঘবে আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে আপাত সমাধান হিসেবে তাড়াশ পৌরসভার তরফে অতি দ্রুত সড়কটির সংস্কার উদ্যোগ গৃহীত হয়। সরজমিনে দেখা যায়, সড়কের আনিস খাঁর বাড়ী হতে রজত ঘোষের বাসা পর্যন্ত শুধু ইটের গুড়া অর্থাৎ রাবিশ ফেলা হয়েছে। বৃষ্টি ও কাদার দরুন তাতে জনভোগান্তি নতুন করে বেড়ে গেছে। রাবিশের কাদায় আশপাশের সড়ক নোংরা হয়ে গেছে। পাকা সড়ক মেরামতে রাবিশ ব্যবহার একটি সর্বনিম্ন কাজের দৃষ্টান্ত। এ ধরনের মানহীন কাজের অন্তরালে থাকে দুর্নীতি ও অপচয়ের মহোৎসব। পৌরবাসী সড়কে রাবিশ মারার এ ধরনের অপকর্ম বন্ধের দাবি জানিয়েছে। স্মরণযোগ্য, ইতিমধ্যেই তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সরাসরি প্রদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে এলাকাবাসী আশা করে।

তাড়াশ উপজেলা গেট -কবে পরিষদের নাম লেখা হবে?

স্টাফ রিপোর্টার ঃ দীর্ঘদিন হল তাড়াশ উপজেলা পরিষদের দুটি প্রবেশ গেটের কোনটিতেই পরিষদের নাম লেখা নেই। বছরখানেক পূর্বেই গেট দুটির সামনে পরিষদের নাম লেখা মুছে গেলে তা আর লেখা হচ্ছে না। ফলে নবাগতদের পক্ষে এটা যে উপজেলা চত্বর তা বোঝার উপায় নেই। উপজেলা প্রাঙ্গণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক জোনে সাইন প্লেট বা সাইনবোর্ড না থাকা অত্যন্ত অসভনীয়। তাড়াশ যে নানা ক্ষেত্রে আজো পেছনের জনপদ এটাও তার একটি লক্ষণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলায় তাড়াশ উপজেলা গেট সমূহ নামবিহীন পড়ে আছে বছরের পর বছর। তাড়াসবাসীর প্রশ্ন, কবে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের প্রবেশ তোরণ দুটিতে উপজেলার নাম লেখা হবে ?

বেদখলে চলে যাচ্ছে তাড়াশ ঈদগাহ মাঠ !

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বেদখলের কবলে চলে যাচ্ছে তাড়াশ সদর ঈদগাহ মাঠ ও হেলিপ্যাড। মাঠের দক্ষিণাংশে ইতিমধ্যেই কাঁচা সবজির বাজার বসিয়ে বেদখল করা হয়েছে। এরপর এ মাঠের পাকা রাস্তাটিও দখলে নিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এ মাঠে বিভিন্ন গাড়ী গ্যারেজ ও তেলের ড্রামের ডিপো বসানো হয়েছে। তাছাড়া কার গাড়ী ও মোটরসাইকেল ড্রাইভিং শেখানো শুরু হয়েছে এ মাঠেই। আছে পেশাব-পায়খানা ও আবর্জনা ফেলারও খোলা ময়দান। মানে যতসব দখল-দূষণ ও ভেজাল-জঞ্জালের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে এই সদরের ঈদগাহ মাঠ। সর্ব সাম্প্রতিক তাড়াশ থানা পাড়ার জনৈক ব্যক্তি উক্ত ঈদগাহ মাঠের পশ্চিমের সীমানায় মাঝখানে যেখানে ঈদগাহের ইমামের মেহরাব অবস্থিত সেখানে চাস্টল ও খাবারের দোকান বসিয়েছে। এ কারণে এখানে হেলিপ্যাড ও ঈদগাহ মাঠের বেদখলের কবলে পড়েছে। যা দেখার কেউ নেই। যদি এই দখল কার্যকরী হয় তবে তাড়াশ সদরে ঈদগাহ, খেলার মাঠ ও হেলিপ্যাড কোন কিছুরই অস্তিত্ব থাকবে না। অবিলম্বে তাড়াশ সদরের একমাত্র ঈদগাহ মাঠটি বেদখলের আগ্রাসন থেকে রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

তাড়াশে প্রাণীসম্পদের ভ্যাকসিন ক্যাম্প 

আরিফুল ইসলাম : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফ্রী ভ্যাকসিন ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলার ভাটারপাড়া গ্রামে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় পিপিআর রোগের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ভ্যাকসিনেটর টিম লিডার মোঃ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।

তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বর “পেসাবখানা”

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ উপজেলা পরিষদের উত্তরের চত্বরে দিন-রাতে প্রকাশ্যে খোলা জায়গায় চলছে পাবলিকের পেসাব করার দৃশ্য। লক্ষণীয়, উপজেলা প্রাঙ্গণের এই খোলা অঙ্গন সদরের প্রধান সড়ক ধার সংলগ্ন। এখানেই বাস, ট্রাক, কোচ, সিএনজি, ভুটভুটি, অটোসহ সকল প্রকার গাড়ির গ্যারেজ তথা অবস্থান ও যাত্রী উঠানো-নামানো চলে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিশেষত: শৌচাগার না থাকায় উপজেলা পরিষদের প্রধান ভবনের উত্তর পার্শ্বের খোলা স্থানে পেশাব করে থাকে। কখনো আবার পায়খানাও। উল্লেখ্য, উপজেলা চত্বরের এই অংশে লোহার নেটের প্রাচীর থাকলেও তা দূর্বল হয়ে ভেঙে পড়েছে। ফলে পুরো এলাকাই অরক্ষিত হয়ে আছে। লোহার তারের বেড়া ভেঙে পড়ায় সহজেই টপকিয়ে রাস্তার যেকোনো লোকজন গিয়ে ওখানে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সেরে ফিরে আসে।
তাড়াশ ইউএনও সহ প্রশাসনের মুখ্য ভবনের পাশ ঘেষেই এই অস্বাস্থ্যকর ও কুরুচিপূর্ণ কাজকর্ম চললেও তা কারো যেন নজরে পড়েও পড়ে না। উপজেলা চত্বরের এই নোংরামি ও ঘৃণ্য পরিবেশ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশা করে এলাকাবাসী।

তাড়াশ সদরের দু’টি স্থানে ট্রাফিক পুলিশ জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ঃ তাড়াশ উপজেলা সদরের দু’টি পয়েন্টে জরুরী ভিত্তিতে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ জরুরী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে তাড়াশ বাজারের দক্ষিণে বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌরাস্তা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সাবেক তাড়াশ ইউএনও এবং সিরাজগঞ্জ সড়ক জনপথ ইতোপূর্বে থেকেই আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে নাই আজো। ফলে উক্ত ইন্টারসেকশনে সারাদিন জ্যাম লেগেই আছে। এতে সময় অপচয়, যাত্রী হয়রানি, পথচারী দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা সহ নানা বিড়ম্বনায় পড়েছে তাড়াশ সদরে চলাচলকারী সাধারণ জনগণ।
অন্যদিকে ঐ মোড়ের আরেকটু দক্ষিণে তাড়াশ-মহিষলুটি সড়কে তাড়াশ পোস্ট অফিসের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের তিন রাস্তার মোড়েও একই অবস্থা। সেখানেও যানবাহন চলাচলে প্রায়শ যানজট লেগে থাকায় যানবাহনে ধীর গতিসহ যাত্রীগণের বিভিন্ন প্রকার ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। তাই তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা মোড় ও পোস্ট অফিস মোড় দুটি মোড়ে দু’জন ট্রাফিক পুলিশ পদায়ন করা অতীব জরুরী বলে তাড়াশ উপজেলাবাসী মনে করেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরীদৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তাড়াশে পালিত হল কন্যা-শিশু দিবস 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাতীয় কন্যা- শিশু দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় এ অনুষ্ঠানে আযোজন করেন। এ উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাসরিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, রথিন্দ্রনাথ দাস, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাব্বির আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক এম ছানোয়ার হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ-আলম প্রমুখ।

তাড়াশে মা’কে দেখা হল না মনির 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মামলার চাপে ও হামলার ভয়ে তাড়াশের প্রথম সারির আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েকজন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন। স্থানীয় সাংসদও এর মধ্যে রয়েছেন। আরো আছেন দলের নেতৃবৃন্দ যারা প্রভাব-প্রতাপে অনেক উঁচুতে উঠেছিলেন। এসব নেতাদের এখন আর জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। মামলা খাওয়ার পরে কয়েকজন পালিয়ে আছেন বলে জানা যায়। এর মধ্যে সাবেক তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি সম্প্রতি ফেসবুকে লিখেছেন, “হায়রে স্বাধীনতা! আমরা কী স্বাধীন হলাম যে, মৃত মায়ের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারলাম না, যেতে পারি নি তার জানাযায়।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওই নেতার বাড়ী দোবিলা গ্রামে তার মায়ের মৃত্যু হলে তিনি পলাতক থাকায় মাকে দেখতে পারেন নি বলে আফসোস করেছেন। তার পূর্বে মনিরুজ্জামান হজে গেলে তার পিতা এম. রহমত উল্লাহ ইন্তেকাল করেন। তখনও তিনি পিতাকে দেখতে পারেন নি। রাজনীতির কাছে মানবতা ও প্রেমের কোনো মূল্য যে অনেক সময় থাকে না বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন তারই জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত।

অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদও বাতিলের গুঞ্জন

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সবশেষে দেশের ইউনিয়ন পরিষদও সরকার বাতিল করতে যাচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে গুঞ্জন চলছে জোরালোভাবে। স্মরণযোগ্য, সরকার ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচিত পরিষদকে বাতিল ঘোষণা করে। মাত্র গত সপ্তাহে দেশের ৩২৩ পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও সরিয়ে দিয়েছে। একই সাথে ১৩টি সিটি কাউন্সিলরও অকার্যকর করা হয়েছে। এর আগে দেশের সব পৌর মেয়রদেরও অপসারণ করা হয়। এখন প্রবল গুঞ্জন উঠেছে, সরকার দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদও বাতিল করার চিন্তা করছে। বিশেষত: দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ হতে ইউপি বাতিলের দাবি দিন দিন জোড়ালে হচ্ছে। তবে পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন কাঠামো ভেঙে দিলেও যত শীঘ্র স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল।

তাড়াশের মুসাব্বির হোসেন খান
জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা 

সাব্বির আহম্মেদ,তাড়াশঃসিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খান।জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪-প্রদানে গঠিত জেলা কমিটি ২২ সেপ্টেম্বর তাঁকে এ স্বীকৃতি প্রদান করেন।
তাঁর এ কৃতিত্বে তাড়াশ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুসাব্বির হোসেন ২০২৩ সালের ১ ফেব্ররুারি তাড়াশ উপজেলা প্রাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে এ উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ের সৌদর্য বর্ধন, প্রতিটি বিদ্যালয় মনিটরিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।
এ প্রসঙ্গে মুসাব্বির হোসেন খান বলেন,জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বীকৃতি আমার কাজের দায়িত্ব¡কে বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আমার কাজকে মূল্যায়িত করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এ অর্জন তাড়াশ উপজেলার সকল সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের।

তাড়াশে জলাবদ্ধতার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাব্বির আহমেদ ঃ অপরিকল্পতি পুকুর খননে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসণের দাবিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মানববন্ধন র্কমসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।গত রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই মানববন্ধন র্কমসূচি পালিত হয়। তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া, সরাপপুর, জাহাঙ্গীর গাতী, ভীকমপুর ও ঝুরঝুরি গ্রামসহ পূর্ব তাড়াশে প্রায় পাঁচশতাধি এলাকাবাসী ওই মানববন্ধনে অংশ নেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব তাড়াশ এলাকার তিন ফসলী জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে প্রায় পাঁচশতাধিক অবৈধ পুকুর খননের ফলে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ৪’শ হেক্টর জমি আনাবাদি হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উপজেলার আরো বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য অবৈধ পুকুর খননের দরুন অনুরুপ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির হেতু কৃষকের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।এ কারণে ভুক্তভোগীগণ জলাবদ্ধতা নিরসণে ও অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে তাড়াশ উপজেলায় এ ধরনের হাজার হাজার পুকুর খননের ফলে শুধু জলাবদ্ধতাই নয়, পরিবেশ-প্রতিবেশের মারাত্মক হুমকি দেখা দিয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাহরিয়ার সেতার, কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ, ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন প্রমূখ। পরে মানববন্ধনে অংশ নেয়া জনগণ এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

তাড়াশে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মামলা করেছেন মো. সোহেল রানা (৩৬) নামে এক বিএনপি নেতা। এ মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নাম বাদ দিয়ে বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করার অভিযোগে উঠেছে।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।গত ৩ সেপ্টেম্বর নওগাঁ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা বাদী হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার অন্যতম সাক্ষী মুরসালিন বলেন, বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নন। এ মামলার বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। অথচ আমাকে ১নং সাক্ষী করা হয়েছে।আরেক সমন্বয়ক সাব্বির বলেন, এ মামলা সোহেল রানা নিজের থেকে করেনি। মামলা করিয়েছে বিএনপি নেতা আফসার আলী ও টুটল। মূল যারা আসামি তাদের নামই নেই, তাদের কাছ থেকে আফসার টুটুল টাকা পয়সা নিয়ে বাদ দিয়েছে। তিনি বলেন, তাড়াশের দুটি স্থানে আন্দোলন হয়েছে, একটি জিকেএস অপরটি খালকুলায়। কোনো স্থানেই সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আফসার আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছে, টাকা নিয়ে মূল আসামিদের বাদ দিয়ে মামলাটি করানো হয় এবং মামলা তোলার কথা বলে আবার এজাহারভুক্ত আসামিদের কাছে থেকে চাঁদাবাজি করা হয়েছে।এসব বিষয়ে মামলার বাদী সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি স.ম আফসার আলী বলেন, একজন ছাত্র বাদী হয়ে মামলাটি করার কথা ছিল, কিন্তু সেই ছাত্র রাজি না হওয়ায় সোহেল রানাকে দিয়ে মামলাটি করানো হয়েছে। মামলায় সমন্বয়ক শব্দটি ভুলে লেখা হয়েছে। অনেকের নাম বাদ পড়েছে, তবে যেহেতু অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে সেখানে বাকি আসামিদের ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, একজন মামলা করতেই পারে। তবে তদন্ত করে দেখে মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।সূত্র ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

তাড়াশে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন

সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত হেলথ কেয়ার প্রোপ্রভাইডারদের বেতন-ভাতা ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উন্নয়ন খাত থেকে চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর জটিলতায় তাদের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে উপজেলায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৯জন হেলথ কেয়ার প্রভাইডার কর্মরত আছেন। গত জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ আছে।তাড়াশ উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারর সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, উন্নয়ন খাত থেকে চাকুরী রাজস্ব খাতে যেতে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব কমিটির অনুমোদন প্রযোজন। যা গত ৩ মাসেও হযনি। এ কারনে আমরা বেতন-ভাতা না পেয়ে আধা পেটে, অনাহারে দিনাতি পাত করছি।উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রভাইডার ফিরোজ জামান জানান, আমরা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিচ্ছি। বর্তমান সরকার উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ রোগের ্ঔষধও আমাদের মাধ্যমে জনগনকে দিচ্ছেন। আমরা যেখানে অন্যের হৃদ ক্রিয়া স্বচল রাখছি, সেখানে ৩ মাস বেতন না পেয়ে আমাদের হৃদ যন্ত্র বন্দের উপক্রম হয়েছে। আমরা বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে আছি।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যাটি শুধু তাড়াশ উপজেলায় নয়, সারা দেশে। বর্তমান সরকার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের ব্যাপারে আন্তরিক। আশা করি সমস্যাটি দ্রুত মিটে যাবে এবং তারা বেতন-ভাতা পাবেন।

তাড়াশের বিভিন্ন রাস্তায় বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ 

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাট থেকে হামকুড়িয়া ওয়াবদাবাঁধ, চৌবাড়ীয়া পাকা রাস্তা থেকে চৌবাড়ীয়া বিদ্যালয়, গুড়মা হতে ক্ষীরশিন শ্মশান পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় গ্রামগুলোর মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়।
গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। যাতায়াতের জন্য গাড়ীতে খাদ্যশস্য নিয়ে যেতে কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিতে হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ায় কষ্টের শেষ থাকে না।স্থানীয়রা জানান, রাস্তাগুলো এখনো পাকা হয়নি। ওই রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা দেখে মনে হয় হাল চাষ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাদ্রাসা, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। জরুরি সেবার কোনো গাড়ি বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। হিন্দু বা মুসলিম কেউ মারা গেলে কাদার কারণে সৎকার, দাফন-কাফনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা থাকেনা। অতি প্রাচীন রাস্তাগুলো পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান,রাস্তগুলোর প্রকল্পে জমা দেওয়া হয়েছে, পাশ হলেই কাজ করা হবে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেবলা হয়েছে।

শেষের পাতার ফিচার
তাড়াশে আদিবাসীদের সংসার চলে বিন্নাফুলে 

আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ তথা আদিবাসী বসবাস করেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ রয়েছেন।
উপজেলার কালীবাড়ি গ্রামে দেখা যায়, গৃহিনী আশা বালা ওঁরাও, শান্তিবালা ওঁরাও ও মিনতি ওঁরাও সকাল বেলায় সংসারের কাজ সেরে নিত্য দিনের ন্যায় বের হয় বিন্না ফুল তোলার কাজে। জানা যায়, এক সময় এসব সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ বন-জঙ্গলে ঘুরে শিয়াল, খরগোশ, কচ্ছপসহ বিভিন্ন পশু-পাখি শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবিকা নির্বাহে ভাটা পড়েছে। তাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদিবাসী নারী-পুরুষরা এখন কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা মাঠে ধান লাগানো, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করে থাকেন। তারা কঠোর পরিশ্রমি এবং তাদের অপেক্ষাকৃত কম পারিশ্রমিক হওয়ায় এলাকায় কৃষি কাজে তাদের বেশ চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু আশ্বিন-কার্তিক মাসে এলাকায় তাদের হাতে তেমন কোন কাজ থাকে না। ফলে রোজ উপার্জন করতেও পারেন না তারা। তাই এ সময় উপার্জনের জন্য বেছে নেন বিন্না ফুল তোলার কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিন্না ফুলের আঁটি বেঁধে সেগুলো শুকিয়ে তৈরি করে ঝাড়ু–। তাদের তৈরি ঝাড়ু– বিক্রি করে বিভিন্ন হাটে-বাজারে ও গ্রাম এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে। অবশ্য এ কাজটি নারীদের পাশাপাশি এখন পুরুষেরাও করে থাকেন। আর এভাবেই কেটে যায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীদের সময়। আর এ অবস্থা চলছে অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের সংসার। জানা যায়, এরা প্রতিটি ঝাড়ু– ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করে। আর ব্যাপারীরা এদের নিকট থেকে ঝাড়ু– সংগ্রহ করে শহরে এনে প্রতিটি ঝাড়ু– বিক্রি করে ৫০-৬০ টাকায়। তাড়াশ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন শেখ জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমি। তারা ঝাড়ু– তৈরি এবং বিক্রি করে এ সম্প্রদায় অনেকটাই লাভবান হন। তবে আদিবাসীরা মনে করেন, তাদের এ কাজে সরকারী সহায়তা পেলে তারা আরো উপকৃত হতে পারবেন।

তাড়াশ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন 
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শাহ- শরীফ জিন্দানী ( রহঃ) মাজার প্রাঙ্গনে দরবার- এ রেসালাতে চিশতিয়া খানকা শরীফের জায়গা জোরপূর্বক দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে তাড়াশ প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই খানকা শরীফের খাদেম মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে নওগাঁ রংমহল গ্রামের মোস্তফা সরকারের নিকট থেকে ৮ শতক জায়গা খানকা শরীফের নামে ক্রয় করেন। পরে ওই জায়গার নামজারি ও হাল সন পর্যন্ত ভুমি উন্নয়ন কর প্রধান করেন। এ অবস্থায় নওগাঁ গ্রামের শাহ আলম গং জোড়পূর্বক ওই জায়গা দখন করে নেন। পরে সালিশী বৈঠকে ওই জায়গার সঠিকতা থাকায় খানকা শরীফকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর শাহ আলম গং সন্ত্রাসী কায়দায় জায়গাটির সীমানা খুটি জোরপূর্বক তুলে ফেলে নিজেদের দখলে নেন এবং জায়গায় না আসার জন্য খানকা শরীফের খাদেমদের হুমকি-ধামকী দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খানকা শরীফের আমীর মুহাম্মদ আজাদ খান চিশতি, খাদেম ছাইদুর রহমান মুন, হাসান শিবলু, হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
তাড়াশ-রানীরহাট সড়কে গাছে মড়ক
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ-রানীরহাট ১৫ কি.মি. দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বহু গাছের আগায় মড়কের উপদ্রবে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছ মরে গেছে।
সরেজমিনে এই সড়কে দেখা যায়, তাড়াশ থেকে শুরু করে বিশেষত: আশানবাড়ী ও বিনসাড়া পর্যন্ত ৪ কি.মি. এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের বেশ বড় ও উঁচু গাছের আগা শুকিয়ে সম্পূর্ণ গাছ মরে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু গাছ অবশ্য মাটিতে পড়ে গেছে। মরা গাছের মধ্যে আছে ইউক্যালিপটাস, শিশু, কড়ই ও তালগাছ ইত্যাকার। তবে তালগাছে মড়কজনিত কারণে বেশী তালগাছ মরে গেছে তাড়াশ-ভুইয়াগাঁতী সড়কে।মরা গাছগুলোর অধিকাংশই এখনো দাঁড়ানো আছে। এ মওসুমে তাড়াশের বিভিন্ন সড়কে গাছের আগা মরা রোগে এত গাছ মরে যাওয়ার প্রকৃত রহস্য এখনও অজানা।তবে সামাজিক বনায়নের আওতায় লাগানো এসব গাছের মৃত্যুর ফলে সংশ্লিষ্ট বহু দু:স্থ উপকারভোগী ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।অবশ্য এলাকাবাসির কাছে জানা যায়, কিছু মরা বৃক্ষ ইতোমধ্যেই রাতের আাঁধারে চুরি গেছে। পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, প্রতি বছর এভাবে বিপুল সংখ্যক গাছ উজার হলে তা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।

তাড়াশে জিও-এনজিও সমন্বয় সভা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বেসরকারি সংস্থাসমূহের(এনজিও) সাথে সরকারী দপ্তরের নিয়মিত সমন্বয় সভা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে পাস্পারিক যোগাযোগ,তথ্য বিনিময়, প্রত্যয়ন , প্রতিবেদন, সমন্বয় করণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনজিওরা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে।
জানা যায় , ভূতপূর্ব ইউএনও মেজবাউল করিমের কর্মকালের শেষ দিকে প্রশাসনের সাথে এনজিওদের মাসিক সমন্বয় সভা ঝিমিয়ে পড়ে। এরপর গত কয়েক মাস পূর্বে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুইচিং মং মারমা তাড়াশে দায়িত্ব গ্রহণের অল্পদিনের মাথায় এনজিওদের নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা করতে গিয়ে মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়েন। আর তখন থেকেই তাড়াশে জিও-এনজিও সমন্বয় সভা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে এনজিওরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়লেও সরকারী তরফে তার কোন সহযোগীতামূলক প্রতিবিধান করা হচ্ছে না। তাড়াশে এই জিও-এনজিও সম্পর্কের অচলাবস্থা নিরসনে প্রশাসনের দায় রয়েছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

সলঙ্গায় হেলথ কেয়ার হসপিটালে হচ্ছেটা কি ?

সলঙ্গা প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক,গাইনী বিশেষঞ্জ ডা: জেবুন্নেছা নিজেই প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে চিকিৎসা বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে হাটিকুমরুল রোডে বেসরকারি হাসপাতাল খুলে দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জে আখড়া পেতে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ডা: জেবুন্নেছা। সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর সরকারি চাকরির আড়ালে দেদারছে প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।শুধু তাই নয়, প্রাইভেট হসপিটালে রোগী দেখতে দেখতে স্টাফ ফিরোজের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে সম্প্রতি (জেবুন্নেছা-ফিরোজ) বিয়ে করার খবরে ডা: জেবুন্নেছাকে নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে। উল্লেখ্য, হেলথ কেয়ার হসপিটালের তাড়াশ শাখায় তাড়াশ হাসপাতালের ডাক্তারদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে অনিয়ম ও অবৈধ উপায়ে তাড়াশ থেকে বিপুল অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে এই ফিরোজ।তাড়াশেও তার রয়েছে সিন্ডিকেট চক্র।
ওদিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড এলাকায় “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে জেবুন্নেছার অংশীদারীত্ব আছে।তিনি দীর্ঘদিন যাবত হাটিকুমরুল রোডের বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেন।যার ফলে এ এলাকায় তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে।তার এ পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের স্টাফ ফিরোজের সাথে অংশিদারীত্বে “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে তুলেছেন যা হসপিটালের ডিড সুত্রে জানা গেছে।স্থানীয়রা অনেকেই জানান,হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক শুনেছি ডা: জেবুন্নেছা ও ফিরোজ।সব সময় হেলথ কেয়ারে বসে ডা: জেবুন্নেছা রোগী দেখেন,সিজার করেন। সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে প্রাইভেট হসপিটালে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তিনি।এতদিনে জানতে পারলাম, সে সরকারি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক,ডাক্তার।একজন সরকারি মেডিকেল কলেজের গাইনী বিশেষজ্ঞ হয়ে প্রাইভেট হসপিটালে দিনরাত রোগী দেখেন আর হসপিটালের স্টাফের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। প্রাইভেট হাসপাতালের অংশীদারিত্ব বিষয়ে অভিযুক্ত ডা: জেবুন্নেছা আহমাদ কোন সদুত্তর দেন নি।”হেলথ কেয়ার হসপিটাল” বিষয়ে ফিরোজ জানান, এর সাথে ডা: জেবুন্নেছার কোন অংশীদারিত্ব নেই। সে এখন আমার বউ।নৈতিকস্খলন ও পেশাগত নীতি লংঘনকারী ডা: জেবুন্নেছাকে জরুরিভাবে অন্যত্র বদলী,বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সচেতন মহল জোর দাবী জানান।

গুরুদাসপুরে সংখ্যালঘু
পরিবারের সংবাদ সম্মেলন 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: ফেসবুকে লাইভ দেয়াকে কেন্দ্র করে গুরুদাসপুরের এক সংখ্যালঘু পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল সরকার ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। থানায় ডায়েরী করতে গেলেও তাদেরকে লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মদন শর্মা ও তার পরিবার।
শনিবার বিকেল ৪টায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার নিজ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মদন শর্মা বলেন, ফেসবুকে লাইভ দেয়ার পর থেকে হুমকি প্রদান অব্যাহত আছে। দুলাল সরকারের আত্মীয় প্রতিবেশী মিন্টু জামাদার ও মিলন প্রামাণিকের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে এসে হুমকি দেয়া হয়েছে। এসময় ইটপাটকেল ছুঁড়েন তারা।
মদন শর্মাকে থানার মধ্যে বাধা প্রদান ও লাঞ্চিত করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, ঘটনা ওসি সাহেবের রুমে। আমি নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। দুলাল মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতেই পারেন। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রায়গঞ্জে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা 

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি ঃসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের সভাপতিত্বে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ডা. চন্দন কুমার, উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদের পেস ইমাম, রায়গঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রবির কুমার নাগসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরপ্রধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গুরুদাসপুরে প্রবীণ দিবস পালিত 
গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপনে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রদর্শন শেষে পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম।
‘মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম আকতার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ, ওসি গোলাম সারওয়ার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম দুদু, আবুল কালাম আজাদ, চলনবিল প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আক্কাছ প্রমুখ।

হান্ডিয়ালের পুলিশ সমাজ গ্রামে অবৈধ কাজে ধরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ চলনবিলস্থ চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পুলিশ ফাঁড়ির জনৈক পুলিশ সদস্য এলাকার সমাজ গ্রামের এক গৃহবধুর ঘরে অবৈধ সম্পর্কের সময় গ্রামবাসীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লে পরে তাকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
খবরে প্রকাশ, সমাজ গ্রামের একজন বিবাহিত মহিলা তার মামলার সূত্রে হান্ডিয়াল পুলিশ ফাঁড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। এই সুবাদে উক্ত পুলিশের এসআই তার সাথে অনৈতিক মধুর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে সুযোগ বুঝে ঘটনার দিন পুলিশ সদস্য সমাজ গ্রামে ওই মহিলার বাড়ীতে গিয়ে গোপন অভিসারে লিপ্ত হলে গ্রামের লোকেরা টের পেয়ে তাকে ধরে ফেলে কয়েকটা উত্তম-মাধ্যম দেয়। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর তাকে পাবনায় ক্লোজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে লোকজন বলছে, যারা আইনের রক্ষক, তারাই আইনের ভক্ষক।

রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপিত 

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও গুড নেইবারসের আয়োজনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি নৈঃশব্দ্য মহাকালের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল হক, উপজেলা জামায়তের আমির আবুল কালাম বিশ্বাস, গুড নেইবারস সিরাজগঞ্জ সিডিপির ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাছরিন প্রমুখ।

তবুও নাই হুঁশ !
আবদুর রাজ্জাক রাজু

নেতারা সব দিশেহারা
দুর্দিনে আর কার কে
পালের গোদা ঘুরে বেড়ায়
দিল্লীর সেরা পার্কে।

হুমকিও দেয় কাছেই আছি
ঢুকবো, এই ঢুকলাম
যখন-তখন বাংলাদেশে
আবার এসে পড়লাম।

একনায়কের পরিণতি
ক্ষমতারই খায়েশে
দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে
থাকে আরাম-আয়েশে।

মহান নেতার কন্যা হলো
বিশ্ব কুলঙ্গার
ইহকাল আর পরকালে
শাস্তি হবে তার।

হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস
রঙ ফুরালেই ফুস
ক্ষণেই হিরো ক্ষণেই জিরো
তবুও নাই হুঁশ!

সব দলেরই এটা থেকে
শিক্ষা নেয়া ভলো
তা না হলে তাদের
ইতিহাসও হবে কালো।

২২.০৯.২

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD